যদি শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্যই হাঁটেন তাহলে রয়েছে কিছু নিয়ম। ওজন কমানোর জন্য হাঁটার ভুলগুলিতে এড়িয়ে গেলেই হু হু করে গলবে মেদ।
অতিরিক্ত মেদ (Weight Loss) ঝরাতে হাঁটা (Walking) হল সবচেয়ে সহজ একটি উপায়। দিনে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়ে হাঁটার পরামর্শ দেন অধিকাংশ চিকিত্সকরা। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলে শুধু ওজন কমবে তাই নয়, শরীরের নানা সমস্যা থেকেও দ্রুত মুক্তি মেলে। ওজন কমাতে যেমন সাহায্য করে তেমনি হার্ট, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মত রোগ থেকেও দূরে রাখতেও সাহায্য করে। অনেক ডাক্তারের পরামর্শ হল, খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটলে দ্রুত খাবার হজম হয়।খাবার থেকে শরীরে পুষ্টি সরবরাহও হয় কম সময়ে। তবে শুধু হাঁটাই যথেষ্ট নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি কীভাবে সঠিক পথে হাঁটবেন। আর তাতেই পাবেন উপকার। যদি শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্যই হাঁটেন তাহলে রয়েছে কিছু নিয়ম। ওজন কমানোর জন্য হাঁটার ভুলগুলিতে এড়িয়ে গেলেই হু হু করে গলবে মেদ।
-নিজেকে অতিরিক্ত প্রেশার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। হাঁটার সময় নিজেকে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। তাতে হাড় ও পেশীগুলি নিজেদের কাজগুলি পর্যাপ্ত সময় পায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া শুরু করে। সহজ ও দ্রুত ফলাফল পেতে এই ভুলটি একেবারেই করবেন না।
-খারাপ ভঙ্গিতে হাঁটলে উল্টে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আপনি যদি হাঁটার সময় খারাপ ভঙ্গিতে হাঁটেন তাহলে তা পিঠের উপর প্রভাব পড়ে। তাই হাঁটার সময় রিল্যাক্ মুডে হাঁটুন। পিঠ সোজা, কাঁধ শিথির করে জোরে জোরে হাঁটুন।
-ভুল জুতো পরছেন না তো? ভুল জুতো পরে হাঁটলে পায়ে ও পায়ের পেশিতে প্রভাব তৈরি হয়। তৈরি হয় অন্যান্য সমস্যা। তাই হাঁটার জন্য জুতো বেছে নিন সঠিক। পায়ে যাতে অপ্রয়োজনীয় চাপ না পড়ে, আরামজদায়ক একটি জুতো নিজের জন্য বেছে নিন।
-হাঁটার সময়ও নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। যখন হাঁটাহাঁটি করেন, তখন প্রচুর ঘাম নির্গত হয়। নিজেকে সুস্থ রাখতে ভালভাবে হাইড্রেট রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত জল পান না করলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা কমে যেতে পারে। অন্যান্য সমস্যার মধ্যে ক্লান্তি, তন্দ্রা সৃষ্টি হয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours