সম্প্রতি ২৬ বছরের নাতনি সাস্কিয়ার সঙ্গে ইয়ট ভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানে নাতনির সঙ্গে ৯৩ বছরের ঠাকুমাও তাক লাগালেন বিকিনিতে

মনের বয়স বাড়ছে বাড়ুক, দেহের বয়স বাড়তে দিয়ে না- কথায় এসব জ্ঞানের বাণী ছোটালেও খুব কম মানুষই তা মন থেকে মানতে পারেন। বলা ভাল সেই মনের জোরটা পান না। মনের বয়সকে মোটেও বাড়তে দেননি ৯৩ বছরের মিশেলিন রোকব্রুন। এবং তিনি তা প্রমাণও করে দিয়েছেন। পরিচয়ে তিনি শঁ কোনারি ওরফে জেমস বন্ডের স্ত্রী। বাস্তব জীবনেও বন্ড গার্ল ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে শঁ কোনারির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। মিশেলিন পেশায় ছিলেন চিত্রশিল্পী।

সম্প্রতি ২৬ বছরের নাতনি সাস্কিয়ার সঙ্গে ইয়ট ভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানে নাতনির সঙ্গে ৯৩ বছরের ঠাকুমাও তাক লাগালেন বিকিনিতে। অবাক হচ্ছেন? মাঝসমুদ্রে আকাশি রঙা বিকিনি, রোদচশমা আর বিশেষ ট্রাভেল ক্যাপে দেখা গেল মিশেলিনকে। গলায় ছোট্ট পেনডেন্ট। সুপার স্মার্ট ঠাকুমাও এই বয়সে ১০ গোল দিলেন নাতনিকে। আকাশের রং, জলরাশি আর ৯৩-এর মিশেলিনির মনের রং তখন যেন মিলেমিশে গিয়েছে।

৯৩-এসেও শরীর যেন তাক লাগানো। বয়সের ভারে চামড়া স্বাভাবিক ভাবে গুটিয়ে এসেছে। বয়সজনিত মেদ ছাড়া অতিরিক্ত মেদ কোখাও নেই। এমনকী পেডিকিওর করা পায়ে সুন্দর করে নেলপলিশে রাঙানো। ইন্টারনেটে মিশেলিনির ছবি দেখে মুগ্ধ সকলেই। ভেসে এসেছে প্রশংসার বন্যা। নাতনির পাশে তরুণী ঠাকুমাকে যে এক কথায় অনবদ্য লাগছে তা বলতে কোনও দ্বিধা রাখেননি নেটাগরিকরা।
মিশেলিন যে বরাবরই ফ্যাশানিস্তা ছিলেন তা তাঁর এই ছবি দেখেই বেঝা যায়। ফ্যাশান তাঁর মনে। বয়সের তোয়াক্কা তিনি কোনও ভাবেই করেন না। আর তাই জীবনের শেষ পর্বে এসেও বজায় রাখতে পেরেছেন নিজের অদম্য যৌনতাকে। মনের ইচ্ছেতেই তিনি আজও রঙিন। হোক না ঠাকুমা, বিকিনিতে তাঁর সোয়্যাগই শেষ কথা।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours