আন্তঃশহর পরিষেবা চালু করে অনলাইন খাদ্য সরবরাহের মানচিত্রকে পালটে দিতে চাইছে জোমাটো। ‘ইন্টারসিটি লেজেন্ড’ ব্র্যান্ডের অধীনে এই নয়া পরিষেবা চালু করছে সস্থাটি।
এবার দিল্লিতে বসেই কলকাতা থেকে বিরিয়ানি অর্ডার করতে পারবেন? বা শ্যামবাজারে বসে হায়দরাবাদ থেকে কাবাব অর্ডার করা যাবে! এমনই নয়া পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোমাটো। এবার আন্তঃশহর পরিষেবা চালু করে অনলাইন খাদ্য সরবরাহের মানচিত্রকে পালটে দিতে চাইছে জোমাটো। ‘ইন্টারসিটি লেজেন্ড’ ব্র্যান্ডের অধীনে এই নয়া পরিষেবা চালু করছে সস্থাটি।
এই নয়া পরিষেবার আওতায় জোমাটোর তরফে নির্দিষ্ট কিছু রেস্তোঁরাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই আবহে অন্য শহরে বসে এই রেস্তোঁরাগুলো থেকে অনায়াসে খাবার অর্ডার করতে পারবেন গ্রাহকরা। সংশ্লিষ্ট রেস্তোঁরা অর্ডারের খাবার তৈরি করে তা ফ্রিজ করবে। এরপর সড়কপথে বা আকাশপথে তা গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। যেমন করে কোনও কুরিয়ার পৌঁছে থাকে, ঠিক সেভাবেই। এই আবহে কোনও কোনও অর্ডার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছতে একদিনের বেশি সময় লাগতে পারে।
এখনও অবশ্য এই আন্তঃশহর পরিষেবা জোমাটোর সব গ্রাহকদের কাছে উপলব্ধ নয়। জোমাটোর একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে আন্তঃনগর ডেলিভারি এখনও পরীক্ষামূলক প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘গ্রাহকের অনুরোধ পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে আমরা সম্প্রতি এই পরিষেবা চালু করেছি। ইন্টারসিটি লেজেন্ডস অফারগুলির অংশ হিসাবে বিভিন্ন শহর থেকে অন্য শহরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। এতে করে অন্য শহরের খাবারের সঙ্গে ভারতীয়দের সংযোগ স্থাপন হবে। এই পরিষেবা প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত৷ অবশ্য এখনও এই পরিকল্পনার বিশদ ভাগ করার সময় আসেনি।’
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, এই অসম্ভব প্রায় পরিষেবা কতদিন এবং কীভাবে জোমাটো চালিয়ে যেতে পারবে। আদতে জোমাটোর আগেও এই ধরনের উদ্যোগ চালু করেছে এবং তারপরে আচমকাই তা গুটিয়ে নিয়েছে। এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে মুদি সামগ্রী ডেলিভারি এবং নিউট্রাসিউটিক্যালসের মতো পরিষেবা। এই আবহে এক শহর থেকে অন্য শহরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার এই বিষয়টি বেশ উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বলে মনে করা হচ্ছে। সংস্থাটি প্রতিশ্রুতি মতো সত্যিই পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে কিনা, এখন সেটাই দেখার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours