নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই মমতার সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগেছেন তিনিও। এবার সেই বিকাশ ভট্টাচার্যকেই ভারতীয় ছাত্র ফেডারেশন তাঁদের দেশব্যাপী কর্মসূচির প্রচারের মুখ হিসাবে ব্যবহার করল।
সাম্প্রতিক সময়ে মমতার নিশানায় বারবার উঠে এসেছে তাঁর নাম। একুশের মঞ্চ থেকেও তোপ দাগেন চাঁচাছোলা ভাষায়। অন্যদিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় চাকরি প্রার্থীদের হয়ে আদালতে শক্ত হাতে ব্যাট ধরতে দেখা যায় তাঁকে। দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই মমতার সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগেছেন তিনিও। এবার সেই বিকাশ ভট্টাচার্যকেই (Bikash Ranjan Bhattacharya) ভারতীয় ছাত্র ফেডারেশন (SFI) তাঁদের দেশব্যাপী কর্মসূচির প্রচারের মুখ হিসাবে ব্যবহার করল। বিকাশ যে ফের বাম শিবিরেরও বিশ্বাসযোগ্য মুখ হয়ে উঠেছেন, তা যেন এসএফআইয়ের(SFI) এ কাজের মধ্য দিয়ে নতুন করে প্রমাণ হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
নিয়োগ কেলেঙ্কারীতে উত্তাল বাংলা। ইডি(ED) হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chatterjee)। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের(Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এদিকে এই অর্পিতা আবার পার্থর ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছে ইডি। তাতে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরের। যা নিয়ে লাগাতার তোপ দেগে চলেছে মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর মতো বাম নেতারা। তোপ দেগেছেন বিকাশও। কিন্তু, বর্তমান সময়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার গলায় বারবার শোনা গিয়েছে বিকাশের নাম। একুশের মঞ্চেই বামেদের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, “সিপিএমের বিকাশবাবু। চাকরির জন্য রোজ রোজ এটা কাটো, ওটা কাটো বলে যাচ্ছে। দেখাচ্ছেন কত সাধু পুরুষ। ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানেন না। ওঁকে জিজ্ঞেস করুন, আপনার আমলে কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল? তাঁরা কি বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য় ছিলেন?
মমতার এ বক্তব্য নিয়েও জোরদার চাপানউতর শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। মমতার লাগাতার আক্রমণের মধ্যেই যেন বাম শিবিরে হঠাৎই আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন বামেদের রাজ্য সভার সাংসদ। এবার এসএফআইয়ের ‘অল ইন্ডিয়া জাঠার’ মুখ হলেন সেই বিকাশ। ভিডিয়ো বার্তায় একযোগে তোপ দাগলেন কেন্দ্র-রাজ্যের বিরুদ্ধে। ভিডিয়ো বার্তায় বিকাশ বলেন, “মানুষের শিক্ষার অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষার জন্য এসএফআই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য এ কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” এসএফআইয়ের সেন্ট্রাল কমিটির তরফে প্রকাশও করা হয়েছে সেই ভিডিয়ো। কিন্তু, সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও বিকাশবাবুকে যেভাবে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় প্রচারের মুখ করা হল তা নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। জাতীয় স্তরেও যে এর ফলে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা আরও বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours