বাংলাভাগের ইস্যু নিয়ে বিস্ফোরক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। এদিন তিনি বললেন, 'রক্ত দিয়ে বাংলা ভাগ রুখব। শুধু আমাদের রক্ত দেব না। প্রয়োজনে অন্যের রক্তও ঝরবে। বিজেপি নেতাদের একথা মাথায় রাখতেই হবে। রক্ত গেলে, দুপক্ষেরই রক্তই যাবে। কারণ আমরা কেউ চুরি পরে বসিনি।' এমনটাই হুঙ্কার তৃণমূলের হেভিওয়েট উদয়ন গুহ-র। আর এরপরেই মুখ খুললেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা-র (BJP Leader Rahul Sinha)।
ওই রক্তে কোনও কাজই হবে না। কারণ ওদের রক্ত বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে : রাহুল সিনহা
রাহুল সিনহা এর পরেই বললেন, 'প্রথম কথা হচ্ছে, ওই রক্তে কোনও কাজই হবে না। কারণ ওদের রক্ত বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে। ওরকম বিষাক্ত রক্ত কোনও শুভকাজে লাগে না। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, বাংলাভাগের কোনও প্রশ্নই এখানে আসেনি। অতয়েব শুধু শুধু বাজার গরম করে লাভ নেই। কারণ আমার তো মনে হয় না, কোনও পলিটিক্যাল পার্টি বাংলাভাগের জন্য বলেছে। কিন্তু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাংলাভাগ যারা চেয়েছিল, তাঁদেরকে ওরাই সমর্থন করেছিল পিছন দিক থেকে।তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ, গোপনে যোগাযোগ, এটা ওরাই করেছে। অতয়েব বাংলাভাগের উসকানির কাজ যদি কেউ করে থাকে, সেটা তৃণমূল কংগ্রেস করেছে। অতয়েব শুধু শুধু চিৎকার করে, আস্ফালন করে, আকাশ বাতাস কাঁপানোর কোনও দরকার নেই।'
'পৃথক উত্তরবঙ্গ'-র ইস্যুতে উত্তাল হয় সারা বাংলা
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভার আগে থেকেই 'পৃথক উত্তরবঙ্গ'-র ইস্যুতে উত্তাল হয় সারা বাংলা। মূলত বিজেপির একটি সভা থেকে মন্তব্যের পরেই ক্রমশ জয় গড়ায় রাজ্য়ে। এনিয়ে একুশের বিধানসভার আগে জোর বিতর্ক শুরু হয় উত্তরবঙ্গে। বিক্ষোভের জেরে রাতারাতি উত্তরবঙ্গ সফরে পর্যন্ত যান বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিজেপি নেতা জন বার্লা এই ইস্যুতে দফায় দফায় বৈঠকও করেন। প্রথমে এই ইস্যুতে মুখ খোলা হলেও পরে এনিয়ে কেন্দ্রের তরফে বিতর্কের আগুন নেভাতে এই ইস্যুতে সমর্থন তুলে নেওয়া হয়। তবে এনিয়ে থেমে থাকে না রাজ্যের শাসকদল। এই ইস্যুকেই ঢাল বানিয়ে একের পর এক সভায় গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে রাজ্য তৃণমূল নের্তৃত্বের শীর্ষ নেতারা। আর এবার সেই ইস্যুতেই ফের বিস্ফোরক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। আর তারপরেই এদিন তোপ দাগলেন রাহুল সিনহা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours