ভাঙনের কবলে হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়। সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরে হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly)। মামলা গ্রহণ আদালতের।
পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ। বলাগড়ের ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই নদী। ভাঙনের কবলে স্কুলবাড়ি। যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। পঞ্চায়েতের তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
ভাঙনের কবলে বলাগড়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়: চাষের জমি আগেই গেছে নদীগর্ভে। এবার গ্রামের স্কুলবাড়িটাও বিলিন হতে বসেছে। গঙ্গা ভাঙন আস্ত একটা স্কুলকে গিলে নিতে চলেছে। তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই, আক্ষেপ গ্রামবাসীর ! গ্রামাবাসী জানিয়েছেন, বর্ষার আগে স্কুল থেকে অনেক দূরে ছিল গঙ্গা। প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে আসছে। নদী পাড় ভাঙছে। খয়রামারির কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাটিতে ফাটল ধরে গঙ্গায় মিশে যাচ্ছে। বলাগড় ব্লকের চর খয়রামারি ভাঙন কবলিত। চাষের জমি, গ্রামবাসীর বাড়িঘর পর্যন্ত জলে তলিয়ে গেছে। প্রাথমিক স্কুলের সীমানা পাঁচিল ইতিমধ্যেই গঙ্গা-গর্ভে চলে গেছে। স্কুলের বারান্দায় এসে ধাক্কা মারছে জল। যে কোনও সময় গোটা স্কুলটাই হয়ত তলিয়ে যাবে চোখের সামনে। নদীর পাড় যেভাবে ভাঙছে তাতে আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসী। ভাঙন আটকানোর কোনও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ উঠছে।
সংবাদ মাধ্যমে স্কুলের এই দশার কথা আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এহেন অবস্থা দেখে এবার হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বর্তমানে এই স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ৫০। করনোরা কাঁটা পেরিয়ে স্বশরীরে এসেই স্কুলে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও মুহূর্তে নদী গ্রাসে চলে যেতে পারে আস্ত স্কুল বাড়ি। তা ভেবেই শিউরে উঠছেন অভিভাবকরা। স্কুলের এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? তা জানতে চাই হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours