সুকান্ত মজুমদার বলেন, "দেখুন উনি সহযোগিতা করবেন না। চোর কোনওদিনও পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করে না। এটাই স্বাভাবিক।


সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে তদন্তকারীদের আঙুল বাঁকাতে হবে, অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। শনিবার অনুব্রত মণ্ডলের ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত পূর্ণ হচ্ছে। এদিনই তাঁকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে। সূত্রের খবর, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে অনুব্রতকে ফের হেফাজতে চাইতে পারে সিবিআই। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেখুন উনি সহযোগিতা করবেন না। চোর কোনওদিনও পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করে না। এটাই স্বাভাবিক। সোজা আঙুলে যদি ঘি না ওঠে তা হলে আঙুল বাঁকা করতে হবে ঘি ওঠানোর জন্য। তবেই সব ঠিক হয়ে যাবে।”


শুক্রবারই অনুব্রত মণ্ডলের ‘গড়’ বীরভূমের বোলপুরে হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। ভোলে ব্যোম নামে এক চালকলে গিয়ে পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি দেখতে পান তাঁরা। সেই গাড়ির মধ্যে একটিতে চেপে কলকাতায় এসএসকেএমেও এসেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে পাঁচটি গাড়ির মধ্যে তিনটি অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা। চালকলে ‘গাড়িশালা’র মধ্যে ‘কেষ্ট’র কোনও কারসাজি রয়েছে কি না তা জানতে মরিয়া সিবিআই।

ইতিমধ্যেই এক গাড়ি ব্যবসায়ী বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। সাঁইথিয়ার ওই ব্যবসায়ী অরূপরতন ভট্টাচার্যের দাবি, অনুব্রত তাঁকে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫ কোটি টাকার উপরে নগদ ও একটি গাড়ি নিয়ে নেন। সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “শুক্রবার বীরভূমের সাধারণ ব্যবসায়ীদের মুখ থেকে তোলাবাজির যে গল্প শুনেছি! তোলাবাজি হয় জানতাম, কিন্তু তা বলে কোটিতে তোলাবাজি, গাড়ি তোলাবাজি করে নিয়ে নেওয়া হয়, দামী দামী গাড়ি শুধুমাত্র গাঁজা কেসের ভয় দেখিয়ে নিয়ে নেওয়া হয় আমরা ভাবতে পারছি না।”

বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের সংযোজন, “এইভাবে এই নেতারা মানুষকে দিনের পর দিন শোষণ করে গেছেন। সমাজের বিষ তাঁরা। তাঁদের থেকে সমাজকে বাঁচানো একান্ত প্রয়োজন। তৃণমূল দলটাই আমাদের সমাজে পলিটিক্যাল পয়জন হয়ে গেছে। এই বিষকে পলিটিক্যাল সিস্টেম থেকে বের করে দেওয়া উচিৎ। না হলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশ, পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য কোনওটাই বাঁচবে না।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours