রাইস মিলের নামে প্রায় দেড় কোটি টাকার গাড়ি কেনার চুক্তি হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের নজরে বীরভূমের কালিকাপুরের রাইস মিল। অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে থাকা ওই রাইস মিলে কি এমন রহস্য আছে যে সকালেই হাজির হলেন সিবিআই আধিকারিকরা? গরু পাচারের তদন্তের সঙ্গে রাইস মিলের সম্পর্কই বা কি? সিবিআই সূত্রে খবর, রাইস মিলের লেনদেন সংক্রান্ত কাগজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর তাতে দেখা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের রেশন বিভাগের সঙ্গেও নাকি লেনদেন হয়েছিল সুকন্যার এই ভোলে ব্যোম রাইস মিলের।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের রেশন বিভাগের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে এসেছে। রেশন বিভাগ এই রাইস মিল থেকে রাজ্য প্রচুর চাল কিনেছিল বলে দাবি করেছে সিবিআই। রাজ্য সরকারের এসেনশিয়াল কমোডিটি বিভাগ বা রেশন বিভাগের সঙ্গে লেনদেনের নথি হাতে এসেছে আধিকারিকদের।
এ ছাড়া এই রাইস মিলের নামে কোটি টাকার গাড়ি কেনা হয়েছিল বলেও জানা যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রের খবর, দুর্গাপুরের গতি মোটরস নামে একটি সংস্থা থেকে ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার গাড়ি কিনেছিল ভোলে ব্যোম রাইস মিল। মূলত জিএসটি সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেই এই তথ্য জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, সেই নথিতে দেখা গিয়েছে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ সালে দুর্গাপুরের ওই সংস্থাকে ২৮ লক্ষ টাকা জিএসটি দিয়েছে ভোলে ব্যোম। সেখান থেকেই প্রায় দেড় কোটি টাকার গাড়ি কেনার তথ্য উঠে আসে আধিকারিকদের হাতে। ডাম্পার বা বড় গাড়ি কেনা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। কেন অত টাকার গাড়ি কেনা হল, সেই গাড়িগুলিই বা কোথায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান, গাড়ি কেনার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়ে থাকতে পারে।
অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার সম্পত্তির খোঁজখবর করতে গিয়েই মূলত এই রাইস মিলের নাম সামনে এসেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এএনএম অ্যাগ্রো নামে সুকন্যার যে সংস্থা রয়েছে তারই নথিতে পাওয়া গিয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের নাম। রাইস মিল ওই সংস্থারই একটি অংশ বলে উল্লেখ রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এ দিন রাইস মিলে তল্লাশি চালাতে যায় সিবিআই। মিলের মধ্যে ঢুকে এ দিন আধিকারিকরা দেখেন, গ্যারাজে পরপর দাঁড় করানো আছে একাধিক বহুমূল্য গাড়ি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours