দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার অন্তর্গত রায়পুর মুক্তিপাড়া এলাকার ঘটনা। সেখানে পারিবারিক অশান্তির জেরে এক গৃহবধূ নিজের সন্তানকে কোলে নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিলেন।
দীর্ঘদিন পরিবারে লেগেই ছিল অশান্তি। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন তিনি। তারপরই স্ত্রী-সন্তানের উপর চলত লাগাতার অত্যাচার। শেষমেশ আর না পেরে ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিলেন মহিলা। দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করেই শরীরে ধরিয়ে দিলেন আগুন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার অন্তর্গত রায়পুর মুক্তিপাড়া এলাকার ঘটনা। সেখানে পারিবারিক অশান্তির জেরে এক গৃহবধূ নিজের সন্তানকে কোলে নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিলেন। পরে তাঁদের চিৎকারে এলাকায় ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি সন্তান সহ মহিলাকে ভর্তি করা হয় বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় এমআর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে শিশুটিকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই মহিলাও মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্বামীর নাম রহমান মুক্তি। অপরদিকে মৃত গৃহবধূর নাম ডালিয়া বিবি (৩০)। দম্পতির দু’টি কন্যাসন্তান রয়েছে। সাত বছর আগে ডালিয়ার সঙ্গে রহমানের বিয়ে হয়। অভিযোগ, প্রায়শই স্বামী রহমান নেশা করে বাড়ি ফিরতেন। এরপরই তাঁদের সংসারে অশান্তি শুরু হত। দীর্ঘদিন ধরে সেই অশান্তি চলতে থাকার জন্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন মহিলা। এরপরই দেড় বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মৃত মহিলার এক আত্মীয় বলেন, ‘কেরোসিন তেল ঢেলে নিজেই গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ওর বর রোজ মদ খেয়ে আসত। তারপর অশান্তি করত। সেই কারণে মানসিক অবসাদ থেকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours