বাইডেন প্রশাসন যদি তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা উত্তাপ আরও বাড়াতে পারে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) তাইওয়ান (Taiwan) সফরের পর থেকে চিনের (China) গাত্রদাহ মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকী আমেরিকাকে সটান হুমকি দিতেও পিছপা হয়নি বেজিং। তাইওয়ান সীমান্তে নজিরবিহীন সেনা মহড়া চালিয়েছে লালফৌজ। এই অবস্থায় আমেরিকার এক সিদ্ধান্তে শি জিংপিং সরকারের রক্তচাপ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন তাইওয়ান সরকারকে ১০১ কোটি মার্কিন ডলার অস্ত্র বিক্রি করতে রাজি। এই নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অনুমতি চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন, এমনটাই জানা গিয়েছে। সোমবার পলিটিকোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই বিপুল অস্ত্রের মধ্য ৬০টি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং ১০০টি এয়ার টু এয়ার মিসাইল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন যদি তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা উত্তাপ আরও বাড়াতে পারে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পরই গণতান্ত্রিক তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে সেনা মহড়া চালিয়েছে বেজিং। এমনকী তাইওয়ান দ্বীপকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়েছে বেজিং। তাইওয়ানের দাবি, চিনা ড্রোন ক্রমাগত তাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। যদিও সোমবার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেজিং।
গত সপ্তাহেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল যে তাইপেই সরকারকে জো বাইডেন প্রশাসন ও মার্কিন আইন প্রণেতারা সবরকমভাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে অস্ত্রের বাইরেও তাইওয়ানের সামরিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পলিটিকোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে হোয়াইট হাউজের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মার্কিন অস্ত্র সাহায্যের সম্ভাবনা জোরাল হওয়ার পর চিনের তরফে কী প্রতিক্রিয়া আসে, সেটাই এখন দেখার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours