বদহজমের সমস্যা হল অ্যান্টাসিডের সাহায্য নেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু ঘন ঘন অ্যান্টাসিড খাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু ভাল নয়।
খাবার খাওয়ার পরই পেট জ্বালা, বুক জ্বালার সমস্যায় গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নেন। কিন্তু এই পেট জ্বালার সমস্যা কতটা মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে, তা কি জানেন? ঘন ঘন বদহজম, পেট জ্বালা, গ্যাসের সমস্যা মোটেই ভাল নয়। এই ধরনের সমস্যাগুলো দীর্ঘস্থায়ী রোগে দাঁড়িয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি তৈরি হতে পারে গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা। মূলত যখন পেটে অ্যাসিডের মাত্রা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায় তখন পেট জ্বালা করে। পাশাপাশি যখন সেই অ্যাসিড খাদ্যনালীর মাধ্যমে উপরে ওঠে তখন বুক জ্বালার সমস্যা দেখা দেয় এবং শরীরের উপরের অংশে প্রদাহ তৈরি করে। অনেক সময় ঝাল, মশলা জাতীয় খাবারগুলো খেলেও পেটে জ্বালাভাব দেখা দেয়। এছাড়াও হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলেও এই সমস্যা দেখা দেয়।
গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যার জন্য ভীষণভাবে দায়ী অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান। অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল সেবনের কারণে পেটের লাইনিং ক্ষয়ে যায়। পেটের মধ্যে থাকা উৎসেচকগুলোর প্রতি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এতে বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। যার ফলে আপনি যা-ই খাবার খান না, তা হজম হয় না। উল্টে পেট জ্বালা, গ্যাস, বদহজমের সমস্যা তৈরি হয়। যদিও বদহজমের সমস্যা অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও দেখা দেয়। তবে সেই সমস্যা অ্যাকিউট গ্যাসট্রাইটিস।
যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনি গ্যাসট্রাইটিসের এই উপসর্গগুলো লক্ষ্য করেন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। তবে আপনি যদি পেট জ্বালা, বদহজমের সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে চান, তাহলে দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন। তার প্রথমে প্রথমেই রয়েছে সীমিত পরিমাণে অ্যালকোহল। অ্যালকোহল লিভারের উপর প্রভাব ফেলেই এবং গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
বদহজমের সমস্যা হল অ্যান্টাসিডের সাহায্য নেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু ঘন ঘন অ্যান্টাসিড খাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু ভাল নয়। এর পরিবর্তে আপনি লাইফস্টাইলের দিকে বিশেষ নজর দিন। রোগকে যদি প্রথম থেকে প্রতিরোধ করা যায় তাহলে এই অ্যান্টাসিড খাওয়ার প্রয়োজনই পড়বে না।
গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যাকে প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে খাওয়া-দাওয়ার উপরও নজর দিতে হবে। ক্যাফেইন-যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি ঝাল, মশলাযুক্ত খাবারের পরিমাণও কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে টক জাতীয় খাবারও কম পরিমাণে খাবেন। বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বারে-বারে অল্প পরিমাণ করে খাবার খেতে থাকুন। আর প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা এড়ানোর জন্য ওজনের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। কারণ ওবেসিটি একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে জড়িত।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours