বান্ধবী ও তার পরিবারকে আটক করেছে পুলিশ। জয়গাঁ সীমান্তের একটি বস্তিতে ঘটেছে এই ঘটনা
রাতের দিকে বান্ধবী ডেকেছিল ফোন করে। সেই বান্ধবীর বাড়িতেই গিয়েছিল কিশোর। কিন্তু সকাল পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় মায়ের চিন্তা বাড়ে। লোকজনকে খবর দেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে সেই বান্ধবীর বাড়ি থেকেই মিলল কিশোরের মৃতদেহ। থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বান্ধবী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কিশোরকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ভারত-ভুটান সীমান্তের জয়ঁগা এলাকার ঘটনা। জয়ঁগার মেচিয়া বস্তিতেই ওই বান্ধবীর বাড়ি। এ দিন সকালে যার দেহ উদ্ধার হয়েছে তার নাম সফিকুল ইসলাম। ১৭ বছরের ওই কিশোরের বাড়ি বস্তি থেকে খুব দূরে নয়। কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। কী ভাবে মৃত্যু হল ওই কিশোরের, সে রহস্য উদঘাটন হয়নি এখনও। মৃত্যু ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
জয়ঁগা ঝর্ণা বস্তির বাসিন্দা সফিকুল। এলাকারই একটি গ্যারেজে কাজ করত ওই কিশোর। সফিকুল ইসলামের সঙ্গে পাশের মেচিয়াবস্তির এক কিশোরীর প্রণয়ের সম্পর্কের কথা অনেকেই জানতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ওই কিশোরের মা জানান, সোমবার রাতে সফিকুলের কাছে হঠাৎই একটা ফোন আসে। তিনি জানতে পারেন ওই বান্ধবীই ফোন করে ডেকেছে। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি সফিকুল। তার মা জানিয়েছেন, ওই পরিবারের সঙ্গে ছিল না কোনও পুরনো শত্রুতাও।
মঙ্গলবার সকালে মেচিয়াবস্তিতে ওই কিশোরীর বাড়ি উদ্ধার করা হয় সফিকুল ইসলামের মৃতদেহ। কিশোরীর বাড়িতে তার মা ও ভাই ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাই তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যুবকের মৃত্যু ঠিক কী ভাবে হল, ময়নাতদন্তের পর তা বুঝতে পারবে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours