সম্প্রতি জীবন সিংয়ের একটি অডিয়ো বার্তা সামনে এসেছে। যার সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। সেই অডিয়ো টেপ নিয়েই শুরু হয়েছে শোরগোল।
কেএলও (KLO) সুপ্রিমো জীবন সিংয়ের পর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন কৈলাশ কোচ ওরফে কৈশব রায়। দীর্ঘদিন থেকেই নানা জঙ্গি (Terrorism) কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর। নানা জায়গায় নাশকতার মামলাতেও অভিযুক্ত কৈলাশ। তাঁর খোঁজ দিতে পারলে আর্থিক পুরস্কারেরও ঘোষণা করতে দেখা যায় পুলিশকে (Police)। সম্প্রতি এই কৈলাশই সস্ত্রীক আত্মসমর্পন করেন বলে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার ভবানীভবনে আত্মসমর্পন করেন তিনি। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এদিকে দীর্ঘদিন থেকেই কেএলও-র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ছিল কৈলাশের উপর। এদিকে এবার তাঁর আত্মসমর্পন নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল কেলএও সুপ্রিমো জীবন সিংকে।
কলকাতায় এনে গুপ্ত জায়গায় অত্যাচার করেছে পুলিশ’, দাবি জীবন সিংয়ের

সম্প্রতি জীবন সিংয়ের একটি অডিয়ো বার্তা সামনে এসেছে বলে দেখা যাচ্ছে। যেখানে তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করছেন কৈলাসকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে পুলিশ। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই আত্মসমর্পনের গল্প ফাঁদা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। যদিও এই অডিয়ো টেপের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। ওই অডিয়ো টেপে জীবন সিংকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “কলকাতার পুলিশ নাটক করছে। এই নাটক সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়ো, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেএলও-কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই নাটক তৈরি করেছে। কৈলাশকে বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশ্যাল বাহিনী কলকাতা এনেছে। কলকাতায় এনে গুপ্ত জায়গায় অত্যাচার করেছে। ”

এই অডিয়ো টেপেই তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, “এই নির্যাতন সম্পূর্ণভাবে মানবতা বিরোধী। আইন বিরোধী। কৈলাসকে গান পয়েন্টে রেখে যে বক্তব্য বলতে বাধ্য করেছে পুলিশ তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সাজানো। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই মিথ্যা নাটকে কান দেবেন না। তাঁদের এই মিথ্যা নাটকে বিচলিত হবেন না। এটা বিশ্বাস করে নেবেন না।” এই কৈলাশ কোচকে নিয়ে জীবন সিং একাধিক বিবৃতি দিয়েছিলেন মাস খানেক আগে। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন কৈলাশকে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ গ্রেফতার করেছে অথচ তাকে আদালতে পেস করেনি। যা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন মহলে।

আত্মসমর্পণের পর কী বলেছিলেন কৈলাশ?


প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের মতো কেএলও জঙ্গিদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে সম্প্রতি বড় প্যাকেজের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আত্মসমর্পন করলে তাঁদের চাকরি, ঘরবাড়ি তৈরি সহ একগুচ্ছ সুবিধা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে আত্মসমর্পণের পর কৈলাশ বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী সাধারণ জীবনে ফেরার জন্য আত্মসমর্পণ করলাম। সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চাই। ১৬ বছর সশস্ত্র আন্দোলন করলাম। তাতে আমি বুঝেছি হিংসার মাধ্যমে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমি আমার কামতাপুরের ভাই-বোন এবং বন্ধুরা জঙ্গলে অস্ত্র ধরে আছে, তাঁদের আমি আহ্বান করছি, অস্ত্র ছেড়ে ফিরে আসুন।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours