ছুটি না পাওয়ায় গতকালই ব্যারাকের মধ্যে মাথা গরম করে সহকর্মীদের গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে এ কে মিশ্রর বিরুদ্ধে। রাত পর্যন্ত ব্যারাকের মধ্যে ঝগড়াও চলে। রাতে তিনি কিছু খাননি বলেও খবর।

ভর সন্ধ্যায় ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ( Indian Museum) পিছনের দিকে গুলি সিআইএসএফের জওয়ানের (CISF jawan)। এ ঘটনাতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর কলকাতায় (Kolkata)। মোট প্রায় ১৫ রাউন্ড গুলি চলে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় একজন জখম ও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। সূত্রের খবর, ছুটি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল এ কে মিশ্র। অন্যদিকে যিনি জখম হয়েছেন তাঁর নাম সুবীর ঘোষ। তিনি সিআইএসএফে অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যাডান্ট পদে কর্মরত। অন্যদিকে মৃত জওয়ানের নাম রঞ্জিৎ সাড়েঙ্গি। তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট এসআই পদে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়। 

এদিকে এ প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “সাড়ে ছটা নাগাদ এ ঘটনাটির খবর আমাদের কাছে আসে। সিডি সেন্ট্রাল সহ কমব্যাট টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। তাঁরাই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সিআইএসএফের লোকজনের সঙ্গেও আমাদের কথাবার্তা চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত আমরা অভিযুক্ত আটক করতে সক্ষম হয়েছি। কেন গুলি ছোড়া হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর মারা গিয়েছেন। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যাডান্ট পদ মর্যাদার অফিসার আহত হয়েছেন। মোট প্রায় ১৫ রাউন্ডের কাছাকাছি গুলি চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।” 

সহকর্মীদের গালিগালাজ করার অভিযোগ

সূত্রের খবর, সিআইএসএফের যে জওয়ান গুলি চালিয়েছেন তিনি হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর নাম এ কে মিশ্র। তিনি ওড়িশার বাসিন্দা বলে খবর। তাঁকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। আত্মসমর্পণের পরে তাঁকে বলতে শোনা যায় ‘গালতি হোয় গ্যা’। কী কারণে, কোন ভুলে কথা বলছেন তিনি? তা নিয়েও বাড়ছিল জল্পনা। অন্যদিকে মৃত অ্যাসিস্ট্যান্ট এসআই রঞ্জিৎ সাড়েঙ্গিও ওড়িশারই বাসিন্দা বলে খবর। ছুটি না পাওয়ায় গতকালই ব্যারাকের মধ্যে মাথা গরম করে সহকর্মীদের গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে এ কে মিশ্রর বিরুদ্ধে। রাত পর্যন্ত ব্যারাকের মধ্যে ঝগড়াও চলে। রাতে তিনি কিছু খাননি বলেও খবর। 

কয়েকদিন আগেই বাবা মারা যান অভিযুক্তের 

সূত্রের খবর, রাতে ঊর্ধতন কর্তাদের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত তিনি শান্ত হন। সূত্রের খবর, গত বুধবার এ কে মিশ্রের বাবা মারা যাওয়ায় তিনি ছুটির আবেদন করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, তা নিয়েই মূল ঝামেলার সূত্রপাত। সূত্রের খবর, শুধু ছুটি নয়। অভিযুক্তের সঙ্গে সবাই ঠাট্টা ইয়ার্কি করত বলেও খবর। সেটা নিয়েও তার মনে রাগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সবকিছু নিয়েই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে খবর। অন্যদিকে সূত্রের আরও খবর, গতকাল রাতে ঝগড়ার পর আজ সকাল থেকে চুপচাপ ছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবল। কিন্তু, তাই বলে একেবারে গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবেন একথা ভাবতে পারছেন না তাঁর সতীর্থরা। তবে আসলেই ঠিক কী কারণে তিনি গুলি চালিয়েছেন তা তদন্তের পরেই সম্পূর্ণভাবে জানান সম্ভব। 


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours