বুধবার রাত্রিবেলার ঘটনা। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কলেজপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
মদ খেয়ে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে উত্যক্ত করছিলেন যুবক। অনেকবার বারণ করার পরও শোনেননি। ঘটনার প্রতিবার করতেই দম্পতিকে ধরে মারধর ও অশ্রাব্য ভাষায় কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। পরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে অভিযুক্তকে ধরে তাঁরই বাড়ির বারান্দায় দড়ি দিয়ে বেধে রাখলেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত্রিবেলার ঘটনা। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কলেজপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম গৌরাঙ্গ রায়। স্থানীয় বাসিন্দা সে। অভিযোগ, প্রায় দু বছর ধরে তার প্রতিবেশী এক যুবতীকে নানা ভাবে উত্যক্ত ও কটুক্তি করার পাশাপশি বেশ কয়েকবার ধরালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। যে কারণে মেয়েকে নিয়ে যথেষ্টই দুশ্চিন্তায় ছিলেন পরিবারের লোকেরা।এরপর কিছুদিন আগে ওই যুবতীর বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও যুবক নানা ভাবে যুবতীকে বিরক্ত করতে থাকে বলে অভিযোগ।
পরে অর্থাৎ বুধবার রাতে যুবতী ও তাঁর স্বামী বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। তখন পাড়াতেই তাদের পথ আটকে কটূক্তি ও উত্যক্ত করতে শুরু করে নেশাগ্রস্থ অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ। যুবতীর স্বামী প্রতিবাদ করতেই দু’জনকেই মারধর করে অভিযুক্ত যুবক। এরপরই যুবতীর বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ যুবককে তারই বাড়ির সামনে বারান্দায় দীর্ঘক্ষণ সিমেন্টের খুঁটিতে বেঁধে রাখে।এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই বিষয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আমার মেয়ে জামাই মোমো খেতে গিয়েছিল। তখন ও হামলা করে। আমার মেয়ে বাড়ির বাইরে বের হলেই হামলা করতে শুরু। ওকে গালিগালাজ করতে থাকে। সেই সময় আচমকা আমার জামাইয়ের গলা টিপে ধরে। তারপর চিৎকার শুনে আমরা বেরিয়ে আসি। ওকে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কঠীণ শাস্তি চাইছি।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours