অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও নিরাপত্তার দাবিতে এরপর অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন ইন্টার্ন, মেডিক্যাল পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিত্সকরা।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা ইন্টার্নকে হেনস্থা, মারধরের অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রাতভর আন্দোলনে ইন্টার্ন, মেডিক্যাল পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিত্সকরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ চিকিত্সার গাফিলতির অভিযোগ তুলে মেল সার্জিক্যাল বিভাগের এক রোগীর পরিবার মহিলা ইন্টার্নকে মারধর করলেও, রাত পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও নিরাপত্তার দাবিতে এরপর অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন ইন্টার্ন, মেডিক্যাল পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিত্সকরা। সুপার ও পুলিশের আশ্বাসে ভোররাতে বিক্ষোভ ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

জগাছায় চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু: কিছুদিন আগে হাওড়ার জগাছায় চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর (Negligance in Treatment ) অভিযোগ। রোগী মৃত্যুর ঘিরে ধুন্ধুমার হাওড়ায় (Howrah)। বাঁকড়া এলাকার জগাছা উনসানিতে এক মহিলার মৃত্যু ঘিরে ক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুর চালাল স্থানীয় নার্সিংহোমে (Nursinghome Ransacked)।

ঠিক কী হয়েছে: স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই জরায়ুতে টিউমারের সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন মিনার বেগম(৪০)। শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ার জেরে তাঁকে হাওড়ার স্থানীয় এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ তাঁর অস্ত্রোপচারও (operation) হয়। কয়েকদিন আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও তাঁর স্বাস্থ্য খুব একটা ভাল ছিল না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়াতে তাঁকে গতকাল ফের নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হয়েছিল। যদিও বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।


চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর: যার পরই নার্সিংহোমে বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে রাগে ফেটে পড়ে রোগিণীর আত্মীয় ও স্থানীয়রা। ভাঙচুর করার পাশাপাশি নার্সিংহোমের গেটে ক্ষুব্ধ জনতা তালা লাগিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। যার পরই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। তারা বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফের রোগী রেফারের অভিযোগ শহরে: ফের এক হাসপাতাল থেকে অন্যত্র রোগী রেফারের অভিযোগ (Patient Refer)। অভিযোগ উঠল তিন-তিনটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে (Kolkata Hospitals)। পরিবার সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার বাসিন্দা ৭৮ বছরের রঘুনন্দন মণ্ডলের হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। সোমবার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে (Canning Hospital)। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে ICU না থাকায় চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

কিন্তু মাঝরাতে চিত্তরঞ্জনে এসে নিরাশ হতে হয় রোগীর পরিবারকে। বেড না পেয়ে এরপর রোগীকে এনআরএসে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানেও জায়গা না পেয়ে রাত ৩টে নাগাদ মেডিক্যাল কলেজে আনা হয় রোগীকে। কিন্তু বেড না মেলায় এখনও জরুরি বিভাগেই রোগীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। এ নিয়ে কোনও হাসপাতালেরই প্রতিক্রিয়া মেলেনি (Kolkata News)। 

এক ঘণ্টা, দু’ঘণ্টা নয়, প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে রোগীকে নিয়ে হয়রান তাঁর পরিবার। এখনও মেডিক্যাল কলেজের দরজায় দরজায় ঘুরে চলেছেন তাঁরা। শয্যা নেই বলে প্রথমে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হলেও, জোরাজুরিতে জরুরি বিভাগে রোগীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, রোগীকে শুধু বসিয়েই রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা শুরু হয়নি তাঁর। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours