এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর বাড়ি থেকে ২১ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে এই প্রথম নয়, ইডি সূত্রে খবর, এর আগেও তিন বার অর্পিতাকে তলব করা হয়েছিল।
একটি বিজনেস স্কুলের আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে নাম উঠে এসেছিল অর্পিতার। ইডির ডাক পেয়ে দু'বার জেরার মুখেও পড়েছিলেন অর্পিতা। কিন্তু তারপরও বেপরোয়াই ছিলেন অর্পিতা। যার ফল মিলল শুক্রবার। শনিবার গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছিল। আর রবিবার তাঁকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ঢোকার সময় তিনি বলেন, ''আইন আইনের পথে চলবে, এটাই বলব। আইনের উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে।''
ঢোকার সময় এর বেশি কিছু না বললেও বেরোনোর সময় তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, 'আপনি কোন পার্টির?' এই প্রশ্নের জবাবে অর্পিতা বলেন, ''আমি কোনও পার্টির নই।'' তবে, ওই বিপুল অঙ্কের টাকা তাঁকে কে রাখতে দিয়েছিল, সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি অর্পিতা। জোকা ইএসআই থেকে বেরিয়ে অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্কশাল আদালতে।
এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। এদিন জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। অর্পিতাকে রবিবার তোলা হচ্ছে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। ইডি নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে আদালতে।
ইডি সূত্রে খবর, ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মুখোমুখে বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। কী ভাবে এত টাকা অর্পিতার ঘরে এল, বিজনেস স্কুলের আর্থিন লেনদেনের দুর্নীতিতে কী ভাবে তিনি জড়িয়েছিলেন, টাকার উৎস কী, তাও জানতে চায় গোয়েন্দারা। যদিও সদুত্তর দিতে চাননি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তিনি গতকাল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বার বার নির্দোষ দাবি করেছেন। এমনকী শুক্রবার তিনি জানিয়েছিলেন, 'এসবই বিজেপির চাল'।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours