বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে, কোনও নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে পরবর্তীকালে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে জড়িয়ে পড়া চেনা-অচেনা মুখের সঙ্গে নেতাদের ছবি অস্বস্তি বাড়িয়েছে দলের।


জেলার দুই বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। একজন অবশ্য আগেই মন্ত্রী ছিলেন, শুধু দফতরে কিছুটা বদল এসেছে। অন্যজন নতুন। আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক ও দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। প্রথমজন বর্তমানে রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী। দ্বিতীয়জন মন্ত্রী হলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের। তাঁদের সংবর্ধনা দিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল আসানসোলে। রবিবার সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায় ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীরা মঞ্চ জুড়ে রয়েছেন। এই ঘটনায় বিরক্ত হন মন্ত্রী মলয় ঘটক। প্রকাশ্যেই বলেন, ‘স্টেজে ওঠার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হয়।’

মলয় ঘটক বলেন, “একটা দল, একটা সংগঠন তখনই শক্তিশালী হতে পারে যখন সেই দল বা সেই সংগঠনের একটা ডিসিপ্লিন থাকে। এসেই দেখলাম স্টেজের উপর প্রায় ৩০০ লোক। কিন্তু স্টেজে ওঠার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। সেই যোগ্যতা যেদিন আমরা অর্জন করব, সেদিন নিজে থেকে মঞ্চে ওঠার দরকার নেই। আপনাকে ডেকে নেওয়া হবে স্টেজ থেকে। তার জন্য আমাদের নিজেদের তৈরি হতে হবে, যাতে সেই যোগ্যতা অর্জন করতে পারি।”

একইসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের উদ্দেশে এদিন মলয় ঘটক বার্তা দেন, “একদিকে আপনারা যেমন দেশের ভবিষ্যৎ, অন্যদিকে আপনারা তেমন দলেরও ভবিষ্যৎ। ছাত্র যুব থেকেই আগামীর নেতৃত্ব তৈরি হয়। আমরাও একদিন ছাত্র সংগঠন করেছি। তখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ছিল না। ছাত্র পরিষদ ছিল। আমরাও একদিন যুব সংগঠন করেছি। যেদিন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন, সেইদিন কিন্তু আমি বর্ধমান জেলার যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলাম।”
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে, কোনও নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে পরবর্তীকালে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে জড়িয়ে পড়া চেনা-অচেনা মুখের সঙ্গে নেতাদের ছবি অস্বস্তি বাড়িয়েছে দলের। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, সেইসব বিড়ম্বনা যাতে একেবারেই দূরে ঠেলা যায়, সে কারণেই কি মঞ্চে ছাত্র যুব কর্মীদেরও না ওঠার বার্তা মলয়ের?
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours