পুলিশ জানিয়েছে, কানার মা গীতা পাঁচ বছর আগে পালিয়ছিলেন কালুর সঙ্গে। তখন গীতার বয়স ছিল ৩৫ বছর। কালুর বয়স ছিল ১৯ বছর।
প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন মা। তার পর ফিরেও এসেছিলেন। কিন্ত প্রেমিকের সঙ্গে প্রায়শই দেখা যেত মাকে। সম্প্রতি গ্রামবাসীরা সমানে খোঁটা দিচ্ছিলেন। প্রেমিকের সঙ্গে ফের পালাবে তাঁর মা। এই বলে ক্রমাগত তাঁকে উত্য়ক্ত করছিলেন গ্রামবাসীরা। তাতেই ক্ষুব্ধ ছিলেন যুবক। সেই রাগে মায়ের প্রেমিককে কুপিয়ে খুন করেছেন তিনি। মায়ের প্রেমিকের সঙ্গে মারামারিতে গুরুতম আহত হয়েছেন ওই যুবকও। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের ভাবনগর জেলার বুধেল গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম কালু মাকওয়ানা (২৪)। মায়ের প্রেমিককে খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম কানা রাঠোর (১৯)।
পুলিশ জানিয়েছে, কানার মা গীতা পাঁচ বছর আগে পালিয়ছিলেন কালুর সঙ্গে। তখন গীতার বয়স ছিল ৩৫ বছর। কালুর বয়স ছিল ১৯ বছর। পালিয়ে যাওয়ার কিছু দিন পর ফিরে আসেন তাঁরা। কালুর বাড়ি সর্তানপুর গ্রামে। বুধেল গ্রামে তাঁর দিদির বাড়ি। সেই গ্রামেই থাকেন গীতা। দিদির বাড়ি প্রায়শই আসতেন কালু। সেখানেই গীতার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। ২ জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার পরই পালিয়েছিলেন তাঁরা।
সম্প্রতি দিদির বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেছিলেন কালু। গীতার সঙ্গেও ফের দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এর পর থেকেই গীতার ছেলে কানাকে উত্যক্ত করা শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা কানাকে বলতে থাকেন, ফের কালুর সঙ্গে পালিয়ে যাবেন তাঁর মা। এবং এ সব বলে মজা নিতে থাকেন তাঁরা। এর থেকেই কালুর প্রতি রাগ জন্মেছিল কানার মনে।
বৃহস্পতিবার রাতে কালুর দিদির বাড়ির সামনে গিয়ে কালুকে গালিগালাজ করতে থাকেন কানা। কালু বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে মারপিট লাগে তাঁদের মধ্যে। তখনই কানা ছুরি বরে করে কোপাতে থাকেন কালুকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ধস্তাধস্তিতে আহত হন কানাও। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours