শ্রেয়স লাকি চার্ম… IPL শুরুর আগে PBKS ক্যাপ্টেনকে কে দিলেন দরাজ সার্টিফিকেট?
রোহিতকেই দায়িত্ব নিতে হবে… হঠাৎ এ কথা কেন বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?
ভেঙ্কটেশের জায়গা নয় নিরাপদ, ক্যাপ্টেন রাহানের জমানায় KKR-এ বড় বদল!
লুকিয়ে লুকিয়ে সীমান্তে চলছিল ‘খেলা’, দেখা মাত্রই বাধা BSF-র! শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হল বাংলাদেশি সেনা
দেশের প্রতিটি জওয়ানের মাথার উপরে উড়বে ড্রোন, যুদ্ধ জয়ে নয়া কৌশল ভারতের
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর পরই সিউড়িতে অবস্থিত ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে রাত ২টো অবধি কাজ চলে বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবারই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে যেদিন বীরভূমের দুঁদে নেতার গ্রেফতারি, সেদিনই কি না অভিযোগ উঠল গভীর রাত অবধি খোলা বীরভূম জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত তখন প্রায় ২টো। তখনও নাকি আলো দেখা গিয়েছে সেই কার্যালয়ে। বিরোধীদের অভিযোগ, তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা কি না, খতিয়ে দেখা দরকার।
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর পরই সিউড়িতে অবস্থিত ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে রাত ২টো অবধি কাজ চলে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের প্রশ্ন, সরকারি আধিকারিকদের এমন কী কাজ ছিল, যার জন্য গভীর রাত অবধি অফিসে থাকতে হল? বিরোধীদের অভিযোগ, তথ্য লোপাটের কাজ চলছিল।
সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “বীরভূম জেলার অনেকগুলি ব্লকেই ৫টার পর অফিস চালু হয়। এখন বিএলআরওর অফিস খোলা আছে মানেই যে নেতারা চুরি করেছেন, সে নেতারা তাঁদের কাজ গোছাচ্ছেন। অফিসাররা যদি বলেন, রাত অবধি কাজ চলে, তা হলে তো তাঁদের ঘোষণা করে করতে হবে। ৫টার পর অফিস খোলা আছে মানেই সেখানে দু’ নম্বরি কাজ চলছে। রামপুরহাট-২’র মাড়গ্রামে বোলপুর বিএলআরও অফিসেও ৫টার পরে কাজ হয়েছে। আসল কাজ তো ৫টার পর করতে হয়। জমি জায়গার যা রেকর্ড বদলের চেষ্টা এসব।”
অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী রশ্মি দে বলেন, “রাখী পূর্ণিমার ছুটি। তার মধ্যেও কাজ করছেন। মাঝরাতে কাজ মানেই তথ্য লোপাটের চেষ্টা চলছে। কিছু ওখান থেকে সরানোর চেষ্টা। রাজস্বের কোটি কোটি টাকা তো সরকারি কোষাগারে না দিয়ে তৃণমূলের সব ভাইদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায় বলে মনে হয়। এতে বিএলআরও অফিসের একাংশও জড়িয়ে মনে হয়।”
যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “দেখুন বিরোধীরা যে সব কথা বলছে, পাগলের প্রলাপের মতো কথা এসব। রাতে কোথায় ভূমি সংস্কার অফিস খোলা কোনও প্রামান্য তথ্য নেই ওদের কাছে। ভাবছে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন, এবার পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা সবই জয় করে নেবে। এটা সম্ভব? সারা বছর পড়াশোনা না করে রাতারাতি দু’টো প্রশ্ন মুখস্ত করে কি আর পাশ করা যায়?” বীরভূমের জেলাশাসককে ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। যোগাযোগ সম্ভব হলে সেই বক্তব্যও যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours