ক্রুজ বা নৌ-যাত্রা, যাই হোক না কেন,প্রবাহিত নদীর উপর এমন যাত্রায় মন হয়ে উঠে তাজা ও আধ্যাত্মিকময়। পরিকল্পনা অনুযায়ী জলপথের এই অভনিব যাত্রায় মথুরা, বৃন্দাবন ও গোকূলকেও সংযুক্ত করবে।
রাত পোহালেই জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2022)। সারা দেশজুড়েই কৃষ্ণের শৈশবকে ঘিরে এই দিনটিতে ধুমধাম করে পালিত হয় । শাস্ত্র অনুযায়ী, মথুরাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান কৃষ্ণ (Lord Krishna)। সেই থেকেই সেখানকার মানুষ এই বিশ্বাসেই কৃষ্ণের পুজো করে থাকেন। আয়োজন করেন কৃষ্ণের জীবনের নানা কাহিনি অবলম্বনে অনুষ্ঠান। মথুরা-বৃন্দাবন (Mathura-Vrindavan) হল যমজ শহর। দুটি শহরই দেশের অন্যতম তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। দুই শহরের পবিত্র ভূমিতে প্রায়শই পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। ধর্মীয় পর্যটনগুলিকে আকর্ষণ বাড়াতে কেন্দ্রীয় নৌপরিবহন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ঘোষণা করেছেন,শীঘ্রই মথুরা ও বৃন্দাবনকে আধুনিকস্তরে পর্যটক কেন্দ্র গড়ে তুলতে যমুনা নদীরে একটি ক্রুজ যাত্রা করা হবে। ক্রুজ বা নৌ-যাত্রা, যাই হোক না কেন,প্রবাহিত নদীর উপর এমন যাত্রায় মন হয়ে উঠে তাজা ও আধ্যাত্মিকময়। পরিকল্পনা অনুযায়ী জলপথের এই অভনিব যাত্রায় মথুরা, বৃন্দাবন ও গোকূলকেও সংযুক্ত করবে।
মথুরা-বৃন্দাবন: বিশ্বাস করা হয়, এই যমজ শহরগুলি এখনও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হাসির শব্দ ধ্বনিত হয়। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটির সঙ্গে কৃষ্ণের যে একটি সুদৃঢ় সম্পর্ক লুকিয়ে রয়েছে তা বারে বারে প্রমাণিত। রয়েছে একাধিক মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থান। শহরের অলি-গলি পৌরাণিক কাহিনিকে আশ্রয় করে বেঁচে রয়েছে। যেখানেই যান না কেন, সেখানেই লুকিয়ে রয়ছে শ্রীকৃষ্ণের নানান পৌরাণিক কাহিনি। তবে এগুলি সবই লোককাহিনি ও কিংবদন্তি হিসেবে ব্যক্ত করা হয়।
বাঁকে বিহারী মন্দির: এই মন্দির দর্শন করলে তবেই মথরা-বৃন্দাবন ভ্রমণ সম্পূর্ণ হয়। এখানে বৃন্দাবনের লোককাহিনি অনুসারে, কৃষ্ণের শৈশব রূপের দর্শনের সৌভাগ্যের বার্তা দেয়। কয়েক মুহূর্তের জন্য পর্দা সরানো হয়। তার মধ্যে কৃষ্ণদর্শন অত্যন্ত পূণ্যলাভের। ভারী গয়না ও পবিত্রতার মধ্যে দিয়ে মূর্তিদর্শন করতে ভির করেন কৃষ্ণভক্তরা।
নিধিবন: রাস্তা দিয়ে ঘুরে ঘুরে নিধিবনের দোরগোড়ায়ে পৌঁছে যাবেন। বাঁকে বিহারী মন্দিরের খুব কাছেই অবস্থিত এই স্থানটি রহস্যে ঘেরা। এই জায়গাকে ঘিরে রয়েছে প্রচুর লোককাহিনি। স্থানীয়দের কথায়, প্রতি রাতে গয়না ও সাজসজ্জাগুলি রেখে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে তা ব্যবহার করা হয়। মন্দির এই রহস্যেমাখা বনে বিকেল ৫টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ কিংবদন্তিতে রয়েছে, অন্ধকারের পরে এখানে কৃষ্ণের সুরেলা বাঁশির সুরে কৃষ্ণ ও রাধা নৃত্য করেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours