পূর্ণিমার ভরা কটালে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। জলের তোড়ে ভাঙল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের কপিল মুনির মন্দিরের সামনে কংক্রিটের রাস্তা। অন্যদিকে, জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙেছে গোসাবার কালিদাসপুরে কাঁকসা নদীর। পথ ঘাট আর নদী আলাদা করার উপায় নেই। বাড়িতেও ঢুকেছে জল।
পুবালি বাতাসে ভর করে অনেকটাই বেড়েছে সমুদ্রের জলস্তর। আজ সকাল থেকেই বাঁধ উপচে জল ঢুকতে শুরু করে। সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার শুরু করেছএ ব্লক প্রশাসন। সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কপিল মুনির আশ্রমের সামনে কংক্রিটের রাস্তা দ্রুত মেরামতির আশ্বাস প্রশাসনের। ' এই রাস্তা ভাঙলে মন্দির থাকবে না ' সংশয় প্রকাশ করেছেন আশ্রমের এক সন্ন্যাসী। বাসিন্দা ও পর্যটকদের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার করছে ব্লক প্রশাসন।
প্রতিবছর এক দুর্ভোগ। কোনওদিন কি মুক্তি মিলবে এই যন্ত্রণা থেকে? প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের।
মহিষমারিতে ঢুকছে জল
ভরা কটালে সমুদ্র বাঁধের ফাটল দিয়েই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) সাগরের মহিষমারিতে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। গ্রামবাসীদের দাবি, ইতিমধ্যেই অনেক চাষের জমি চলে গেছে জলের তলায়। বাঁধের কাছাকাছি কয়েকটি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, বাঁধ মেরামতির জন্য সরঞ্জাম থাকলেও ভরা কটালের জন্য মেরামতির কাজ করা যাচ্ছে না।
নদীবাঁধ নিয়ে অভিযোগ: নামখানা ব্লকের অন্তর্গত পাতিবুনিয়া গ্রাম। গ্রামে নদীবাঁধ একেবারে ভাঙাচোরা অবস্থায়। অশনির মতো দুর্যোগের প্রভাবে ক্রমশ উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। দুর্যোগের মেঘ যত ঘনীভূত হয়েছে, জলোচ্ছ্বাসে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র ও নদী উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ততই যেন জাঁকিয়ে বসেছে। সেবারও বাঁধ ভেঙে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেছেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভুক্তভোগী মানুষগুলো। বঙ্গোপসাগর ও চিনাই নদীর মোহনায় অবস্থিত এই গ্রামে নদীবাঁধের যা অবস্থা, তাতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস তো দূরের কথা, একটু জোরাল স্রোতের ধাক্কাও সামলাতে পারবে কি না, তা নিয়ে গ্রামবাসীদেরই সন্দেহ রয়েছে। বাসিন্দা নন্দন বর্মন যেমন বললেন, ' কোনও কাজ হয় না। যখনই দুর্যোগ আসে, তখনই জেসিবি এনে কাজ দেখানো হয়। '
Post A Comment:
0 comments so far,add yours