September 2022

যখন হৃৎপিণ্ড সঠিক ভাবে পাম্প করতে পারে না তখন গোড়ালি, পায়ে ফোলাভাব দেখা দেয়। এর মূল কারণ হল গোড়ালি, পা, উরু এবং পেটে তরল জমা হওয়া


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান বড় কারণ হল হৃদরোগ। আনুমানিক বছরে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এই হৃদরোগে। বিশ্বজুড়ে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটি পালন করা হয় বিশ্ব হার্ট দিবস হিসেবে। ওয়ার্ল্ড হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রথম এই দিনটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যার্টাক এড়াতেই এই দিনটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ হল হৃদরোগ। হৃদরোগের মধ্যে রয়েছে সিভিডি, করোনারি হার্ট ডিজিজ, সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ, রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিজ এবং অন্যান্য সমস্যা।

মুম্বাইয়ের স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের কনসালটেন্ট কার্ডিয়াক সার্জন ডাঃ বিপিনচন্দ্র ভামরের মতে, হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এর প্রধান কারণ মানুষের মধ্যে হৃদরোগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্যের অভাব।

হার্ট ফেলিওরের লক্ষণগুলো কী কী? হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে অধিকাংশই সচেতন নন। অনেক সময়ই তা এড়িয়ে যান। হার্টের পেশী যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায়। আবার অনেক সময় জেনেটিক কারণেও হার্টের ভালভের গঠনগত ত্রুটি থেকে যায়। হার্ট ঠিকমতো কাজ করতে না পারলে শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছয় না। ফলে রোজকার কাজের উপর তার প্রভাব পড়ে।

হার্ট ফেলিওর হতে পারে যে সব লক্ষণে বুঝবেন-

১.শরীরে যদি অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত না পৌঁছয় তাহলে সেখান থেকে ক্লান্তি আসাটা খুবই স্বাভাবিক। আর তাই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে আগে থেকেই সচেতন হন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২.হার্টের সমস্যা থাকলে একটু পরিশ্রমেই শরীর হাঁপিয়ে পড়ে। শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং কোনও কাজেই মনোনিবেশ করা যায় না। কাশি, শ্বাসকষ্ট কিন্তু হার্ট ফেলিওয়ের অন্যতম কারণ।

৩.যখন হৃৎপিণ্ড সঠিক ভাবে পাম্প করতে পারে না তখন গোড়ালি, পায়ে ফোলাভাব দেখা দেয়। এর মূল কারণ হল গোড়ালি, পা, উরু এবং পেটে তরল জমা হওয়া। ফলে শরীরে জলের ওজন বেড়ে যায়।

৪.খিদে কমে যাওয়া, প্রায়শই বমি ভাব, খেলেই বমি হয়ে যাওয়া, হজম না হওয়া এসব হল হৃদরোগের উপসর্গ। পরিপাকতন্ত্রে প্রয়োজনীয় রক্ত না গেলেই এই সমস্যা বেশি হয়। এছাড়াও হঠাৎ করে যদি কয়েকদিন দেখেন যে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে তাহলেও সাবধানে থাকবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।


তাঁর নেতৃত্বে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারত। নেতৃত্বের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অনবদ্য পারফরম্যান্স হরমনপ্রীত কৌরের। তার সুফল পেলেন তিনি

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্সে ভর করে আইসিসি ক্রমতালিকায় তরতরিয়ে উঠলেন ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের (Indian Women’s Cricket Team) ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur)। ওডিআই ব্যাটারদের ব়্যাঙ্কিংয়ে চার ধাপ এগিয়ে বর্তমানে হরমনপ্রীতের ঠাঁই পঞ্চম স্থানে। ইংল্যান্ড সফরে একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন হরমনপ্রীত। ইংরেজদের তাদেরই মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে ক্লিন সুইপ করে উইমেন ইন ব্লু। ক্যান্টারবেরিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১১১ বলে ১৪৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন কৌর। হরমন ছাড়াও ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা এবং শেষ ম্যাচে রান আউটের পদ্ধতি নিয়ে শিরোনামে থাকা দীপ্তি শর্মারও আইসিসি ক্রমতালিকায় (ICC ODI rankings) উন্নতি হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত সিরিজ ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সের নিরিখে এই উন্নতি।



প্রাক্তন ১ নম্বর ব্যাটার মান্ধানার শেষ দুটি ম্যাচে স্কোর ৪০ এবং ৫০। একধাপ উপরে উঠে এসে বর্তমানে ব্যাটারদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছেন। লর্ডসে তৃতীয় ম্যাচে দীপ্তি অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস খেলে আট ধাপ উপরে উঠে এসেছেন। বর্তমানে তাঁর স্থান ২৪। পূজা বস্ত্রকার এবং হারলিন দেওলও ব়্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন। বোলারদের মধ্যে উন্নতি হয়েছে রেণুকা সিংয়ের। ৩৫ ধাপ এগিয়ে বর্তমানে বোলারদের তালিকায় ৩৫ স্থানে রয়েছেন। শেষ দুটি ম্যাচে চারটি উইকেট নেন রেণুকা। পঞ্চম স্থানে থেকে ঝুলন গোস্বামী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন।
ঝুলন গোস্বামীর বিদায়ী সিরিজকে স্মরণীয় করে রাখতে কোনও কসুর রাখেননি ভারতীয় দলের সদস্যরা। সকলেই নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স উজাড় করে দিয়েছেন। বিদেশে বড় স্কোর হাঁকানোর জন্য খ্যাত হরমনপ্রীত কৌর। ২০১৭ সালে ওডিআই বিশ্বকাপে ১৭১ রানের ইনিংস খেলে চমকে দিয়েছিলেন। হরমনপ্রীতের ব্যাটে বিশ্বকাপ ফাইনালে জায়গা করে নেয় উইমেন ইন ব্লু। সেই স্মৃতি এখনও তরতাজা। বছর পাঁচেক পর ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্যাপ্টেন হ্যারির ব্যাট ফের চওড়া হল। তার প্রতিফলন ঘটেছে ব়্যাঙ্কিংয়ে

দুর্নীতির আঁচ পড়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও। বাগ কমিটির রিপোর্টে উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে আসে।

বদল যে হতে পারে সেই সম্ভাবনার কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত জল্পনাই সত্যি হল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of North Bengal) অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য হচ্ছেন ওম প্রকাশ মিশ্র। প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে জেল বন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ একাধিক সরকারি আমলা। দুর্নীতির আঁচ পড়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও। বাগ কমিটির রিপোর্টে উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। যা নিয়েও বিস্তর চাপানউতর চলছিল শিক্ষা মহলে। তারপর থেকেই শোনা যায় তাঁর বদলির জল্পনা। সূত্রের খবরস, এরইমধ্যে দ্রুত কী করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য আনা যাবে সে বিষয়ে ভাবনা চিন্তাও শুরু করেছিল সরকার।


অস্থায়ীভাবে অ্যাড হক কমিটির ভিত্তিতে কাউকে নিয়োগ করা হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল। তবে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপকরা অগ্রাধিকার পেতে পারেন বলেও খবর মেলেছিল শিক্ষা দফতর সূত্রে। শেষ পর্যন্ত শোনা গেল ওম প্রকাশ মিশ্রর নাম। ১৯৮৭ সাল থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওম প্রকাশ। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। তারপর ২০১৮ সালে তিনি ফের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন। 

বর্তমানে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিতে চলেছেন সেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক পাশ করেছিলেন ওমপ্রকাশ। পেয়েছিলেন গোল্ড মেডেলও। এরপর চলে যান জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফার্স্ট ক্লাস পান স্নাতকোত্তরেও ও এমফিলে। পরবর্তীতে পিএইচডি শেষ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যদিও নতুন দায়িত্ব পাওয়া প্রসঙ্গে ওমপ্রকাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এখনও নিয়োগপত্র হাতে পাইনি। পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেব।”

বুধবার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান কে ভারতের পরবর্তী চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস পদে নিযুক্ত করা হল।


বুধবার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান কে ভারতের পরবর্তী চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস পদে নিযুক্ত করা হল। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর ৯ মাস পর নতুন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ পেল ভারত। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে এবং পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত’ ভারত সরকারের সামরিক বিষয়ক বিভাগের সচিবের দায়িত্বও সামলাবেন তিনি।


১৯৬১ সালের ১৮ মে জন্মেছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। জাতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাডেমি এবং ভারতীয় সামরিক অ্যাকাডেমি থেকে শিক্ষা গ্রহণের পর ১৯৮১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১১ নম্বর গোর্খা রাইফেলে নিুযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। মেজর জেনারেল হিসেবে নর্থ কমান্ডের গুরুত্বপূর্ণ বারামুলা সেক্টরে এক পদাতিক বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে, তিনি উত্তর পূর্বে ভারতে এক বাহিনী কমান্ড করেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ হয়েছিলেন। ২০২১ সালের মে মাসে এই পদে থেকেই তিনি পরিষেবা থেকে অবসর নিয়েছিলেন। একসময়, তিনি অ্যাঙ্গোলায় রাষ্ট্রসংঘের অভিযানেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন

খবরটি সদ্য এসে পৌঁছেছে। বিস্তারিত বিবরণ আসছে কিছুক্ষণের মধ্যেই। আপনার কাছে দ্রুততার সঙ্গে খবর পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রয়াস। তাই সব খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এই পেজটি রিফ্রেশ করতে থাকুন। পাশাপাশি অন্যান্য খবরের জন্য 

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "যাঁরা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের কাছে আদালতের আবেদন, দুর্নীতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা সবাই জানেন। হয়ত টাকা বা অন্য কিছু দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। ৯ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা পদত্যাগ করবেন।"

দুর্নীতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে এবার এক আবেদন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁরা টাকা দিয়ে, বা অন্য কিছুর বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নিজে থেকে চাকরি ছাড়ার জন্য আবেদন করলেন বিচারপতি। সঙ্গে এও জানালেন, যাঁরা নিজে থেকে চাকরি ছাড়বেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বুধবার মামলার শুনানির সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের কাছে আদালতের আবেদন, দুর্নীতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা সবাই জানেন। হয়ত টাকা বা অন্য কিছু দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। ৯ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা পদত্যাগ করবেন।”



সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “এসএসসিতে তাঁরা (যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন) চিঠি পাঠাবেন ৭ নভেম্বরের মধ্যে। স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে এটি বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করবে। এদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। তাঁদের পদ শূন্যপদ হিসেবে দেখা হবে। যদি না পদত্যাগ করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি চাকরি আগামী কয়েক বছর পাবেন না।”

উল্লেখ্য, এদিন সিবিআই-এর তরফে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাত দেখে বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেখা গিয়েছে, সাদা খাতাতেও চাকরি পেয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, এসএলএসটি আরএসএলটি নাম, রোল নম্বর দেখে সিবিআই জানাবে, কারা আদৌ রিকমেন্ডেশন পেয়েছেন। বোর্ড অক্টোবর তৃতীয় সপ্তাহে কমিশনের সঙ্গে একটি বৈঠক করবে। কারা শূন্য পেয়েও চাকরি পেয়েছেন, সেই বিষয়টিও ওই বৈঠকে দেখা হবে।

এর পাশাপাশি সিবিআই-এর ভূমিকারও বেশ প্রশংসা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “এই তদন্তে নিঃশব্দে খুব ভাল কাজ করেছে সিবিআই৷ মাস্টারমাইন্ডকে খুঁজে বের করতে বলব। সমাজের জন্য এই কাজ তারা করবে।” আগামী ১৬ নভেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে

পুলিশ সূত্রে খবর, দিন চারেক আগে খেজুরি বীরবন্দ কাছে খালের কাছে পচাগলা এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ

মাকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে। জন্মদাত্রী মায়ের দেহ জলে ফেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তদন্ত শুরুর পর অভিযুক্ত ছেলে ও বৌমাকে গ্রেফতার করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের জামিন নাকচ করে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মাকে খুন অভিযুক্ত ছেলে রতন সিং ও তাঁর স্ত্রী অনিতা সিং। ওই দম্পতির বাড়ি কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের দক্ষিণ আড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।


পুলিশ সূত্রে খবর, দিন চারেক আগে খেজুরি বীরবন্দ কাছে খালের কাছে পচাগলা এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতের পরিচয় জানতেন করতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, মৃত মহিলা কল্পনা সিং ( ৪৮)। তাঁর বাড়ি কাঁথি থানার দক্ষিণ আড়িয়া গ্রামে। এর পর একটি মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করে। ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে এমনটাই পুলিশি তদন্তে উঠে আসে। মৃত মহিলার বাপের বাড়ির লোকেরা কাঁথি থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কাঁথির সফিয়াবাদ গ্রামের মৃত কল্পনার বাবা মন্টু ওঝা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই মহিলাকে খুন করে প্রমাণ লোপাট জন্য বস্তাবন্দি করে রসুলপুর নদীতে ফেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই খুনের ঘটনার যুক্ত খোদ ছেলে ও বৌমা। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পারিবারিক অশান্তির জেরে মাকে খুন করে ছেলে ও বৌমা। এর পর প্রমাণ লোপাট জন্য রসুলপুর নদীতে ভাসিয়ে দেয়। দেহটি ভাসতে ভাসতে খেজুরি বীরবন্দ এলাকায় উঠে। খেজুরি থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে।

ঘটনা নিয়ে কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেছেন, “ঘটনা তদন্তে নেমে ছেলে ও বৌমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসা আমাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু তথ্য জানাতে রাজি হননি 

কাঁথি যুব তৃণমূলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সুপ্রকাশ গিরি নিজের ফেসবুক পেজে ধন্যবাদ জানান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ‘প্রাণপ্রিয়’ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কাঁথি: অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুপ্রকাশ গিরির উপর আস্থা রাখলেন তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব তৃণমূলের সভাপতি দায়িত্ব পেলেন তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরি। বুধবার বিকেলে রাজ্য তৃণমূল ভবন থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কাঁথি সাংগঠনিক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে আবারও মনোনীত হলেন সুপ্রকাশ গিরি। এ নিয়ে টানা ৫ বছর কাঁথি সাংগঠনিক যুব তৃণমূলের সভাপতি নির্বাচিত হলেন সুপ্রকাশ। তিনি পুনরায় যুব সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা কর্মী সমর্থকরা।

সুপ্রকাশ গিরি নিজেকে শুধু কাঁথি সাংগঠনিক জেলাতেই আটকে রাখেননি। গত বছর ত্রিপুরায় পুর নির্বাচনে যুব তৃণমূলের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন। ত্রিপুরা রাজ্যে আমবশা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করে। সেখানে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রকাশ গিরি পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব সামিলেছেন। আর সেখানেই একটি মাত্র আসনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আবারও বিভিন্ন জেলার পর্যবেক্ষকের দ্বায়িত্ব সামিলেছেন। সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলে। তার পর থেকে কাঁথি পুরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কাঁথি পুরসভা উপ পুরপ্রধান দায়িত্বপান তিনি ।

কাঁথি যুব তৃণমূলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সুপ্রকাশ গিরি নিজের ফেসবুক পেজে ধন্যবাদ জানান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ‘প্রাণপ্রিয়’ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


স্পেনের কাছে হেরে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। বিশ্বকাপ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে রোনাল্ডোকে নিয়ে রীতিমতো কাঁটাছেড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর পারফরম্যান্সের দিকে আঙুল তুলছেন অনেকেই।


ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) সময়টা ভালো কাটছে না। বিশ্বকাপের (Football World Cup) আগে নেশনস লিগে স্পেনের কাছে হেরে গিয়ে ছিটকে গিয়েছে সিআর সেভেনের পর্তুগাল (Portugal)। দিন কয়েক আগে নেশনস লিগের ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের গোলকিপার টমাস ভ্যাক্লিকের কনুইয়ে আঘাত লেগেছিল রোনাল্ডোর। যার ফলে নাক দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে সিআর সেভেনের। কিছুক্ষণের জন্য মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় পর্তুগালের অধিনায়ককে। এরপর নাকে ব্যান্ডেড বেঁধে ফের ফিরে আসেন মাঠে। নিজে গোল না করলেও সেই ম্যাচে চারটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন। এরপর স্পেনের বিরুদ্ধে ড্র করলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেত পর্তুগালের। কিন্তু সেই সুখটা পেলেন না রোনাল্ডোরা। উল্টে স্পেনের কাছে হেরে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। বিশ্বকাপ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে রোনাল্ডোকে নিয়ে রীতিমতো কাঁটাছেড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর পারফরম্যান্সের দিকে আঙুল তুলছেন অনেকেই।

মঙ্গলবার রাতে ব্রাগায় স্পেনের কাছে হেরে যাওয়ার পর অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। তাঁর আচরণ দেখেই প্রকাশ পাচ্ছিল দেশকে নেশনস কাপের শেষ চারে না তুলে দিতে পারায় তিনি কতটা হতাশ। কিছুদিন আগে সিআর সেভেন জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর তিনি অবসর নেবেন না। পর্তুগালের জার্সিতে ২০২৪ সালের ইউরো কাপে তিনি খেলতে চান। তবে তাঁর বর্তমান পারফরম্যান্সের জন্য অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, অন্যদের সুযোগ দেওয়ার জন্য সর্বকালের সেরা ফুটবলার হলেও তাঁর সরে আসা উচিত। ফলে এখান থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপে পর্তুগাল দলে তাঁর জায়গা কী? মাঠে নাকি বেঞ্চে?

পাকিস্তান দলে যদি একটা 'হার্দিক পান্ডিয়া' থাকত। যিনি গুরুত্বপূর্ণ ওভারগুলিতে বল করে তুলে নিতেন উইকেট। ব্যাট হাতে ম্যাচ ফিনিশ করার ক্ষমতা রাখতেন। পাকিস্তান দলে এমন একজনকে চাইছেন শাহিদ আফ্রিদি।


 চোখ বন্ধ করে তাঁর উপর ভরসা রাখেন সমর্থকরা। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার আস্থাভাজন, ভারতীয় দলের সম্পদ হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। নিঃসন্দেহে টি-২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup) প্রতিপক্ষ দলগুলির বড় মাথাব্যথা হতে চলেছেন মেন ইন ব্লু অলরাউন্ডার। বল হাতে প্রয়োজনে উইকেট তুলে নিতে সক্ষম। ব্যাট হাতে ম্যাচ ফিনিশের ক্ষমতা রাখেন। বড় শট খেলা, প্রয়োজনের সময় দলকে টেনে তোলার ক্ষমতা রাখেন। ঠান্ডা মাথায় নেতৃত্ব দিতেও সিদ্ধহস্ত। গত মরসুমের আইপিএল এবং সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ তার বড় উদাহরণ। এমন একজন খেলোয়াড় যে কোনও টিম তাদের দলে চাইবে। পাকিস্তানও তার ব্যতিক্রম নয়। জাতীয় দলের পেস অলরাউন্ডারের মতো প্রতিভা সম্পন্ন খেলোয়াড় যদি তাদের দলেও থাকত…আক্ষেপ শোনা গেল পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির (Shahid Afridi) মুখে।

তিনি বলেন, “হার্দিক পান্ডিয়ার মতো খেলোয়াড়ের দলে প্রয়োজন রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কেউ একজন। যিনি লোয়ার অর্ডারে নেমে এসে ম্যাচ ফিনিশ করার মতো দায়িত্ব নেবেন। পাশাপাশি বোলিংয়েও সাহায্য করবেন। আপনি কি মনে হয় আমাদের দলে এমন কোনও ম্যাচ ফিনিশার আছেন?” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ম্যাচে চলতি বছরের সেরা পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে। নির্ধারিত ৪ ওভারে ২৫ রানে ৩টি উইকেট নেওয়ার পর ১৭ বলে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ভারতকে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতান।



স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধারণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ওই চার জন।


স্কুল যাওয়ার পথে চার খুদে পড়ুয়াকে গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টা। এক গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীরা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে চার পড়ুয়াকে। এর পর উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালায় ওই চাকা গাড়িতে। গাড়ির চালককে ব্যাপক মারধর করেন এলাকাবাসীরা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুরে বুধবার ঘটেছে ঘটনা। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধারণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ওই চার জন। বুধবার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী দিশা মাল এবং রনিতা বালা, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুকন্যা বিশ্বাস এবং তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রীতম দে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিল। মাঝ রাস্তায় একটি মারুতি গাড়ীর চালক সুজিত দাস তাদের গাড়িতে করে স্কুলে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু ওই পড়ুয়ারা গাড়িতে যেতে রাজি হয়নি। তখন ওই চালক জোর করে পড়ুয়াদের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তখনই পড়ুয়াদের চিৎকারে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি বীরভূম জেলার বলভপুরে।

রনিতা বালা নামের ছাত্রী বলেছ, “আমরা স্কুলে যাচ্ছিলাম। তখন ওই গাড়ি আমাদের দেখে দাঁড়ায়। চালক আমাদের বলে স্কুলের দিকেই গাড়ি যাবে। আমাদের যেতে বলে। আমরা যেতে চাইনি। হেঁটেই স্কুলে যাব বলেছিলাম। এর পরই আমাদের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে।”

এলাকাবাসী পড়ুয়াদের চিৎকারে ছুটে আসে। তার পর গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধরে করে অভিযুক্ত চালককে। এর পর কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে চালককে। তাঁকে কেতুগ্রাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকরাও গিয়েছিল থানায়। অভিভাবকদের অভিযোগ, তাঁদের বাচ্চাদের অপহরণ করার চেষ্টা চালিয়েছিল ওই অভিযুক্ত। তাঁর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন লতা মঙ্গেশকর। তিনি কয়েক দশক ধরে প্লেব্যাক গানে রাজত্ব করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার আইকনিক গায়িকা লতা মঙ্গেশকরকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে বুধবার অযোধ্যার একটি চকের নামকরণ করা হবে তাঁর নামে। তিনি যোগ করেছেন সঙ্গীতশিল্পীর প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধা। প্রধানমন্ত্রী টুইট করে লিখেছেন, “লতা দিদিকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ করছি। অনেক কিছু আছে যা আমি মনে করি… অসংখ্য ইন্টারঅ্যাকশন রয়েছে যাতে তিনি অনেক স্নেহ বর্ষণ করতেন। আমি আনন্দিত যে আজ, অযোধ্যায় একটি চকের নামকরণ করা হবে তাঁর নামে। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ ভারতীয় আইকনের একজনের প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি।

তিনি পরলোক গমন করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন যে তিনি অযোধ্যার একটি চৌরাস্তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন যা কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের নামে নামকরণ করা হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে।
ইউপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যার চকের নাম ভারতরত্ন সম্মানীর নামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি ৬ ফেব্রুয়ারি একাধিক অঙ্গ খারাপ হওয়ার কারণে প্রয়াত হওয়ার কয়েকদিন পরেই। চৌরাস্তায় ১৪ টন ওজনের একটি ৪০ ফুট লম্বা এবং ১২ মিটার উঁচু বীণা ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী একটি টুইটে চকের নতুন চেহারার গ্রাফিক ভিজ্যুয়াল চিত্রিত একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন।

“শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসাবে এবং কিংবদন্তী গায়িকা প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরজির সম্মানে, অযোধ্যার বিখ্যাত নয়া ঘাট ক্রসিংকে ‘লতা মঙ্গেশকর চক’ নামে নামকরণ করা হবে৷ আগামীকাল, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে মাননীয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজির সঙ্গে যোগ দেবো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে,” কিষাণ রেড্ডি শব্দ পর্যটন দিবসে টুইট করে বলেছেন। পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত রাম সুতার বিশাল ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন।

কাজের কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে ইডি কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন জ্ঞানবন্ত বলে জানা যাচ্ছে।


নির্দিষ্ট দিনের আগেই দিল্লিতে এসে ইডি দফতরে দেখা করেন জ্ঞানবন্ত সিং। কয়লা পাচার মামলায় বুধবার বেলা ১১টায় দিল্লিতে ইডি-র দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জ্ঞানবন্ত সিংকে। কিন্তু কাজের কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবারই দিল্লিতে ইডি কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন জ্ঞানবন্ত বলে জানা যাচ্ছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জ্ঞানবন্তকে ইডি দিল্লিতে তলব করে।

কয়লা পাচার মামলাতে তলব করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের ডিসি আকাশ মেঘারিয়াকে। ২৬ সেপ্টেম্বর কয়লা পাচার মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। তবে জ্ঞানবন্ত সিং-কে তলব করার পরই নির্দিষ্ট দিনের আগে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

এর আগে এই মামলাতে আট আইপিএস অফিসারকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আকাশ মেঘারিয়াকে ইতিমধ্যেই কয়লা পাচার মামলা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এবার জ্ঞানবন্তের কাছ থেকেও বেশ কিছু তথ্য পেতে চান তদন্তকারীরা। তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
.ইতিমধ্যেই এই মামলায় নাম জড়িয়েছে মন্ত্রী মলয় ঘটকের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। এক সঙ্গে মন্ত্রীর ৬ বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন তাঁরা। চলতি মাসের শুরুর দিকেই তাঁকে ডালহৌসির সরকারি বাসভবনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়লা পাচার মামলায় বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। এই মামলা গোটাতে এবার তেড়েফুঁড়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূতের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশও। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করার জন্য পুলিশ অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ভেলপুর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছে।


ঘড়ির কাঁটা ১০টা ছুঁইছুঁই। চোখের নিমেষে ফাঁকা হয়ে গেল রাস্তা। যে যার ঘরে ঢুকে দরজায় খিল দিলেন। কেন? রাত বাড়লেই যে দেখা মিলছে ‘তেনাদের’। কখনও বাড়ির ছাদে বসে পা দুলাচ্ছেন, কখনও আবার এক ছাদ থেকে আরেক ছাদে লাফিয়ে বেড়াচ্ছেন। ভূতের ভয়েই কাঁটা বারাণসীর বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো, যেখানে সাদা রঙের ‘ভূতে’র দেখা মিলেছে।



জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভূতের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। রাত হলেই বিভিন্ন বাড়ির ছাদে দেখা মিলছে সাদা রঙের এক অবয়বের। গড়ন অনেকটাই মানুষের মতো, কিন্তু তার চোখ-মুখ নেই। সম্প্রতি এক ব্যক্তি সন্দেহজনক ওই অবয়বকে পাশের একটি বাড়ির ছাদে বসে থাকতে দেখেই ভিডিয়ো করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এরপর থেকেই গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ভূতের আতঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে ছাদে যাওয়া তো দূর, রাত বাড়লেই বাড়ি থেকেও বেরতে রাজি হচ্ছেন না।

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূতের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশও। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করার জন্য পুলিশ অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ভেলপুর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছে। ওই থানার ইন্সপেক্টর রমাকান্ত দুবে বলেন, “ভিডিয়োটি দেখে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা এফআইআর দায়ের করেছি। ওই এলাকায় পুলিশের পেট্রোলিংও বাড়ানো হয়েছে, দ্রুত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।”

জানা গিয়েছে, সাদা চাদরে মোড়া ওই অবয়বকে প্রথমে বারাণসীর বাড়ি গাবি এলাকার ভিডিএ কলোনিতে দেখা গিয়েছিল। একটি ছায়াকে ছাদের উপর দিয়ে অনায়াসে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এক ব্যক্তি ওই ভিডিয়ো রেকর্ড করে হোয়াটসঅ্য়াপে পাঠাতেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এর দিন কয়েক পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়, প্রত্যেকটি ভিডিয়োতেই ওই সাদা অবয়বকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। অধিকাংশই ওই ভিডিয়োকে ভুয়ো বলে মনে করলেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বারাণসীর ডিসিপি জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভিডিয়ো দেখলেও যেন তা ফরওয়ার্ড না করা হয়।

২০২২ সাল রণবীর কাপুরের জন্য একটি বিশেষ বছর। তিনি কেবল তাঁর জীবনের প্রেমকে বিয়েই করেননি, বরং 'ব্রহ্মাস্ত্র' ছবির মাধ্যমে একটি ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা বলিউডকে দিয়েছেন।


৪০-এ পা ইশার শিবার। আজ জন্মদিন কাপুর পরিবারের আদরের ছেলে রণবীর কাপুরের। এই বিশেষ দিন উদযাপনের জন্য কাছের মানুষদের উপস্থিতিতে রণবীর তাঁর বান্দ্রার বাসভবনে একটি মধ্যরাতের পার্টির আয়োজন করেছিলেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহর, বন্ধু অয়ন মুখোপাধ্যায়, আদিত্য রায় কাপুর, লভ রঞ্জন, আকাশ আম্বানি সেই পার্টির অংশ ছিলেন। রণবীরের মা অভিনেত্রী নীতু কাপুরও ছেলের বিশেষ দিনের আনন্দ যোগ দিতে এসেছিলেন মধ্যরাতে। জন্মদিনের আগের দিন অভিনেতাকে স্ত্রী আলিয়া ভাটের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁদের কৃষ্ণ রাজ বাংলোর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করতে। দম্পতি এই প্লাশ নতুন প্যাড তৈরি হয়ে গেলে সেখানে চলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।



রণবীরের দেওয়া এই মধ্যরাতের পার্টির কিছু ছবি পাপারাজ্জিরা ক্যামেরাবন্দি করেন। নীতু সহ বাকি সকল তারকা-পরিচালকদের রাতে রণবীর-আলিয়ার ব্রান্দ্রার এখনকার বাসভবনে ঢুকতে দেখা যায়। সেই ছবি এখন ভাইরাল।

রণবীরের জন্মদিনের মধ্যেরাতের পার্টিতে নীতু, করণ. অয়ন

২০২২ সাল রণবীর কাপুরের জন্য একটি বিশেষ বছর। তিনি কেবল তাঁর জীবনের প্রেমকে বিয়েই করেননি, বরং ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির মাধ্যমে একটি ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা বলিউডকে দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই তিনি বাবাও হতে চলেছেন। কাজের দিক থেকেও প্রবল ব্যস্ত তিনি। একের পর এক ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। রণবীরকে শীঘ্রই লভ রঞ্জনের শিরোনামহীন ছবিতে দেখা যাবে, যেখানে তিনি শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। ছবিতে বনি কাপুর এবং ডিম্পল কাপাডিয়া রণবীরের বাবা-মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই ছবি দিয়েই বনি কাপুর অভিনেতা হিসেবে বলিউডে ডেবিউ করছেন।

এছাড়াও রণবীরকে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘অ্যানিমাল’ ছবিতেও দেখা যাবে। প্রথমবার তিনি দক্ষিণের অভিনেত্রী রশ্মিকা মনদানার সঙ্গে জুটি বাঁধছেন। ববি দেওল এবং অনিল কাপুর ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন। রণবীরকে ‘ব্রহ্মাস্ত্র ২: দেব’ ছবিতেও থাকছেন। পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই সিক্যুয়েলের স্ক্রিপ্টে কাজ শুরু করছেন বলেই খবর।


সাদা পোশাক পরিহিত কেউ হেঁটে যাচ্ছে ছাদে। বারাণসীর গাবি এলাকার ভিডিএ কলোনিতে এমনই একটি ভিডিয়ো ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, সেটি একটি ভূত।

সাদা পোশাক পরিহিত কেউ হেঁটে যাচ্ছে ছাদে। বারাণসীর গাবি এলাকার ভিডিএ কলোনিতে এমনই একটি ভিডিয়ো ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, সেটি একটি ভূত। সাদা গাউন পরে এক মহিলা সেই ছাদে হাঁটছিলেন, যাঁকে স্থানীয়রা ভূত ছাড়া আর কিছু মানতে রাজি নন। প্রাথমিক ভাবে ঘটনার একটি হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল বারাণসীর ওই এলাকায়, যা নিয়েই মূলত ভয়ের সূত্রপাত। তারপর সেই ভিডিয়ো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ছড়িয়ে পড়ার পর এখন চূড়ান্ত ভাইরাল।

যিনি এই ভিডিয়ো রেকর্ড করেছেন, তাঁর দাবি একদিন নয়, বেশ কয়েকদিন ওই গাউন পরিহিত মহিলাকে তিনি মধ্যরাতে ছাদে অস্বাভাবিক ছন্দে হাঁটাচলা করতে দেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ এই ভিডিয়োকে সত্যি বললেও, কেউ কেউ আবার এটিকে নকল ভিডিয়ো আখ্যাও দিয়েছেন

স্থানীয় বাসিন্দা সুরেশ সিং বলেছেন, “এটি একটি জাল ভিডিয়ো মনে হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক ভয় রয়েছে। তাই আমরা সত্যটা জানতে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পুলিশের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ভেলুপুর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

ভেলুপুর থানার ইনসপেক্টর রমাকান্ত দুবে বলেছেন, “মানুষের মধ্যে খুব আতঙ্ক রয়েছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি এবং এলাকায় টহল জোরদার করেছি।

সিনিয়র অ্যাকাউন্টস অফিসার, প্রাইভেট সেক্রেটারি, অ্যাকাউন্ট্যান্ট অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টস অফিসার পদে নিয়োগ করা হবে।

ইউনিয়ন আইডেন্টিফিকেশন অথোরিটি অব ইন্ডিয়া অথাব ইউআইডিএআই সেকশন অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার. সিনিয়র অ্যাকাউন্টস অফিসার, প্রাইভেট সেক্রেটারি, অ্যাকাউন্ট্যান্ট অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টস অফিসার পদে নিয়োগ করা হবে। বেঙ্গালুরু, মুম্বই, রাঁচি, আহমেদাবাদের টেক সেন্টার ও রাজ্য অফিসে কর্মী নিয়োগ করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইচ্ছুক চাকরিপ্রার্থীরা অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সব মিলিয়ে মোট ৮টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে

শিক্ষাগত যোগ্যতা

এই পদে আবেদনকারীদের জন্য কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারি অফিসার পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই পদে আবেদনকারীদের বয়স ৫৬ বছরের মধ্যে হতে হবে।]

বেতন

এই পদের জন্য মাসে ৪২,৩০০ টাকা থেকে ১,১৫,২৭০ টাকা বেতন দেওয়া হবে।

কীভাবে আবেদন করবেন?

আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট বয়ানে আবেদন পাঠাতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, আবেদন পাঠানোর যেন শেষ তারিখের আগে নিম্নলিখিত ঠিকানায় পৌঁছয়।



চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নারকেলদাহা গ্রামে ৷ ইতিমধ্যেই ওই গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পূর্ব মেদিনীপুর: বাপের বাড়িতে রান্না হচ্ছে মাংস। ফোন আসতেই সেখানে যেতে বায়না ধরে বাড়ির বউ। তবে যখন ফোন আসে সেই সময় তাঁর স্বামী বেরিয়েছেন বাজার করতে। স্বামীকে ফোন করে ওই গৃহবধূ জানান তিনি বাপের বাড়ি যেতে চান। কিন্তু, স্বামী তাঁর কথা শোনা মাত্রই জানান তিনি মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই আর বাপের বাড়ি যাওয়ার দরকার নেই। স্বামীর কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন ওই মহিলা। বাড়িতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। গালিগালাজও করতে থাকেন বলে খবর। এদিকে বাড়ির বউয়ের এই রণংদেহি মূর্তি দেখে তাঁকে থামাতে যান শ্বশুর। আর তখনই ওই গৃহবধূ শ্বশুরের অন্ডকোষ ধরে হ্যাঁচকা টান মারেন বলে অভিযোগ। ছিঁড়ে বেরিয়ে যায় অন্ডকোষ(testicles)। মূহূর্তেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন শ্বশুর। যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করে দেন। 

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নারকেলদাহা গ্রামে ৷ অভিযুক্ত গৃহবধূর বাপের বাড়ি পাশেই বাকচা গ্রামে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর চিৎকার শুনেই এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারা তাঁদের বাড়িতে জড়ো হয়ে যান। যদিও তখনও একটানা চিৎকার করেই যাচ্ছেন ওই গৃহবধূ। সূত্রের খবর, এরপর ওই গৃহবধূকে একটি জায়গায় বেঁধে মারধরও করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন ওই গৃহবধূ। আহত শ্বশুরকে উদ্ধারকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। 

তবে বাপের বাড়ি গিয়ে গা ঢাকার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ততক্ষণে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয় ময়না থানায়। তদন্তে নামে পুলিশ। শেষে বাপের বাড়ি থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হয়। এ ঘটনাতে স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় ওই এলাকায়।



পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে তফাত বোঝা যায় খাদ্যাভ্যাস দেখেই। পুরুষদের বেশি পরিমাণ মাংস খাওয়ার অভ্যেস মানেই তা পরিবেশে আরও বেশি কার্বন ফুটপ্রিন্ট তৈরি করা।


সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা অনেক বেশি কার্বন ফুটপ্রিন্ট উৎপাদন করে। ফলে, পশু কল্যাণ সংস্থা পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিমালস বা ‘পেটা’ সমগ্র বিশ্বের মহিলাদের কাছে এক অভিনব আবেদন করেছে। সংস্থার আবেদন, মাংসভোগী পুরুষ এবং পরিবেশের ক্ষতি করছেন এমন পুরুষের সঙ্গে যৌনতা বন্ধ করুন মহিলারা। সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, পুরুষের কুকর্মের ফল ভোগ করা উচিত। পুরুষদের শিক্ষা দিতে নয়া পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা বলছে পশু কল্যাণ সংস্থা পেটা। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে, জলবায়ু সংকটের পিছনে পুরুষের মাংস ভক্ষণের বিরাট বড় ভূমিকা রয়েছে। এই কারণে মহিলাদের কাছে পেটার আবেদন— অতিরিক্ত মাংসভোগী পুরুষের বিরুদ্ধে যৌন ধর্মঘট ঘোষণা করুক মহিলারা। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ সমগ্র পৃথিবীকে ক্ষতিকারক পৌরুষের প্রদর্শনী ও পরিবেশ ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

পিএলওএস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, জলবায়ু বিপর্যয়ের পিছনে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ভূমিকা অনেক বেশি। প্রাথমিকভাবে এর পিছনে মূল কারণ হল প্রাণীর মাংস ভক্ষণ। পেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমিশাষী পুরুষের মাংস ভক্ষণের অভ্যেসের কারণে ৪১ শতাংশ বেশি গ্রিন হাউজ গ্যাস তৈরি হয়। তাদের আরও দাবি, পুরুষরা যা করেছে তার দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।

পেটার আরও দাবি,‘আমরা ওদের সবাইকে চিনি, শহরতলির পুরুষ মানেই হাতে বিয়ারের বোতল। আর দামি গ্যাসচালিত গ্রিল মেশিনে ওরা রসিয়ে চিমটে দিয়ে সসেজ সেকে।’ প্রতিষ্ঠানের তরফে আরও বলা হয়েছে, পুরুষরা বাকিদের কাছে পৌরুষ জাহিরের জন্য মাংসের বার্বিকিউ বানায়। মাংস গ্রিল করে। এই ধরনের পুরুষরা প্রাণীদের সঙ্গে পরিবেশেরও ক্ষতি করে।

প্রতিষ্ঠানের তরফে ডাঃ ক্যারিজ বেনেট জানিয়েছেন, পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে তফাত বোঝা যায় খাদ্যাভ্যাস দেখেই। পুরুষদের বেশি পরিমাণ মাংস খাওয়ার অভ্যেস মানেই তা পরিবেশে আরও বেশি কার্বন ফুটপ্রিন্ট তৈরি করা।

অন্যদিকে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে ও পরিবেশ রক্ষার্থে পেটা ‘মাংস কর’ বসানোর প্রস্তাব রেখেছে। পেটার জার্মানি শাখার তরফে ড্যানিয়েল কক্স দাবি করেছেন ৪১ শতাংশ মাংস কর বসানো উচিত পুরুষদের উপর।

পেটার এই দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা দিতে শুরু করেন তাদের প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলেন, মাংস ভক্ষণকারী মহিলাদের নিয়ে পেটা কিছু বলছে না কেন? কেউ আবার বলেন পেটার হলটা কী? এক নেটিজেন বলেন, খাবার নষ্ট করলেই কার্বন ফুটপ্রিন্ট তৈরি হয়। তা যে কোনও খাদ্যই। এমনকী নিরামিশাষীরাও কার্বন ফুটপ্রিন্ট তৈরি করে। আলাদা করে মাংসভোগীদের নিয়ে মন্তব্য কার অর্থ কী? একদল নেটিজেনের আবার মন্তব্য, প্রাণীদের খামারে চাষ করা হয় খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার জন্যই, তাতে ভুলটা কোথায়?

নেটিজেনরা এও বলছেন, শরীরের জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিডের বেশিরভাগটাই মেলে প্রাণীজ প্রোটিনে। এই ধরনের জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসডি তাহলে কীভাবে পাওয়া যাবে? আর একজন নেটিজেনের সরস মন্তব্য— মাংসভক্ষণকারী পুরুষরা যদি সেক্স স্ট্রাইক করে তাহলে মহিলাদের কী হবে

হেয়ার স্ট্রেটনার দিয়ে চুল স্ট্রেট করার আগে কিছু জরুরি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন...


চুল ছোট হোক বা লম্বা তা যেন স্ট্রেট থাকে, এই স্ট্রেট চুলই হল এখনকার ফ্যাশান। সকলেই চান লম্বা স্ট্রেট চুল। স্ট্রেট করা চুল দেখতে সুন্দর লাগে। সেই সঙ্গে চুলের একটা শাইনি ভাবও বজায় থাকে। বাইরে কোথাও যাওয়ার থাকলে আলাদা করে হেয়ার স্টাইল নিয়ে ভাবতে হয় না। আর এই স্ট্রেট চুলের সঙ্গে যে কোনও রকম পোশাকই মানানসই। শাড়ি, জিন্স, স্কার্ট, সবই ভাল লাগে দেখতে এই চুলের সঙ্গে। সেই সঙ্গে স্মার্ট লুকও বজায় থাকে। তবে স্ট্রেট চুল সুন্দর দেখাতে হলে তার জন্য নিয়মিত ভাবে কিছু ট্রিটমেন্টও করাতে হবে। অনেকেই পার্লারে গিয়ে পার্মানেন্ট স্ট্রেট করিয়ে নেন। এই স্ট্রেটনিং-এ বেশ কিছু কেমিক্যালও ব্যবহার করা হয়। তাই এক্ষেত্রে চুলের বেশি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। যদি নিজে স্ট্রেটনার কিনে চুল স্ট্রেট করার কথা ভাবেন তাহলে মেনে চলুন এই সব টিপস।





দুর্গাপুজোর পর ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে মন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক হতে পারে। সেখান থেকে সদর্থক কিছু বের হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।


দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলছে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। পুজোরও মুখেও চাকরির দাবিতে তাঁরা অনড়। তবে এরইমধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে একাধিক রায় শুনিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যও নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ডিসেম্বরের ১১ তারিখে হতে চলেছে বহু প্রতিক্ষীত টেট। অন্যদিকে চাকরির দাবিতে পথে নেমেছেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। এবার তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। সূত্রের খবর, চাকরির বিষয়ে আলোচনার জন্য পুজোর পর তিনি তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। 

সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর পর ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে মন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক হতে পারে। সেখান থেকে সদর্থক কিছু বের হয় কিনা এখন সেটাই দেখার। সূত্রের খবর, বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন গোলাম রব্বানি। বৈঠকে বসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কৃষানু। যদিও মন্ত্রীর কাছে কোন ঠিক কোন দাবিমালা নিয়ে তাঁরা যেতে চলেছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা। যদিও তাতে শীর্ষ তালিকায় যে চাকরির দাবিই যে থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

সূত্রের খবর, রাজ্যে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শূন্যপদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে। সালটা ২০১৩। মোট ৩১৮৩টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে হয় লিখিত পরীক্ষা। ফল প্রকাশ হতে লেগে গিয়েছিল ২ বছরেরও বেশি সময়। ২০১৬ সালে শেষ পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার ফল বের হয়। ২০১৭ সালে ইন্টারভিউয়ের পর ২০১৮ সালে ১৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয় বলে জানা যায়। কিন্তু তারপর থেকে ১৭০০ পদ খালি পড়ে রয়েছে। এখন দেখার কত দ্রুত এই পদগুলিতে নিয়োগ হয়। 

নীলের মতো ব্যথিত স্বামীরা সমর্থন করেছেন। নীলায়ন নামে জনৈক ভক্তের মন্তব্য, ‘কেউ অন্তত সত্যি অনুভূতিটা বুঝতে পারছেন’।

আমি বেমানান, কেন থাকব যুক্তি দাও… আমায় মুক্তি দাও’, বলছেন নীল ভট্টাচার্য। কার থেকে মুক্তি চাই তাঁর? তৃণা সাহা, মানে তাঁর স্ত্রী থেকে। হঠাৎ কী হল তাঁদের মধ্যে? আসলে পুজো এসেছে। শপিং চলছে, তৃণার শপিংয়ের জন্য টাকা চাই। শুধু টাকা নয়, ক্রেডিট কার্ড পর্যন্ত নিয়ে নেয় তৃণা। বউকে এই সব কিছু দিতে দিতে কেঁদে ভাসাচ্ছেন নীল। কোন যুক্তিতে বউয়ের সঙ্গে থাকবেন সেই প্রশ্ন তাঁর। দেব-প্রসেনজিৎ অভিনীত ছবি কাছের মানুষ ছবির গান দিয়ে ভিডিয়ো করে তা ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন নীল। যেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে তৃণা তাঁর থেকে টাকা, ক্রেডিড কার্ড নিয়ে নিচ্ছেন।

নীল ভিডিয়ো শেয়ার করে প্রশ্ন তুলেছেন। কী উত্তর দিলেন তাঁর ভক্তরা? নীলের মতো ব্যথিত স্বামীরা সমর্থন করেছেন। নীলায়ন নামে জনৈক ভক্তের মন্তব্য, ‘কেউ অন্তত সত্যি অনুভূতিটা বুঝতে পারছেন’। সঙ্গে হাসির ইমোজি। ‘আবেগ আমাদের হৃদয়ের ভেতর থেকে আসে’। নীলও হাসির ইমোজি সহ উত্তর দিয়েছেন। একজন ভক্ত কষ্ট সহ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে কেষ্ট হওয়ার থেকে কষ্ট সহ্য করা অনেক মিষ্টি। একজন তো আবার পুরনো প্রবাদ তুলে এনে লিখেছেন, ‘এক সময় একজন দেবী বলেছিলেন তাঁর দেব কে, ” বিয়ের পর তোমার টাকা আমার, কিন্তু আমার টাকা শুধুই আমার…” আপনি কী এটা অনুসরণ করছেন @নীল_ভট্টাচার্য স্যার জি.. ঠিক বল্লাম না?’

পুরুষদের এই সব মন্তব্য দেখে চুপ নেই তৃণার অনুরাগীনীরা। একজন তিনি ঠিক করেছেন বলে, তাঁকে সমর্থন করেছেন।সিনেমার গানকে সুন্দরভাবে ব্যবহার করেছেন রিল করার জন্য তাও বলেছেন ভক্তরা।

অন্যদিকে দেব খুব খুশি তাঁদের ছবির গান এমন সুন্দর করে ব্যবহার করে ছবির প্রচারে সাহায্য করার জন্য। ভালবাসা ইমোজি দিয়ে দেব ‘লাভ ইউ গাইস’ বলেছেন। নীলও তাঁর ইন্ডাস্ট্রির দাদার মন্তব্য উত্তর দিয়েছেন, ‘লাভ ইউ দাদা’



বছর পাঁচেক আগে মিনতি দেবীর কোমর ভেঙে যায়। সূত্রের খবর, তারপর থেকে তিনি সেভাবে হাঁটাচলা করতে পারতেন না।



রবিনসন স্ট্রিটের (Robinson street) ছায়া এবার হাওড়ার (Howrah) রামরাজাতলার নন্দীপাড়া এলাকায়। তিন দিন ধরে মায়ের পচাগলা মৃতদেহ আগলে বসে রইলে মেয়ে। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জগাছা থানার পুলিশ গিয়ে মিনতি কুন্ডু (৭৫) নামে ওই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করল। এদিন সন্ধ্যায় মিনতি দেবীর মেয়ে সুমনা কুন্ডু (৪১) নিজেই প্রতিবেশীদের ডেকে জানান, তাঁর মা গত রবিবার ভোরে মারা গিয়েছেন। তিনি মা কে বাড়ির ভিতরেই সমাধি দিতে চান। মেয়ের মুখে এই কথা শুনেই চমকে ওঠেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই মৃতার ছেলে সুদীপ্ত কুন্ডুকে খবর দেন।



তিনি আবার অন্যত্র থাকেন। এর পরই খবর যায় পুলিশে। তাঁরা দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সুমনা কুন্ডু মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই তিনি মায়ের মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এলাকায় ‘ময়ূর’ বাড়ি বলে পরিচিত ওই বাড়ির গৃহকর্তা ছিলেন সুবোধ কুন্ডু। একসময় তাঁদের অনেক ব্যবসা ছিল। রামরাজাতলার শংকর মঠ এলাকায় ধনী পরিবার বলেই পরিচিত ছিলেন। ২০০০ সালে সুবোধবাবু ও মিনতিদেবীর ছেলে সুদীপ্ত বাড়ি ছেড়ে চলে যান। বছর দেড়েক আগে মারা যান সুবোধবাবু। তার পর থেকে ওই দোতলা বাড়িতে থাকতেন মিনতি দেবী ও তাঁর মেয়ে সুমনা। সুমনাদেবী কিছু কাজকর্ম করতেন না। এমনকী প্রতিবেশীদের কারও সঙ্গে তাঁরা মিশতেন না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর। বাইরেও খুব একটা তাঁদের দেখা যেত না বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। 

বছর পাঁচেক আগে মিনতি দেবীর কোমর ভেঙে যায়। সূত্রের খবর, তারপর থেকে তিনি সেভাবে উঠে হাঁটাচলা করতে পারতেন না। ফলে পরিবারটি কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিল। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দোতলা বাড়ির দোতলায় মিনতি দেবীর শোওয়ার ঘর থেকে তাঁর দেহটি উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অসুস্থতার কারণেই রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় মিনতিদেবীর। এর পর মানসিকভাবে অসুস্থ মেয়ে কাউকে কিছু না বলেই দেহ আগলে বসেছিলেন। তবে এর পিছনে অন্য কিছু আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এ ঘটনায় স্বভাবতই চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়

প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।
ওমএমআর শিট নষ্ট নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের।
‘অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে নষ্ট করা হয়েছিল ওএমআর শিট’।

১ হাজারের বেশি OMR শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি হয়েছে। আর এর পিছনে রয়েছেন SSC’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সোমবার, আলিপুর আদালতে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে CBI এরপর মঙ্গলবার প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে নষ্ট করা হয়েছিল ওএমআর শিট, বাছাই করা সংস্থাকে নষ্ট করার বরাত দেওয়া হয়েছিল, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সিবিআই', নির্দেশ হাইকোর্টের । 

 ‘এফআইআর দায়ের করবে সিবিআই’
বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার ভূমিকা খতিয়ে দেখবে সিবিআই’। ‘২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কার কার ওএমআর শিট নষ্ট? সেই তথ্য অজানা পর্ষদের কাছে' , মন্তব্য বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘ওএমআর শিট নষ্টের বিষয়ে পর্ষদের ভূমিকা সন্দেহজনক ও ঢিলেঢালা, সাংবিধানিক সংস্থার কাছে এই ভূমিকা প্রত্যাশিত নয়’, রিপোর্ট দেখে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এফআইআর দায়ের করবে সিবিআই’। 

পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে আজ রাত ৮টার মধ্যে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। সহযোগিতা না করলে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। নির্দেশ হাইকোর্টের। বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ওএমআর শিট নষ্টের বিষয়ে পর্ষদের ভূমিকা সন্দেহজনক ও ঢিলেঢালা। সাংবিধানিক সংস্থার কাছে এই ভূমিকা প্রত্যাশিত নয়, রিপোর্ট দেখে মন্তব্য বিচারপতির। 

অন্যদিকে, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোমবার আলিপুর আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে CBI। তাদের বক্তব্য, ১ হাজারের বেশি OMR শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি হয়েছে। আর এর পিছনে রয়েছেন SSC’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এদিন আদালতে CBI’এর আইনজীবী দাবি করেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। অনেকে যুক্ত রয়েছেন। শেষ অবধি পৌঁছতে হবে। কার কী ভূমিকা ছিল, তা দেখতে হবে। সুবীরেশ এমন ব্যক্তি যাঁর মাধ্যমে এই কাজটা করা যাবে। তখন বিচারক বলেন, এই ছ’দিনে কী করলেন? তখন CBI’এর আইনজীবী বলেন, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সব তথ্য CD’তে আছে।


CBI’এর তদন্তকারী অফিসার আদালতে দাবি করেন, OMR শিট বা উত্তরপত্রে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। তখন বিচারক জানতে চান, কীকরে বুঝলেন উত্তরপত্রে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে? তখন তদন্তকারী অফিসার বলেন, সার্ভার পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই সার্ভার পরীক্ষা করে জানা গেছে, প্রায় ১ হাজারের উপর উত্তরপত্রে কারচুপি করা হয়েছে।

শান্তনু সেনের এই মন্তব্যে বেশ কিছুটা আবেগপ্রবণ হতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। তবে তাঁরা নিজেদের দাবিতে অনড়।

অস্থায়ী কর্মীদের লাগাতার আন্দোলন। আর তার জেরেই থমকে SBSTC বাস পরিষেবা। যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। তার পরেই পরিবহণ মন্ত্রীর আশ্বাস, অস্থায়ী কর্মীরা মাসে ২৬ দিন যাতে কাজ পান, তা নিশ্চিত করা হবে। বিবেচনা করা হবে অন্য সব দাবিও। কিন্তু সেই আশ্বাসেও চিড়ে ভেজেনি। উত্‍সবের মুখে ফের সচল হবে চাকা? যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা আদৌ তৃণমূলের কেউ নন বলে এবার দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। কারণ বিক্ষোভকারীরা দলের গাইডলাইন মানছেন না। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে শান্তনু সেন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাংলায় বন্ধ, অবরোধের কালচারটা উঠে গিয়েছি। তৃণমূল এই নীতিতে বিশ্বাস করে না। আমাদের আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি ঋতব্রত বলেছেন, যাঁরা এটা করছেন, তাঁরা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আমাদের ট্রেড ইউনিয়নের কেউ নন।”



তিনি বলেন, “যাঁরা এই আন্দোলন করছেন. তাঁদের ইস্যু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সংবেদনশীলতার সঙ্গেই দেখছেন।” তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বক্তব্য, বিক্ষোভকারীরা পার্টির লাইন মেনে চলছেন না।

শান্তনু সেনের এই মন্তব্যে বেশ কিছুটা আবেগপ্রবণ হতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। তবে তাঁরা নিজেদের দাবিতে অনড়। দুর্গাপুরের আইএনটিটিইউসি-র নেতা শমীক সরকার বলেন, “জোড়া ফুল- তৃণমূল করছি আমি। আমরা যদি তৃণমূল না করি, তাহলে কী বলব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মা। আমাদের আজ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। যদি পরিবহণমন্ত্রী দাবি না মানেন, তাহলে বউ বাচ্চাকে রাস্তায় শুইয়ে দেব।”



অন্য আরেক নেতা, “এখন যদি ওঁরা বলে দেন, আমরা তৃণমূলের কেউ নই, তাহলে তো আর প্রমাণ করতে পারব না। তবে আমরা মায়ের ছেলে। আজ কোমর মাটিতে ঠেকে গিয়েছে। তাই এই আন্দোলন।”

মঙ্গলবারই স্বরাষ্ট্রসচিব যেন পিএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেন, সে নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

ফের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকাকে ফরেন্সিক বিভাগের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন শুনানিপর্বে জানতে চান, ফরেন্সিক বিভাগের ১৭ শূন্যপদে কেন নিয়োগ হয়নি? এদিন বিচারপতি নির্দেশ দেন পুজোর আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার। আর যাতে দেরি না হয়, নির্দেশ দেয় আদালত।

এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, পুজোর আগেই ১০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের যদি কোনওরকম অন্যথা হয় সেক্ষেত্রেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে এদিন স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকাকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন বিচারপতি। স্বরাষ্ট্রসচিবের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, পুজোর আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে।

এ নিয়ে মঙ্গলবারই স্বরাষ্ট্রসচিব যেন পিএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেন, সে নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অর্থাৎ পঞ্চমী থেকেই নিয়োগ পদ্ধতির প্রথম পদক্ষেপ করতেই হবে। এদিনই বেলা ২টোর মধ্যে পিএসসি চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্রসচিবের মধ্যে আলোচনার নির্যাস জানাতে হবে আদালতকে।

গত কয়েকদিনে একাধিক মামলায় পুজোর আগে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত সেসমস্ত নির্দেশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশের পরই সোমবার নিয়োগ সংক্রান্ত বড় ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১১ হাজারের বেশি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ হবে বলে জানানো হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, ১১ হাজার শূন্যপদের জন্য তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। পুজোর আগেই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।


পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনও সোমবার জানিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন হয়েছে। আদালতের অনুমতি পেলে ১৫৮৫ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এসএসসি। ১১ বিষয়ের জন্য এই নিয়োগ হবে। আদালতের অনুমতি পেলে পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার ফের দাম কমল সোনা-রুপোর। এদিন ১০ গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনার দাম কমেছে ২০০ টাকা।


দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গিয়েছে। ঢাকে কাঠি পড়েও গিয়েছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। এই আবহে সোনার গয়না কিনতে যাঁরা ইচ্ছুক তাঁদের জন্য রইল কলকাতায় সোনা-রুপোর দর। আর পুজোর আগে ফের দাম কমল সোনার। এদিন ১০ গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনার দাম কমেছে ২০০ টাকা। আর ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম কমেছে ২৩০ টাকা। এদিন সোনার পাশাপাশি দাম কমেছে রুপোরও। মঙ্গলবার ১ কেজি রুপোর দাম কমেছে ৯০০ টাকা।

মঙ্গলবার বেলা ১ টা অনুযায়ী কলকাতায় সোনা-রুপোর দাম :

২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনা (১ গ্রাম) : ৪,৫৮০ টাকা

২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনা (৮ গ্রাম) : ৩৬,৬৪০ টাকা

২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনা (১০ গ্রাম) : ৪৫,৮০০ টাকা

২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনা (১০০ গ্রাম) : ৪,৫৮,০০০ টাকা

২৪ ক্যারেট পাকা সোনা (১ গ্রাম) : ৪,৯৯৭ টাকা

২৪ ক্যারেট পাকা সোনা (৮ গ্রাম) : ৩৯,৯৭৬ টাকা

২৪ ক্যারেট পাকা সোনা (১০ গ্রাম) : ৪৯,৯৭০ টাকা

২৪ ক্যারেট পাকা সোনা (১০০ গ্রাম) : ৪,৯৯,৭০০ টাকা

১ কেজি রুপোর বাটের দাম : ৫৫,৪০০ টাকা

সোনা-রুপোর তুলনামূলক দাম :

পুজোর আগেই দাম কমছিল সোনা-রুপোর। এবার সেই ট্রেন্ড বজায় রেখেই মঙ্গলবার ফের দাম কমল সোনার। এদিন গত ৬ মাসে সর্বনিম্ন রয়েছে সোনার দাম। রুপোর দামেও বড় পতন দেখা গিয়েছে এদিন।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বাজারে ১ ট্রয় আউন্স সোনার দাম ছিল ১.৬৪৬.৪৬ মার্কিন ডলার। এদিন বিশ্ববাজারে আরও কিছুটা দাম কমল সোনার। এদিন বিশ্ব বাজারে ১ ট্রয় আউন্স সোনার দাম রয়েছে ১,৬৩৪,৪০ মার্কিন ডলার।

সোনার শেয়ার বাজারের দাম :
মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি লেখার সময় দাম কমেছে টাইটান কোম্পানির শেয়ারের। এদিন এই কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে হয়েছে ২,৬০৪ টাকা। এদিন কল্যাণ জুয়েলারের শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৯০.৯০ টাকা। এদিন দাম কমেছে পিসি জুয়েলারের শেয়ারেরও। এই সংস্থার শেয়ারের দাম কমে হয়েছে ৮৩.৫০ টাকা।

চুঁচুড়াতে তিনি বলেন, "এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁদের দমবন্ধ মনে হচ্ছে। সবাই তো চুরি করেননি। এই কনফিডেন্সটা আমি দিচ্ছি।"


৩৮ জন আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তার মধ্যে ২১ জন আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে।” তৃণমূল বিধায়কদের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা আবারও উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। চুঁচুড়াতে তিনি বলেন, “এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁদের দমবন্ধ মনে হচ্ছে। সবাই তো চুরি করেননি। এই কনফিডেন্সটা আমি দিচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এক গুচ্ছ নেতা। ফল প্রকাশের পর তাঁদেরকে আবার একে একে ঘরে ফিরতেও দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একাধিক হেভিওয়েট নেতাও ছিলেন। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল পদ্মশিবির। দল ভাঙানোর ম্যাচ হেরে বিদ্ধ হতে হয়েছিল পদ্মশিবিরকে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আর তারপর লোকসভা। তার আগে আবার যাতে কোনও ‘পচা আলু’ দলে না ঢোকে, তার জন্য আগেই বার্তা দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

তিনি বলেছিলেন, ‘দলে আরও কোনও পচা আলু নেওয়া হবে না।’ এদিন সেই প্রসঙ্গেই মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “ওঁ বলেছিলেন পচা আলু নেবেন না। কিন্তু আমি বলেছি, এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁদের দমবন্ধ মনে হচ্ছে। সবাই তো চুরি করেননি। এই কনফিডেন্সটা আমি দিচ্ছি। তাঁরা সবাই সমান নয়। আমি যাঁদের নাম নিয়েছি, তাঁরা এমন নন। এরপর শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন।”



কিন্তু সংখ্যাটা কত? এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মিঠুন বলেন, “২১ জন নয়, ৩৮ জনের কথা আমি বলেছি। তাঁদের মধ্যে ২১ জন সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অনেক তৃণমূলের বিধায়ক আছেন, যারা সরাসরি দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।” মিঠুন বলেন, “তৃণমূলের সবাই চোর নয়। কিন্তু তাদের অনেকেরই দম বন্ধ হয়ে আছে। না খায়া, না পিয়া, গ্লাস তোরা চার আনা”

ভারতীয় দলের স্পিন অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মার রান আউটের ধরন নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। দীপ্তি নিজে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। চার্লি ডিনকে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি শোনেননি বলেই জানান দীপ্তি। তারপরই ভারতীয় অলরাউন্ডারকে মিথ্যেবাদী বলে দিলেন ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন হেদার নাইট।


লর্ডসে ভারত-ইংল্যান্ড মেয়েদের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। ঝুলন গোস্বামীর বিদায়ী সিরিজ এখনও শিরোনামে ভারতীয় দলের স্পিন অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মার রান আউট করার ধরন নিয়ে। ‘মানকাড’ পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডের চার্লি ডিনকে আউট করতেই ম্যাচ ও সিরিজ দুটোই জিতে নেয় ভারত। চোখের জলে মাঠ ছাড়েন চার্লি ডিন। তারপর থেকে দীপ্তি শর্মার উপর দাঁত নখ বের করে আক্রমণ করা শুরু করেছে ইংরেজরা। স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসনরা দীপ্তির মানসিকতা, নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দেরীতে হলেও বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছেন ইংল্যান্ডের মহিলা দলের অধিনায়ক হেদার নাইট। চোটের কারণে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে খেলেননি নাইট। তবে টিপ্পনি করতে ছাড়লেন না। সীমা অতিক্রম করে দীপ্তি শর্মাকে মিথ্যেবাদী বলতেও ছাড়লেন না!

সোমবার ঝুলন গোস্বামীর সঙ্গে কলকাতায় ফিরেছেন দীপ্তি শর্মাও। দেশে ফিরেই সোমবার ওই বিতর্কিত রান আউট নিয়ে মুখ খোলেন। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের দীপ্তি বলেন,’এটা পরিকল্পনা করেই করেছি। তার আগে অনেকবার ওকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ও বারবার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টা আম্পায়ারকেও জানিয়েছিলাম।’ বারবার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন চার্লি। তাঁর মুভমেন্ট বহুক্ষণ ধরেই নজরে রাখছিলেন হরমনপ্রীত-দীপ্তিরা। ৩৬তম ওভারে ক্যাথরিন ক্রসকে আউট করেন বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা ঝুলন গোস্বামী। ক্লিন সুইপের জন্য মাত্র ১ উইকেট প্রয়োজন ছিল ভারতের। বোলিংয়ে ছিলেন দীপ্তি। নন স্ট্রাইকার প্রান্তে চার্লি ডিন। দীপ্তি বোলিং রান আপ থেকে এগোতেই ক্রিজ ছেড়ে অনেকটা এগিয়ে যান চার্লি। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে সময় নেননি দীপ্তি।

এই সিরিজে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া অ্যামি জোনস কোনওরকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন। এদিকে চোটের জন্য মাঠের বাইরে থাকলেও ইংল্যান্ডের নিয়মিত ক্যাপ্টেন হেদার নাইট ঝাঁঝিয়ে উঠেছেন দীপ্তির মন্তব্যে। টুইটারে নাইট লেখেন, “ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে। চার্লিকে বৈধভাবেই আউট করা হয়েছে। ভারত এই ম্যাচ এবং সিরিজ জেতার দাবিদার ছিল। ওরাই জিতেছে। কিন্তু কোনওরকমভাবে সতর্ক করা হয়নি। আউটকে জাস্টিফাই করার জন্য এসব বলার প্রয়োজন নেই। ভারতের যদি এই আউট খুব সহজ বিষয় মনে হয় তাহলে সতর্ক করা নিয়ে মিথ্যে বলে এটাকে সত্যি প্রমাণিত করার মানে হয় না

মঙ্গলবারও বাস ডিপোতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কর্মীরা। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে আন্দোলনকারীদের।

জেলায়-জেলায় বিক্ষোভ অব্যাহত। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার এসবিএসটিসি (SBSTC) বাস ডিপোতে তুলকালাম। পরিবহণ মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেও বিক্ষোভ। বাস না মেলায় চূড়ান্ত ভোগান্তি যাত্রীদের। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বচসা। রীতিমত ডিপো থেকে জোর করে সরানো হল বিক্ষোভকারীদের। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে দিঘা থেকে ছাড়ল একটি বাস।


পুজো এসে গিয়েছে। ঢাকের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। তবে আন্দোলন চলছে এসবিএসটিসি-র অস্থায়ী কর্মীদের।যার জেরে পুজোর আগে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।আন্দোলনকারীদের দাবি, স্থায়ীকরণ, সম কাজে সম বেতন, সবেতন ছুটি মঞ্জ‍ুর, মাসে অন্তত ২৬ দিনের কাজ। আর এই লাগাতার কর্মবিরতির জেরে জেলায়-জেলায় চরমে যাত্রী হয়রানি। এ দিকে, হলদিয়া-দিঘা বাস ডিপোতেও চলছে অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ।

মঙ্গলবারও বাস ডিপোতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কর্মীরা। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে আন্দোলনকারীদের। পুজোয় দিঘায় প্রচুর পর্যটক আসবেন। এবার তাঁরা যাতে সমস্যার সম্মুখীন না হন সেই করণে অস্থায়ী কর্মীদের অবস্থান উঠিয়ে নিতে বলা হয়। তবে সেই কথা কানে না তুলেই বিক্ষোভ চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। তারপরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় হাতাহাতি। পরে দিঘা থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অবশেষে পুলিশের চেষ্টায় আন্দোলনকারীদের সরিয়ে শুরু হয় বাস চলাচল।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই সরকারি পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে দিঘা ডিপো থেকে সমস্ত রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারী অস্থায়ী শ্রমিকদের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনায় বসে পুলিশ। কিন্তু তাতেও সমাধান সূত্র না মেলায়, পুলিশ গিয়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থান ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তারপর শুরু হয় বাস চলাচল। ইতিমধ্যে আটক হয়েছেন চার শ্রমিক।



প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সকালে তাঁরা খালের মধ্যে উপুড় হয়ে কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখেছিলেন।


খাল থেকে এক যুবকের হাত পা বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সাতসকালে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের বাগবাড়ি খাল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সকালে তাঁরা খালের মধ্যে উপুড় হয়ে কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। প্রথমে তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। পরে ভাল ভাবে লক্ষ্য করে দেখতে পান ওটা দেহ। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে ডুবুরি নামিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।

দেহটি হাত পা বাঁধা বস্তা বন্দি অবস্থায় পড়েছিল। ভাঙড় থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, কয়েকদিন ধরেই এলাকায় দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। সোমবার থেকে তা ভীষণ প্রকট হয়ে ওঠে। গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়েই অনেকে খালের উঁকি দিয়েছিলেন। তখনই ওই বস্তাটি পড়ে থাকতে দেখেছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দেহটি দেখে শণাক্ত করতে পারেননি। দেহটি এলাকার কোনও বাসিন্দার নয় বলেই মনে করছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুন করে দেহ অন্যত্র ফেলে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, দেহটি মাঝবয়সী কোনও যুবকের হতে পারে। দেহে পচন ধরেছে। সেক্ষেত্রে মৃত্যু দু’তিন দিন আগেই হয়েছে বলে অনুমান। আপাতত দেহের শণাক্তকরণের চেষ্টা করছে পুলিশ


জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যে অংশ নিতে জাপানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শেষকৃত্যের আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে করলেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।


জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যে অংশ নিতে সোমবার রাতেই জাপানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার জাপানে পৌঁছেই বন্ধু আবের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠক করলেন মোদী। বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘আমরা আজ এই দুঃখের সময় দেখা করছি। আজ জাপানে পা রাখার পর আমার আরও দুঃখ হচ্ছে। কারণ আমি যখন শেষবার এসেছিলাম তখন আবের সঙ্গে অনেক কথাবার্তা হয়েছিল। কখনও ভাবিনি আমি চলে যাওয়ার পর এরকম একটি খবর আমাকে শুনতে হবে।’
এদিকে বৈঠকের পর মোদী বলেছেন, ‘আবের সঙ্গে আপনিও দেশের বিদেশমন্ত্রী হিসেবে ভারত-জাপান সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। এবং অনেক ক্ষেত্রে এই সম্পর্ককে প্রসারিতও করেছেন। আমাদের বন্ধুত্ব, ভারত ও জাপানের বন্ধুত্বও বিশ্বব্য়াপী প্রভাব তৈরিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর এই সবকিছুর জন্য আজ ভারতের নাগরিক আবেকে ও জাপানকে মনে রাখে। ভারত সবসময় তাঁকে মিস করবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘কিন্তু আমি নিশ্চিত যে আপনার নেতৃত্বে ভারত-জাপান সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজতে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হব’।



এদিন কিশিদা-মোদীর বৈঠক প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টোকিওতে পৌঁছেছেন। এরপর তিনি জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যে অংশ নেবেন। এর পাশাপাশি তিনি জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে ভারত-জাপানের মধ্যে বিশেষ কৌশলগত ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’ জানা গিয়েছে, তাঁরা একাধিক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়েও আলোচনা করেছেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও মে মাসেই মোদী-কিশিদা বৈঠক হয়েছিল। জাপানে কোয়াডভুক্ত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে গিয়েই কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় সামরিক সরঞ্জাম তৈরি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও আরও একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল তাঁদের। তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, ৫ জি পরিষেবা, সেমিকন্ডাক্টার বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির নানান দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। মুম্বই-আহমেদাবাদ হাই স্পিড রেল প্রকল্প নিয়েও দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল।

Follow us on


এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ফাইলের পর ফাইল উধাও। আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আলমারির পর আলমারি নেই। আর পাচ্ছে, কারণ ওদের লোক বসে। তৃণমূলের সরকার কারও চাকরি খায়নি।


আদি বালিগঞ্জ পুজোর উদ্বোধনে এসে বাম আমলের বাংলা নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পুজোর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একদিন তো এই বাংলাতেই ভারতবর্ষের রাজধানী ছিল। বাংলার সেই গ্ল্যামারটা গত ৩৪ বছরে সিপিএম থাকাকালীন নষ্ট করে ফেলেছিলাম। শুধু বদনাম, বদনাম। কখনও কৃষকের জমি দখল, কখনও গুলি চালনা, কখনও পা কেটে দেওয়া, কখনও নাক কেটে দেওয়া। কখনও ২১ জুলাই ১৩ জনের হত্যা, সিঙ্গুরের তাপসী মালিক হত্যা, নন্দীগ্রাম। এখানে এই কথাগুলি বলা উচিত কি না জানি না, তবে পাড়াটা দেখে মনে পড়ল।” এদিন বামেদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিটি শব্দই ছিল বেশ ধারাল। অন্যদিকে এদিনও ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্যের বিকৃতি নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।



মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি-সিপিএম তো এখন এক। সলিল চৌধুরীর গান চলছে, পথে এবার নামো সাথী…ওইটা দিয়ে চালাচ্ছে। মনে হচ্ছে ফিরে আসছে আর কী, কেউ ডাকছে ওকে ফিরে আসতে। কেউ কেউ বলছে, ‘৩৪ বছরে আমাদের সরকার তো এমন কিছু করেনি, তাই তোমরা কিছু করতে পারোনি’। আমি বলি ওটা মিথ্যা। কারণ আমরা স্লোগান দিয়েছিলাম, বদলা নয়। বদলা নয় বলেই জেনেশুনেও একটা গায়ে হাত দিইনি।”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ফাইলের পর ফাইল উধাও। আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আলমারির পর আলমারি নেই। আর এখন পাচ্ছে, কারণ ওদের লোক বসে। তৃণমূলের সরকার কারও চাকরি খায়নি। ফের সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মমতাকে বলতে শোনা যায়, “বিকাশবাবুকে বলুন আপনি কেস করবার আগে বার্থ সার্টিফিকেটটা যে দিয়েছিলেন, যেটা সবথেকে বড় স্ক্য়াম, সে কাগজগুলো কোথায়? আমাদের কাছে আছে। চুপি চুপি দেব, লুকিয়ে লুকিয়ে দেব। যখন চ্যালেঞ্জ করেছেন। সারদা কাদের আমলে এসেছে? আমি তো ২০১২ সালে গ্রেফতার করিয়েছি। আজ বড় বড় কথা। চোরের মায়ের বড় গলা।”

এদিন ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত বক্তব্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনেক বড় বড় কথা, জ্ঞান দিচ্ছেন কয়েকজন। খুব জ্ঞান। রোজ আমাকে নিয়ে ভ্যাঙাচ্ছে। ভ্যাঙাও। ভ্যাঙাতে ভ্যাঙাতে তুমি যেদিন নিজে বেঁকে যাবে সেদিন আমি তোমাকে সোজা করে দেব ভাল ডাক্তার দেখিয়ে।” এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমরা তো পিতৃপক্ষ বলতে গিয়ে… লোডশেডিং হয়ে গেছে, শ্রীভূমিতে চণ্ডীমন্ত্র ফেল। তারপর কাঁচি রেখে দিয়েছে। মাতৃপক্ষে আবার বেরিয়েছে।” বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের পুজো উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “বিজেপির লোকেরা বলছে আমি নাকি মন্ত্রই জানি না। যা জানি তা তোমাদের কান ধরে শেখাতে পারি। আরে ওইদিন সুজিতদের ওখানে শ্রীকুমার পরলো চণ্ডী। আগেরটা পরে পড়ছে। পরেরটা আগে। একটা ডিস্টার্ব হল। এরকম আগে পরে করলে অসুবিধা হয়। আর তাই দেখে বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু করল উনি মন্ত্র জানেন না।”

রামায়ণে গল্পে দেবীর অকাল বোধনের কথা রয়েছে। সেই গল্প ছোটবেলায় ঠাকুরমার কাছে শুনেছিল নদিয়ার কলাইঘাটার ছোট্ট দেবায়ন। সেই থেকেই মনের মধ্যে ইচ্ছা জেগেছিল। বাড়িতে দুর্গাপুজো করার ইচ্ছা। সেই সুপ্ত ইচ্ছা মনের মধ্যে নিয়েই ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে দেবায়ন। মনের গোপনেই সেই ইচ্ছা সযত্নে লালিত পালিত হতে থাকে। যখন একটু বড় হয় দেবায়ন, তখন সেই ইচ্ছা আরও বাড়ে। কিন্তু পুজোর আয়োজন করব বললেই তো আর করা যায় না। সে তো অনেক খরচ! দেবায়নের মা তাঁতের কাজ করেন। আর বাবা সাগরে মাছ ধরতে যান। দারিদ্রের ছোঁয়া পরিবারে সর্বত্র। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর জোগাড়। কীভাবে হবে দুর্গা পুজোর আয়োজন? দুর্গা প্রতিমা কেনার টাকাও জোগাড় করতে পারেনি দেবায়নের পরিবার।



তাই বলে কি ছোট্টবেলা থেকে লালিত-পালিত করা সেই ইচ্ছা দমে যাবে? না, তেমন হতে দেয়নি দেবায়ন। নিজেই বাড়িতে দুর্গাপ্রতিমা বানাতে শুরু করে। যখন প্রথম প্রতিমা বানানো শুরু করে দেবায়ন, তখন সে পঞ্চম শ্রেণিতে। তখন থেকেই দুর্গা প্রতিমা বানানো শুরু। এখন আরও দুই বছর পেরিয়ে গিয়েছে। দেবায়ন এখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। এই বছরও দেবায়ন শুরু করেছে দুর্গা প্রতিমা বানানোর কাজ। দেবায়নের এই উদ্যোগে খুশি পরিবারের লোকেরাও। খুশি আশপাশের প্রতিবেশীরীও।

ছোটবেলা থেকেই মামার বাড়িতে মানুষ দেবায়ন। দারিদ্রের সংসার। কিন্তু ছোটবেলা থেকে দেবায়ন যে দুর্গাপুজো করার স্বপ্ন দেখা আসছে, তাতে সে অনঢ়। দেবায়নের ইচ্ছা, বাড়িতে দুর্গোৎসব হবে। ধুনুচি নাচ হবে। ঢাকের বাজনা বাজবে। সেই স্বপ্ন নিয়েই পঞ্চম শ্রেণি থেকে আজ সপ্তম শ্রেণিতে দেবায়ন। প্রায় তিন বছর ধরেই দারিদ্রকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেছে পুজো। দেবায়নের তৈরি সেই ঠাকুর দেখতে ভিড় জমান অনেক দর্শনার্থীও। আর তাতেই বেশ খুশি দেবায়ন। দেবায়নের এই প্রতিমা বানানোয় উৎসাহ দিতে কোনও খামতি রাখেন না পরিবারের লোকেরা। দেবায়নের এই কাজে খুশি প্রতিবেশীরাও। পুজোর ক’টা দিন বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের নিয়ে আনন্দে মেতে থাকে দেবায়ন বিশ্বাস।

দেবায়ন জানিয়েছে, এই পুজো করার জন্য তার খরচ হয় চার – পাঁচ হাজার টাকা। বাড়ির লোকেরাই এই টাকা দেয় দেবায়নকে। এছাড়া যাঁরা দেখতে আসেন, তাঁরাও খুশি হয়ে টাকা দেন। সেই দিয়েই হয় দেবায়নের পুজো।


লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। এবার মোদীকে কটাক্ষ করে টুইট করলেন রাহুল।



 একদিকে যখন কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত কংগ্রেসের ‘ভারত জড়ো’ যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তারই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। মূল্যবৃদ্ধি আর বেকারত্ব, যে দুই অস্ত্রে শান দিয়ে শাসক দলের মোকাবিলা করতে নামছে বিরোধী দলগুলি, সেই অস্ত্রেই ফের একবার আক্রমণ করলেন রাহুল। দেশের অন্যতম পুরনো দল হিসেবে কংগ্রেসের ভূমিকা কী, সেটা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি।


২০১৪-র পর ২০১৯-এ ক্ষমতায় আসতেও তেমন কোনও পথের কাঁটা পেরতে হয়নি নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপিকে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদী বারবার কংগ্রেস শাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস দেশের জন্য কী করেছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন একাধিকবার। তাই এবার দলের তরফে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন রাহুল।

শনিবার একটি টুইটে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রায় প্রশ্ন করেন, ৭০ বছর ধরে কী করেছে?’রাহুলের উত্তর, ‘আমরা কখনও ভারতে বেকারত্বের শীর্ষে পৌঁছে দিইনি। মূল্যবৃদ্ধিও এত বাড়তে দিইনি কখনও।’ রাহুলের কথায়, বিজেপি সরকার দরিদ্র মানুষের সরকার নয়, নারী বা শিশুদের সরকারও নয়, বিজেপি হল শুধুমাত্র ৫-৬ জন ধনী ব্যক্তির সরকার, যারা সব ব্যবসাকে প্রভাবিত করতে

সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের মানুষের উদ্দেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তারপরই এই জবাব দিলেন রাহুল।

নেলপলিশ পরা মাত্রই উঠে যায়। একদিনও স্থায়ী হয় না নখের রঙ। সমাধান পেতে পুজোর আগে মেনে চলতে পারেন এই টিপস...


পুজো শুরু হতে আর মাত্র সাত দিন। এই এক সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে। ইতিমধ্যেই পুজোর পোশাক কেনা হয়ে গিয়েছে। মেকআপের শপিংও প্রায় শেষ। পোশাকের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে নেলপলিশও কিনেছেন নিশ্চয়ই। এই পুজোতে পেডিকিওর ও ম্যানিকিওরও করিয়েছেন। শেপ করা নখে পছন্দের নেলপলিশ বুলিয়ে নেবেন এই পুজোয়। কিন্তু সমস্যা হল নেলপলিশ পরলেই নখের বারোটা বেজে যায়। নেলপলিশ পরা মাত্রই উঠে যায়। একদিনও স্থায়ী হয় না নখের রঙ। সারাদিনের বিভিন্ন কাজে নেলপলিশ উঠে যায়। নখের উপর অর্ধেক নেলপলিশ কখনওই দেখতে ভাল লাগে না। সম্পূর্ণ লুকের মধ্যে যদি হাতের নখে কিছুটা নেলপলিশ উঠে যায়, তা কখনওই মানানসই হয় না। তাই এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছি আমরা। পুজোর আগে মেনে চলতে পারেন এই টিপস…

নখের যত্ন নেওয়ার জন্য ম্যানিকিওর করিয়েছেন। কিন্তু নেলপলিশ পরতে গেলেও প্রাথমিক কয়েকটি বিষয়ের খেয়াল রাখতে হয়। নেলপলিশ এক লাগালেই যে কাজ হবে তা কিন্তু নয়। নেলপলিশ একবার লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। প্রথমবার শুকিয়ে গেলে আরও একবার নখের উপর নেলপলিশ লাগান। এটাকে বেসকোট দেওয়া বলে। সাধারণত একই রঙের নেলপলিশ বেসকোট দেওয়া হয়। কিন্তু ডিজাইনের ইচ্ছা থাকলে আপনি বেসকোট দেওয়ার জন্য যে কোনও রঙের নেলপলিশ ব্যবহার করতে পারেন।

বেসকোটের মতো টপকোটও জরুরি। নখের উপর খুব হালকা ভাবে নেলপলিশের আরও একটা কোট লাগিয়ে দিন। এই ক্ষেত্রে আপনি ট্রান্সপারেন্ট যে কোনও রঙ ব্যবহার করতে পারেন। এতে নেলপলিশের আসল রঙ ফুটে ওঠে। পাশাপাশি নখের উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়।

নেলপলিশ পরার সময় নখের কোণায় বিশেষ নজর রাখতে হবে। নখের প্রতিটা কোণায় ভাল করে নেলপলিশ লাগানো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। অনেক সময় নখের কোণে ভাল করে নেলপলিশ পড়ে না। ফলে তাড়াতাড়ি নখ থেকে নেলপলিশ উঠে যায়।

নেলপলিশ পরা শেষ মানেই যে সব কাজ শেষ তা কিন্তু নয়। নখের পাশাপাশি হাতের যত্ন নেওয়া এখনও বাকি। হাত ও নখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। দিনে দু’বার হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। এতে নখ ও হাতের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং নেলপলিশ দ্রুত উঠে যাবে না। পাশাপাশি বাড়ির দৈনন্দিন কাজ করার সময় সতর্কতা বজায় রাখুন। বাসন মাজা, ঘর মোছা, জামা-কাপড় কাচার সময় হাতে গ্লাভস ব্যবহার করুন। এতে নেলপলিশ উঠবে না।


সঠিক MRP দিয়ে ভারতে ফোনটি কেনা এখনও বহু দূর কা বাত! তার সবথেকে বড় কারণ হল, সরাসরি ফোনটি সংস্থার কাছ থেকে এখনই ভারতে কেনা যাচ্ছে না। আর যে সব থার্ড-পার্টি সংস্থার মারফত iPhone 14 Pro কেনা হচ্ছে, তারা মাত্রাতিরিক্ত টাকা চার্জ করছে।



প্রায় এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হতে চলল ভারতে iPhone 14 Pro উপলব্ধ হয়েছে। কিন্তু সঠিক MRP দিয়ে ভারতে ফোনটি কেনা এখনও বহু দূর কা বাত! তার সবথেকে বড় কারণ হল, সরাসরি ফোনটি সংস্থার কাছ থেকে এখনই ভারতে কেনা যাচ্ছে না। আর যে সব থার্ড-পার্টি সংস্থার মারফত iPhone 14 Pro কেনা হচ্ছে, তারা মাত্রাতিরিক্ত টাকা চার্জ করছে। সংবাদমাধ্যম News 18-এর টেক ডিপার্টমেন্ট দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রিটেলারদের সঙ্গে কথা বলে iPhone 14 Pro এবং 14 Pro Max ক্রয় করতে কাস্টমারদের কত টাকা খরচ করতে হবে, সে সম্পর্কে তথ্য তালাশ করেছে। অ্যাপলের সাপ্লাই সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই iPhone 14 Pro ও 14 Pro Max সঠিক দামে উপলব্ধ করতে জেরবার হতে হচ্ছে কাস্টমারদের। জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে থার্ড-পার্টি সংস্থাগুলি দেশে iPhone 14 সিরিজ়ের ফোনগুলি বিক্রি করতে 10,000-22,000 টাকা অতিরিক্ত চার্জ করছে।

রাজস্থানের জয়পুরের বিদিত শেখাওয়াত নামের এক ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার বলছেন, “জয়পুরের স্থানীয় খুচরা বিক্রেতার কাছে 10,000 টাকা দিয়ে iPhone 14 Pro Max 256GB প্রি-বুকিং করা সত্ত্বেও, আমি পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লঞ্চের সময় ফোনটি পাইনি। কয়েকদিন অপেক্ষা করার পর দোকানদার এমআরপির জন্য 12,000 টাকা অতিরিক্ত দাবি করেছিল এবং আমাকে 4,000 টাকার ক্যাশব্যাক পেতে আমার HDFC ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে দেয়নি।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, কিছু খুচরা বিক্রেতা ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতেও একটি অনলাইন উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রিমিয়াম মূল্যের দাবিতে খোলাখুলিভাবে নথিভুক্ত তালিকাগুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে News 18-এর টেক ডিপার্টমেন্ট।

থানের এক স্টোরের মালিকের কাছ থেকে একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে “14 প্রো ম্যাক্স ইন্ডিয়ান ইউনিট সিল হার্ড ক্যাশ ডিল।” 128GB iPhone 14 Pro Max-এর জন্য 1,62,000 টাকা এবং 256GB iPhone 14 Pro Max-এর জন্য 1,72,000 টাকা চাইছে সেই বিক্রেতা। এটি MRP থেকে প্রায় 22,000 টাকা বেশি। অনুরূপ স্কেলের খুচরা বিক্রেতাদের স্টক বরাদ্দ করা হয়েছে, তবুও সব জায়গাতেই স্টক নিয়ে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা প্রকাশ্যে 20,000 টাকার উপরে দাবি করছে। “সুপার প্রিমিয়াম মূল্য” আইফোন প্রো মডেলগুলি ভারতের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাজারে মোটামুটিভাবে 40,000 টাকা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তাই, অ্যাপল ভারতীয় গ্রাহকদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি চার্জ নেওয়া সত্ত্বেও, Apple-এর প্রিমিয়াম আইফোনের হাইপ কিন্তু এক ফোঁটাও কমেনি, বরং বেড়েছে। কেউ অস্বীকার করতে পারে না যে, খুচরা বিক্রেতারা এই ধরনের প্রিমিয়াম চার্জ করছে কারণ গ্রাহকরা ফোনগুলি চোখে না দেখেই সহজেই তার ঋণ পরিশোধ করছেন।

তাছাড়া, দোকানদাররা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দুবাইয়ের মতো অন্যান্য দেশ থেকে আইফোন আমদানি করছে না। তারা ইউনিটগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি এবং “কেবল নগদে” বিক্রি করে ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে। এদিকে বিক্রেতারা এই অস্বাভাবিকতা বুঝতেও পারে না। কিন্তু বিদেশ থেকে আইফোন এনে তারপর বিক্রি করা হয়।

দিল্লির একজন খুচরা বিক্রেতা আশিস বলেছেন, “আমরা iPhone 14 Pro-এর পর্যাপ্ত স্টক পাচ্ছি। কিন্তু iPhone 14 Pro Max-এর স্টক অ্যাপলের কাছ থেকে সরবরাহে বিশেষভাবে কম। যাইহোক, আমরা এখন পর্যাপ্ত স্টক পেয়েছি এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য উপলব্ধতার সমস্যাগুলি সমাধান করার আশা করছি।
রাহুল কুমারের বাবার কাছে যে নম্বর থেকে ফোন করেছিল অপহরণকারীরা সেই নম্বরের সূত্র ধরেই শেষ পর্যন্ত অপহরণকারীদের ট্র্যাক করতে সমর্থ হয় পুলিশ।



আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের পর্দাফাঁস বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ২০ জন যুবককে উদ্ধার করল বিধাননগর কমিশনারেটের এনএসসিবিআই থানার পুলিশ। বিদেশে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লি, হরিয়ানা থেকে ডেকে নিয়ে এসে অপহরণ করার অভিযোগ ভিন রাজ্যের যুবকদের। মুক্তিপণ চেয়ে ফোন পরিবারে ফোন অপহরণকারীদের (Kidnap)। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশের তৎপরতাতেই গ্রেফতার তিন অপহরণকারী। সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ-র সহযোগিতায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানার পুলিশ (Kolkata Airport) অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে।

সূত্রের খবর, গত ১৬ সেপ্টেম্বর হরিয়ানার বাসিন্দা নরেশ কুমার এনএসসিবিআই থানায় এসে তাঁর ছেলে রাহুল কুমার নিঁখোজ হয়ে গিয়েছেন বলে জানান। অগস্ট মাসের ২৮ তারিখ থেকে তাঁর ছেলে নিখোঁজ বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।কিন্তু এও জানান তিনি জানতে পেরেছেন তাঁর ছেলে কলকাতায় রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ দমদম ও এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে সুরেশ সিনহা, রাকেশ প্রসাদ সিনহা, ধীরাজ দাসকে গ্রেফতার করে। এরপরেই রবিবার ভোর রাতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ২০ জন উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রাহুলও রয়েছেন। পুলিশের দাবি, এদের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে এদের আমেরিকায় নিয়ে যাবে বলে কলকাতায় নিয়ে আসে। এরপরে তাঁদের আটকে রেখে এদের পরিবারের থেকে টাকা আদায় করে। রাহুলের ক্ষেত্রে তার পরিবারের থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এরমধ্যে রাহুলের বাবা ৪০ লক্ষ টাকা দেন বলেও জানা যায়। তবে শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনের থেকেই মূলত মুক্তিপণ চাওয়া হয়। দুজনের বিষয়ে এখনও বিশদে জানা যায়নি। 



এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রাহুল সহ আরও ১৯ জনকে ইকোপার্ক থানার অন্তর্গত ইকো আরবান ভিলেজের বাসিন্দা ডাঃ গৌরচন্দ্র বিশ্বাসের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকী অপহরণকারীরা তাঁদের বাড়িতে ফোন করতেও বাধ্য করেন। অভিযোগ, ফোনে তাঁদের জোর করে বলতে বলা যে তাঁরা ভাল আছেন। রাহুলকে উদ্ধার করার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই সমস্ত তথ্য পেয়েছেন পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা। রাহুল কুমারের বাবার কাছে যে নম্বর থেকে ফোন করেছিল অপহরণকারীরা সেই নম্বরের সূত্র ধরেই শেষ পর্যন্ত অপহরণকারীদের ট্র্যাক করতে সমর্থ হয় পুলিশ। হরিয়ানা, দিল্লি থেকেই বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীকে কলকাতায় ডেকে আনা হয়েছিল। তারপরই তাঁদের আটকে রেখে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে ধৃত তিনজন ছাড়াও প্রতারকদের এই ব়্যাকেটে আরও অনেকেই রয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। ধৃতদের জেরা করেই বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

 



বর্ষা পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গি কার্যত মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে। শনিবার বনগাঁ পুরসভার বার্মা কলোনিতে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্মরত কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।


শহরজুড়ে মাথাচাড়া দেওয়া ডেঙ্গুর দায় কার? সরকারি দায়বদ্ধতা ভুলে ‘আমরা-ওরা’ বিভাজন শুরু বনগাঁ পুরসভার। সম্প্রতি ডেঙ্গু নিয়ে হওয়া একটি বৈঠকে মশাবাহিত রোগের বাড়বাড়ন্তের জন্য রেলের ফ জমির অপরিচ্ছন্ন থাকে কাঠগড়ায় তুলেছে পুর কর্তৃপক্ষ। যুব বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

বর্ষা পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গি কার্যত মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে। শনিবার বনগাঁ পুরসভার বার্মা কলোনিতে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্মরত কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বনগাঁর মহকুমাশাসক প্রেম বিভাগ কাশারি ও বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। ডেঙ্গি মোকাবিলায় কাজ কেমন ভাবে চলছে তা জানতে চাওয়া হয় কর্মীদের কাছ থেকে। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফেই রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়।

তাঁদের দাবি, বনগাঁ স্টেশন ও সংলগ্ন রেলের জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা ও জল জমে থাকছে। ডেঙ্গি রোধে যে সাফাই প্রয়োজন তা হচ্ছে না রেলের জায়গায়। একাধিকবার রেলকে জানানো সত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাই সেখান থেকে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে।

এ দিকে, বৈঠক শেষে পুরসভার তরফের চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ সরাসরি কাঠগড়ায় তোলেন রেলকে। ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার একদিকে স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রচার চালাচ্ছে আর রেলের তরফ থেকে স্টেশন সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। বিমাত্রি-সুলভ আচরণ করছে রেল।’ তবে রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া বলেন, ‘পুরসভা আগে নিজের কাজ ঠিকভাবে করুক। শহরের নিকাশি নালাগুলি ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। অল্প বৃষ্টিতে যেখানে সেখানে জমে যায় জল। ওরা নিজেরাই কাজ করতে ব্যর্থ আর রেলকে কাঠগড়ায় তুলছে। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে।’ তবে এই প্রসঙ্গে রেলের তরফে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আমার যাবার সময় হল, দাও বিদায়।' ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজার (Samir Panja)। গতকাল রাতে ফেসবুকের ওই পোস্টে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশংসা করে দল ছাড়ার বার্তা দেন বিধায়ক। দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে দাবি ৩ বারের তৃণমূল বিধায়ক ও তৃণমূলের হাওড়া গ্রামীণের চেয়ারম্যান সমীর পাঁজার। ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও, দলে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে, শিক্ষকতার পুরনো পেশায় ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।

দল নের্তৃত্বের কাছে ভালো সেজে, মেকি লিডার হতে চাই না আমি : সমীর পাঁজা

গতকাল রাতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সমীর পাঁজা লেখেন, হ্যাঁ , আমার এই মহাননেত্রী আছেন বলেই, দলটা ছেড়ে যাইনি। কারণ কত ঝড়, ঝাপটা পেরিয়ে নানান ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে থেকে ৩৮ টা বছর মহান নেত্রীর সঙ্গে একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে করতে, এখন বড়ই বেমানান লাগছে নিজেকে। কারণ আজ অবধি মিথ্যে নাটক করে দল নের্তৃত্বের কাছে ভালো সেজে, মেকি লিডার হতে চাই না আমি। না কবেই টাটা বাই বাই করে দল ছেড়ে চলে যেতাম আমি। আমার মতো অবিভক্ত যুব কংগ্রেসের আমল থেকে যারা আছে, তাঁরা আদৌ কোনও গুরুত্ব পাচ্ছে কি বর্তমানে ? প্রশ্ন তোলেন সমীর পাঁজা। আর শেষ লাইনে লেখেন, তাই আর কি, আমার যাবার সময় হল, দাও বিদায়।'

সমীর পাঁজার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে জল্পনা তুঙ্গে

প্রসঙ্গত, রাজ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবং পরের ছবিতে বিস্তর ফারাক চোখে পড়ে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, দেখা যায়, একের পর এক নেতা-কর্মীকে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে। কিন্তু একুশের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর, উল্টো ছবি প্রকাশ্যে আসে। দেখা যায়, একের পর একবিধায়ক, নেতা , কর্মীকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে। এর মধ্যে অন্যতম বাবুল সুপ্রিয়ো। তবে সেই অর্থে ভোটের পরে তৃণমূলে তেমন দৃশ্য তেমনটা নেই। তবে এই মুহূর্তে উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে ফের চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।