নিজের সংসদীয় এলাকার জন্য তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছে বারবার। কোভিড টেস্ট করাই হোক বা নিজের সংসদীয় এলাকার নামে ফুটবল ক্লাব তৈরি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অন্যতম মূল ফোকাস 'ডায়মন্ড হারবার'। সেই ডায়মন্ড হারবারেরই একটি জলপ্রকল্পের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অভিষেক এদিন তুলে আনলেন জনপ্রতিনিধিদের দায়দায়িত্বের কথা। এদিন অভিষেক বলেন, ''আমার মতো লোক কম হয়। আমি সত্যি কথা, জোরের সঙ্গে বলি। মানুষের নূন্যতম চাহিদা যদি না দিতে পারি, তাহলে আমাদের পদে থাকা মানায় না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ২০২৪ সালের আগে এই কাজ শেষ করতে হবে। কেউ যদি মাতব্বরি করে, কেউ যদি কাজে বাধা সৃষ্টি করে, পুলিশকে বলব স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে৷''

নিজের সংসদীয় জীবনের কথা বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ''প্রথম সাংসদ হই যখন, সেই সময় ২০১৪ সালে প্রচারে এসে এখানে দেখি জলের হাহাকার। মা-মাসিরা পথ অবরোধ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বলেছিলেন জল না পেলে ভোট দেব না। আমি বলেছিলাম সাংসদ নির্বাচিত হলে এই কাজ করব। জলের সমস্যার সমাধান বা প্রতিকার করব। সেই সময় মন্ত্রী ছিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ক্যাবিনেটে এই প্রকল্প নিয়ে কথা বলেছিলেন। আজ সুব্রত মুখোপাধ্যায় নেই। কিন্তু তার আশীর্বাদ সমর্থন যেভাবে পেয়েছি, তাতে আজ উনি থাকলে খুশি হতেন।''

সংসদের সংযোজন, ''ফলতা-মথুরাপুর প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় আমাদের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ ছিলেন। তিনিও কোভিডে প্র‍য়াত হয়েছেন। এই প্রকল্পে বজবজ-১, বজবজ-২, বিষ্ণুপুর-২ কভার হচ্ছিল না৷ যেখান থেকে প্রকল্প হচ্ছে সেখানেই কভার না হলে কী করে চলবে? আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলি। এর পর ক্যাবিনেটে পাশ হয় বিষয়টি। আমি চার বছর পরিষেবা দেব৷ আমি এক বছর মাঠে ময়দানে নেমে রাজনীতি করব। আমি হেল্পলাইনও চালু করেছি। আমরা উন্নয়ন করতে বদ্ধপরিকর।''

বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে অভিষেক বলেন, ''আগে যারা বিরোধী দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের বাড়িতে আগে জলের সংযোগ দেবেন। কেন্দ্র বলছে সবকা সাথ সবকা বিকাশ। আর বাংলাকেই ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। আসলে ভোটে হারিয়েছি, তাই গায়ে জ্বালা ধরেছে। আমাদের নীতি, যে বুথে হেরেছি সেখানে আগে জল দেব। জেতা বুথে তো দেবই। ১০০ দিনের কাজের ৯ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে।''


এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক, তাঁর সংযোজন, ''একটা লোকসভা কেন্দ্র আপনি দেখান, যেখানে বাড়ি বাড়ি সকলের জল পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছিলেন সবাইকে মাথার ছাদ দেবেন। কোথায় গেল সেই প্রতিশ্রুতি? আমি যা কথা দিয়েছি, সেই কাজ হবে। পঞ্চায়েতের সকলকে বলব, যারা মাঠে ময়দানে কাজ করছেন তাদের যেন অসুবিধা না হয়। ৭ দিনের কাজ ৫ দিন, ২৪ মাসের কাজ যেন ১৮ মাসে হয়। হঠাৎ করেই পাইপের লাইন কেটে জল দিয়ে দিলাম। এই অনৈতিক কাজ করা যাবে না। আমি এক ঘন্টায় খবর পেয়ে যাব।''

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours