মাত্র ২৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংস অপরাজিত ইনিংস। মাঠের সবদিকেই শট খেলে ক্রমশ নিজেকে 'মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি' প্রতিষ্ঠিত করছেন সূর্য। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেন। ম্যাচ শেষে জানালেন, শুরুতে পিচ মন্থর ছিল। বিরাট কোহলি তাঁকে পরামর্শ দেন, স্বভাবসিদ্ধ খেলার। সূর্য সেটাই চেষ্টা করেছেন।

আগ্রাসনের আরেক নাম বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। স্লেজিংয়ে ‘রাজা’ অজি ক্রিকেটাররাও তাঁকে সমঝে চলেন। তরুণ সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) ক্ষেত্রে শোচনীয় অবস্থা হওয়াই শ্রেয়। আইপিএলেও প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারকে স্লেজিং করতে পিছপা হন না বিরাট কোহলি। ম্যাচের পর আবার তরুণ ক্রিকেটারদের ব্যাটিং নিয়ে নানা পরামর্শও দেন। ম্যাচের সময় বিরাট কোহলি আলাদাই মেজাজে থাকেন। এখন আর অধিনায়ক নন। জাতীয় দলের পাশাপাশি আইপিএলেও নেতৃত্ব ছেড়েছেন। অধিনায়ক থাকাকালীন নিজের দলের ক্রিকেটারদের যে কোনও পরিস্থিতিতে সামলে রাখতেন। তেমনই জবাব দিতে পিছপা হতেন না প্রতিপক্ষকে। সেটাই তাঁর ট্রেডমার্ক। প্রতিপক্ষ হিসেবে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে সূর্যকুমার যাদবেরও। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলির চোখ রাঙানির শিকার হয়েছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সূর্যকুমার যাদব। সেই সূর্যই দেখলেন অন্য এক বিরাটকে। সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ঝুঁকে সেলাম (Appreciation) করলেন অনবদ্য ইনিংস খেলা সূর্যকে।



আইপিএল ২০২০’র ঘটনা। বিরাট আরসিবির অধিনায়ক। ক্রিজে সূর্য। অনেকক্ষণ থেকেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ঠাণ্ডা লড়াই চালিয়ে যান বিরাট। মুখে কিছু না বললেও তাঁর চাহনি যে কোনও তরুণ ক্রিকেটারের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট। সূর্যর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। বিরাট কোহলির সেই ঘটনার সম্পর্কে একটি অনুষ্ঠানে সূর্য বলেছিলেন, ‘এটাই ওর স্টাইল। মাঠে ওর এনার্জি লেভেল সবসময়ই আলাদা। ওই ম্যাচটা দু-দলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিরাটের স্লেজিংও মারাত্মক ছিল সেই ম্যাচে। নিজের ফোকাস ধরে রাখার চেষ্টা করছিলাম। ম্যাচটা জিততেই হবে। ওর কাছে বল গেল। সেখান থেকেই অ্যাকশন শুরু। আমার মুখে চুইংগাম ছিল, হৃদস্পন্দন বেড়েই চলেছে। দেখছি আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। কিচ্ছু বলছে না, আমিও কিছু বলিনি। তবে নিজেকে বোঝাচ্ছিলাম- যাই হোক, কোনও কথা বলব না, ১০ সেকেন্ডের ব্যাপার, নতুন ওভার শুরু হবে, তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে, খুব বেশিক্ষণ এমন করবে না। ধীরে ধীরে মুহূর্তটা কেটে গেল। তারপর সেই ম্যাচের পর দেখেছিলাম।’

অপরাজিত ৫৯ রান করেন। আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। মাত্র ২৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংস অপরাজিত ইনিংস। মাঠের সবদিকেই শট খেলে ক্রমশ নিজেকে ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’ প্রতিষ্ঠিত করছেন সূর্য। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেন। ম্যাচ শেষে জানালেন, শুরুতে পিচ মন্থর ছিল। বিরাট কোহলি তাঁকে পরামর্শ দেন, স্বভাবসিদ্ধ খেলার। সূর্য সেটাই চেষ্টা করেছেন।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours