তৃণমূলের দাবি ওই নেতাকে এবার সংগঠনে সম্মানজনক দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিজেপির দাবি, জেলা নেতৃত্বের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা।
তৃণমূলে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতির কথা শোনা গিয়েছিল আগেই। যদিও পরে সেই অনেক ক্ষেত্রে সেই নীতি থেকে সরে আসতে দেখা গিয়েছে দলকে। তবে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে পদত্যাগ করার পর বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা দাবি করলেন, সেই নীতির কারণেই পদ ছেড়েছেন তিনি। মঙ্গলবার আচমকাই পদত্যাগ করেন বাঁকুড়ার খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে এ দিন ইস্তফা দিয়েছেন আনন্দ মোহন মাহাতো। তাঁর দাবি, সংগঠনের কাজের জন্যই পদ ছেড়েছেন তিনি। তবে বিরোধীদের দাবি, জেলায় গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই আনন্দ মোহনবাবুর পদত্যাগ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। তার ঠিক আগেই তৃনমূল নেতার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এ দিন দুপুরে খাতড়া মহকুমা শাসকের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন আনন্দ মোহন মাহাতো। বাঁকুড়ার রাজনৈতিক মহলে সেই নেতাকে নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সৈনিক তিনি। খাতড়া ব্লকের সভাপতির দায়িত্বও সামলে আসছিলেন তিনি।
এ দিন আনন্দ মোহন মাহাতোকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান দলের যাতে সুবিধা হবে, তেমনই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছিলন। কিন্তু সেই সময়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়নি আনন্দ মোহন মাহাতোকে। ১৯৯৮ সাল থেকে জয়ী হয়ে আসছেন বলে দাবি করেছেন ওই নেতা। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তখনই আনন্দ মোহন মাহাতোকে সভাপতি করে তৃনমূল। পাশাপাশি ব্লক সভাপতি হিসেবে খাতড়ায় কাজ করছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, আনন্দ মোহন মাহাতো তাঁর পদত্যাগপত্রে জানিয়েছেন, সাংগঠনিক কাজের জন্যই পদত্যাগ করেছেন তিনি।
খাতড়া দু নম্বর ব্লকের বিজেপির সহ সভাপতি তাপস সিংহ মোদক দাবি করেছেন, এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তাঁর আনন্দ মোহন মাহাতোর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কথা উল্লেখ করে বিজেপি নেতা দাবি করেন, নিজেদের মধ্যে সমস্যার জন্যই আনন্দ মোহনের মতো নেতাকে পদ ছাড়তে হল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours