টানা ৩দিন ২০ হাজারের ঘরে দেশের করোনা সংক্রমণ। পুজোর আগে বাংলা সহ গোটা দেশে ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ।
শুক্রবার সামান্য কমলেও সংক্রমণ, শনিবার ফের কিছুটা বেড়েছে দেশের দৈনিক গ্রাফ। মৃত্যুসংখ্যা ও অ্যাকটিভ কেসের হার বেড়েছে এদিন। চিন্তা বজায় রাখছে মারণ ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট। বিশেষ করে চিন্তায় রাখছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলির পরিস্থিতি।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজার ০৪৪ জন। যা শুক্রবার ছিল ২০ হাজার ০৩৮ জন। গতকালের তুলনায় কিছুটা বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। শুক্রবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪৭ । ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৬০ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ হাজার ৩০১ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৪৮ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৫১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৬০ জন। দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.৩২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৮০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, বাংলার মতো রাজ্যগুলিতে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন মহারাষ্ট্রে সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২,৩০০-র গণ্ডি। প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। বাংলাতেও পরপর দু’দিন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি মানুষ। তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ২০০০-এর বেশি। দেশে ইতিমধ্যেই ১৯৯ কোটি ৭১ লক্ষ ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা পেয়েছেন ২৩ লক্ষের বেশি মানুষ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours