এটাও তথ্য পেলাম বীরভূমের বা বোলপুরের জেলা সংগঠনের মধ্যে বেশ কিছু জন আছেন যাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তৃণমূলের পয়সায় তাঁদের ঘর চলে।” ফের বিস্ফোরক অনুপম।


ফের বিস্ফোরক বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। বিজেপির মধ্যে যাঁরা তৃণমূলের টাকায় চলেন তাঁদের সব ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিলেন অনুপম। প্রয়োজনে প্রমাণ সমেত সব তথ্য জমা দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। এদিন ফেসবুক লাইভে এসে এ কথাও বলতে শোনা গেল অনুপমকে। একইসঙ্গে রাজ্য নেতাদেরও হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা যায় তাঁকে। 



এদিন ফেসবুক লাইভে এসে অনুপম বলেন, “গতকালই বোলপুর থেকে ফিরেছি দিল্লিতে। অনুব্রতর গ্রেফতারির পর গোটা রাজ্যজুড়ে মিষ্টি বিলি থেকে শুরু করে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু, বোলপুরে দুদিন ছিলাম। বোলপুরের যাঁরা বিজেপির পদাধিকারি তাঁরা জানতেন না এরকম নয়। সবার কাছে তথ্য ছিল। কিন্তু, দেখলাম না যে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছে বলে কোনও মিছিল বা কোনওরকম পদযাত্রা হয়নি। যেদিন গ্রেফতার হয়েছেন সেদিন থেকে বিশেষ কোনও মিছিল বা কোনওরকম পদযাত্রার আয়োজন করা হয়নি। আজ কী হচ্ছে দেখতে যাব না। এখনও অবধি সেরকম আন্দোলন চোখে পড়ল না। আন্দোলন না হলেও ফেসবুকেও বিশেষ পোস্ট চোখে পড়ল না। আজ কী হচ্ছে বলতে যাচ্ছি না। এতদিন হয়নি কেন?” 

সূত্রের খবর, একসময় অনুব্রতকে কাকু বলে সম্মোধন করতেন অনুপম। সম্পর্কও ছিল বেশ ভাল। কিন্তু, শেষে তৃণমূল ছাড়ার পর তাঁর সঙ্গে অনুব্রতর সম্পর্কের পারাপতনের কথাও শোনা যায়। এদিকে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর বর্তমানে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের নাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন অনুপম। তালিকায় রয়েছে ৭২ জনের নাম। কিন্তু, এরইমধ্যে এবার নিজের দল বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। 

এদিন ফেসবুক লাইভেই দলের একাংশের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুপম বলেন, “এটাও তথ্য পেলাম বীরভূমের বা বোলপুরের জেলা সংগঠনের মধ্যে বেশ কিছু জন আছেন যাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তৃণমূলের পয়সায় তাঁদের ঘর চলে। এটা তো ভয়ানক ব্যাপার। আমি ওখানকার ছেলে। সে কারণেই ছোট ছোট তথ্যও আমার কাছে চলে আসে। জাতীয় সম্পাদক হওয়ার পর দিল্লিতে কাজের জন্য থাকতে হয়। কিন্তু মনটা পড়ে থাকে বোলপুরেই। যাঁরা ঘরের শত্রু বিভীষণের মতো কাজ করছেন এটা বেশিদিন চলবে না। কে আপনাদের কোন পদ বসিয়েছে সে ব্যাপারে নাক গলাই না। প্রমাণের ভিত্তিতেই বলছি। বলতে খারাপ লাগছে, যদি বোলপুর জেলা সংগঠনের মধ্যে যদি ঘরের শত্রু বিভীষণ থাকেন তাহলে সেটা আমি সঠিক সময়ে ফাঁস করে দেব। আপনাদের ভাবা উচিৎ ছিল। যে সমস্ত মানুষরা ঘর ছাড়া, যাঁরা প্রাণের বাজি রেখে পার্টিটাকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছেন, আজকে তাঁদের এই অবদানের পরিবর্তে কেউ যদি তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলেন তাহলে আপনার মাথায় যে নেতারই হাত থাক এক্সপোজ করবই আমি।” 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours