দিল্লির শিক্ষা, স্বাস্থ্যে বদল এনে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, যে কীভাবে কাজ করতে হয়। মার্কিন সংবাদপত্রে প্রথম পাতায় দিল্লির শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুক্রবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকারের নতুন আবগারি নীতি তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার মণীশের বাড়ির পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রীর সরকারি দফতরেও হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। শনিবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন খোদ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারি দফতরের দায়িত্বে থাকা মণীশ সিসোদিয়া। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন আম আদমি পার্টির নেতা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মণীশ বলেন, “গতকাল আমার বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েছিলেন। তাদের ওপর আমার কোনও রাগ-ক্ষোভ নেই, তার ওপর মহলের নির্দেশ পালন করছিলেন। কিন্তু যে আবগারি নীতি নিয়ে এত জলঘোলা হচ্ছে, আমি এখনও বলছি, সেটা দেশের সেরা আবগারি নীতি এবং আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে সেই নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ষড়যন্ত্রের কারণে ওই নীতি যদি বদলে ফেলা না হত, তবে এই মুহূর্তে দিল্লির সরকারের ১০ হাজার কোটি টাকার মুনাফা হত।”
হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলেছিলেন, কিন্তু সিবিআইয়ের এফআইআরে মাত্র ১ কোটি টাকা উল্লেখ রয়েছে। আবগারি নীতি নিয়ে সমস্যা হলে মদের কারণে গুজরাটে প্রত্যেক বছর যে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়, গোটা সিবিআই দফতর সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হত। আসলে আবগারি নীতি নিয়ে সমস্যা নয়, সমস্যা অরবিন্দ কেজরীবালকে নিয়ে। পঞ্জাব জয়ের পর অরবিন্দ কেজরীবাল যেভাবে রাষ্ট্রীয় বিকল্প হিসেবে উঠে আসছেন, বিজেপি তা ভালভাবে মেনে নিতে পারছে না। দিল্লির শিক্ষা, স্বাস্থ্যে বদল এনে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, যে কীভাবে কাজ করতে হয়। মার্কিন সংবাদপত্রে প্রথম পাতায় দিল্লির শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবদান রয়েছে, তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং আমি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে যা ভাল কাজ করেছি, সেই কারণে আমাকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাকে দু-একদিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হতে পারে।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে মণীশ জানিয়েছেন, দেশের মানুষ মোদীকে জনসমর্থন দিলেও অন্য কারও ভাল কাজ তিনি সহ্য করতে পারেননা। সেই কারণে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে মহারাষ্ট্র, গোয়াতে সরকার ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমনকী বিহারেও সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “মোদীজি খালি ইডি, সিবিআই বা টাকার জোরে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি জানাতে চাই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন মোদী বনাম কেজরীবাল লড়াই হবে
Post A Comment:
0 comments so far,add yours