আস্থা ভোটে জেতার পর পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের সন্ধ্যারানি দাস ও উপপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিপিআইএমের মীরা সরকার মন্ডল।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayet Vote) কার্যত ঘাসফুল ঝড় দেখেছিল গোটা বাংলা। ধারাশায়ী হয়েছিল বিরোধীরা। এমনকী ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের রেকর্ড সংখ্যক আসনে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল শাসক তৃণমূল (Trinamool Congress)। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ মিলিয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসন কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছড়াই দখল নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সবথেকে বেশি দুরাবস্থা হয়েছিল বাম-কংগ্রেসের (CPIM-Congress)। বাম-কংগ্রেসকে পিছনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি (BJP)। এদিকে ফের রাজ্যে বেজেছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। বছর ঘুরতেই ভোটের ময়দানে নেমে পড়হে গ্রাম-বাংলা। এবার তার আগে উলটপুরান দেখতে পাওয়া গেল মুর্শিদাবাদে।
শাসক দলের দখলে থাকা পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল বাম কংগ্রেস জোট। সোমবার আস্থা ভোটে হেরে গেল তৃণমূল। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের লালগোলা ব্লকের দেওয়ানসরাই গ্ৰাম পঞ্চায়েতের। গত মাসে লালগোলার দেওয়ানসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূলেরই একাংশ। আগেই ঠিক ছিল সোমবার হবে আস্থা ভোট। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে এদিন আস্থা ভোটে মোট ২৪জন পঞ্চায়েত সদস্যর মধ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে ভোট পড়ে ১৩টি ও তৃণমূলে ভোট পড়ে ১১টি। যার জেরে দীর্ঘদিন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকা পঞ্চায়েতটি শেষে চলে যায় বাম-কংগ্রেসের হাতে। ফল প্রকাশ হতেই তুমুল উচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া গিয়েছে দুই দলের কর্মী সমর্থকদেক মধ্যে।
আস্থা ভোটে জেতার পর পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের সন্ধ্যারানি দাস ও উপপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিপিআইএমের মীরা সরকার মন্ডল। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের দখলে ছিল ৯টি আসন বামেরা পেয়েছিল ৫টি ও তৃণমূল পেয়েছিল ১০টি আসন। পরবর্তীতে বাম-কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্যের সমর্থনে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত গঠন হয়েছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বাম-কংগ্রেসের এই জয় ঘাসফুল শিবিরের সমর্থকদের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours