১৯৯৮ সালে হওয়া বিয়ে, এতদিনের একসঙ্গে পথ চলা অবশেষে শেষ হতে চলেছে। কিন্তু কেন?
বাবা-মা মানতে চাননি। কিন্তু তিনি ছিলেন একরোখা। পরিবারের অমতেই সীমা বিয়ে করেছিলেন সলমন খানের ভাই সোহেলকে। সেই সংসার ভাঙতে চলেছে। ১৯৯৮ সালে হওয়া বিয়ে, এতদিনের একসঙ্গে পথ চলা অবশেষে শেষ হতে চলেছে। কিন্তু কেন? কী এমন হল মেজ ভাইয়ের মতো ছোট ভাইয়ের সংসারেও আজ অশান্তির কালো মেঘ। বেশ কিছু মাস আগে ডিভোর্স ফাইল করলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন সীমা।
সমস্যা এক আধদিনের নয়। সীমা জানিয়েছেন ২০১৭ থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁর কথায়, সম্পর্কে ক্রমেই আড়ষ্ট হয়ে এ পড়তে হচ্ছিল তাঁকে। তিনি বলেন, “যদি এক অন্ধকার গর্তের মধ্যে জড়সড় হয়ে থাকতে হয় তবে সেখানে না থেকে বিপরীত দিকে থাকারই তো চেষ্টা করব। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তোমার মেয়ে অথবা তোমার বোন ক্রমাগত এরকম এক অবস্থার মধ্যে রয়েছে এ দেখতে নিশ্চয়ই পরিবারের লোকেদেরও ভাল লাগে না।” এখানেই না থেমে তিনি যোগ করেন, “ওঁদের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। যাতে ওরা বুঝতে পারে তাঁদের মেয়ে জীবনকে ইতিবাচক ভাবে নিতে শিখেছে। আমার মনে হয় জীবনে এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছেছি যে আর কিছুই যায় আসে না। আমার সন্তান আমার ভাই বোন আমার বাবা-মা জানে আমি কী”।
সোহেল ও সীমার প্রথম দেখা হয় ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’র সেটে। দিল্লি নিবাসী সীমা সোহেলের প্রেমে পড়েই মুম্বইয়ে ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়তে চলে আসেন। বাবা-মা না মানলেও আর্য সমাজবিধি মেনে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। হয়েছিল মুসলিম রীতি মেনে বিয়েও। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। ২০০০ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান নির্বাণের জন্ম হয়। ২০১১ সালে জন্ম হয় ইয়োহানের। সব ঠিকই চলছিল, কিন্তু হঠাৎই সম্পর্কে ঝড়। যার পরিণাম বিচ্ছেদ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours