গোয়েন্দা বিভাগের ডিজিপি উমেশ মিশ্র জানিয়েছেন, রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে রাজ্যের চরবৃত্তি কার্যকলাপের ওপর নজর রাখা হত।
দিল্লি থেকে পাকিস্তানের এক হিন্দু নাগরিককে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ৪৬ বছর বয়সী ভাগচন্দ নামের ব্যক্তি ২২ বছর আগে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন এবং প্রায় ৬ বছর আগে তাঁকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দিল্লির ভাটি মাইন এলাকার সঞ্জয় কলোনিতে থাকতেন। একই অভিযোগে ভিলওয়ারা থেকে ধৃত নারায়ণ লাল গাদরি নামের অন্য এক অভিযুক্তকে জেরা করে এই ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভাগচন্দ নামের ওই ব্যক্তি বিগত ৪-৫ বছর ধরে পাকিস্তানি গোয়েন্দা আধিকারিকের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ বজায় রাখত এবং তাদের ভারতীয়দের মোবাইল নম্বর এবং ভারতীয় সিম কার্ড সরবরাহ করত। ওই ফোন নম্বর ব্যবহার করেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল খোলার কাজ করা হত। চরবৃত্তির জন্য পাকিস্তানের তরফে তাঁকে পেটিএম নামক অ্যাপে টাকা পাঠানো হত।
১৯৮৮ সালে ভিসা নিয়ে পরিবারে সঙ্গে পাকিস্তান থেকে দিল্লি এসেছিল ভাগচন্দ। ২০১৬ সালে ভিসা পাওয়ার পর তিনি দিল্লিতে ট্যাক্সিচালক হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। পাকিস্তানে তাঁর আত্মীয় স্বজনরা থাকে এবং তাঁদের মাধ্যমে পাক-আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখত ধৃত ব্যক্তি।
গোয়েন্দা বিভাগের ডিজিপি উমেশ মিশ্র জানিয়েছেন, রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে রাজ্যের চরবৃত্তি কার্যকলাপের ওপর নজর রাখা হত। ১৪ অগস্ট সেই কারণে নারায়ণ লাল নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই মুহূর্তে নারায়ন লাল বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই দিল্লির এই ব্যক্তির সম্পর্কে খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ভুয়ো নথি দিয়ে নারায়ণ ভারতীয় সিমকার্ড গুলি জোগাড় করে ভাগচন্দের হাতে তুলে দিত। খান মার্কেটের কাশ্মীর গেট বাস স্ট্যান্ডের ট্রাভেলস অফিসে চলত এই কাজ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours