তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কোচবিহারের জেলা সভাপতি পরিমল বর্মণ।

স্কুলে ছেলের চাকরি করে দেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতিকে। কিন্তু দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও চাকরি দেওয়া হয়নি। টিকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক। টাকা নিয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার এই অভিযোগ উঠেছে কোচবিহার জেলায়। সে জেলার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পরিমল বর্মণের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিমল।

অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক আশুতোষ দত্তের অভিযোগ, কোচবিহার সারথিবালা মহাবিদ্যালয়ে ছেলেকে পিওনের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিমল বর্মণকে টাকা দিয়েছিলেন তিনি। ছেলের চাকরির জন্য মোট ৭ লক্ষ ২৫ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কলেজে ছেলের চাকরি পাওয়ার জন্য ২০১৮ সালে এই টাকা দিয়েছিলেন তিনি। চার বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁর ছেলে আশিস দত্ত চাকরি পাননি বলে অভিযোগ আশুতোষের। চাইলেও টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরই পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন আশুতোষ। তিনি বলেছেন, “উনি প্রভাবশালী লোক। তাই এতদিন অভিযোগ করতে পারিনি। এখন রাজ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনা ঘটেছে। তাই আমি সাহস করে অভিযোগ জানালাম।”

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কোচবিহারের জেলা সভাপতি পরিমল বর্মণ। তিনি বলেছেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি কলেজের কোনও পদেই কোনওদিন ছিলাম না। ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমি কারও কাছেই কোনও টাকা নিইনি।” মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য আদালতে যাওয়ার হুশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

অপর দিকে ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেছেন, “একজন অভিযোগ করেছেন বলে আমরা পরিমল বর্মণের নাম জানতে পারছি। সারা কোচবিহারে এ রকম অনেক ঘটনা রয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকেই সারা কোচবিহারে অনেকের কাছ থেকেই টাকা তুলছেন একাধিক তৃণমূল নেতা।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours