প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সকালে পঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের মধ্যে সংযোগকারী রেলব্রিজ ভেঙে পড়েছে চাক্কি নদীর উপরে।
ভারী বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ল সেতু। এদিন সকালেই হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলায় চাক্কি সেতুর একটি স্তম্ভ ভেঙে পড়ে। উপরের অংশটিও সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ভেঙে পড়ে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে। এর জেরেই অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। হড়পা বান নেমেছে মান্ডি এলাকাতেও।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সকালে পঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের মধ্যে সংযোগকারী রেলব্রিজ ভেঙে পড়েছে চাক্কি নদীর উপরে। ভারী বৃষ্টির জেরেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিগত দুই-তিনদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির জেরে চাক্কি নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তার জেরেই নদীর উপরে তৈরি সেতুর একটি স্তম্ভ বা সেতু ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজ সকালে ভেঙে পড়ে সেতুর একাংশ।
মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে রাজ্যজুড়েই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর জেরে কাংড়া, কুলু ও মান্ডি জেলার একাধিক জায়গায় হড়পা বান শুরু হয়েছে। ঘরবাড়ি, দোকানগুলিতে জল ঢুকে গিয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বহু গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সতর্কতাবশে এই সমস্ত অঞ্চলের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে সদর, থুনাগ, লামাতাগ অঞ্চলের জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টাও রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত দুই-তিনদিন ধরেই মান্ডি, ধর্মশালা সহ একাধিক জায়গায় একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসও নেমেছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথগুলি।
লাগাতার বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে কার্যত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। দুই মহিলা সহ কমপক্ষে ১০ জনের আটকে থাকার খবর মেলে। তবে সেনাবাহিনী ও এনডিআরএফর তৎপরতায় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours