ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মতো ন্যূনতম কোনও ব্যবস্থা না রেখে শাসক দল কোভিড বিধি উপেক্ষা করছে বলে অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ওই মেডিক্যাল ক্যাম্পে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ বিগত কয়েক সপ্তাহে হঠাৎই একটু বেড়ে গিয়েছে। করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। আর এরই মধ্যে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারে কাতারে তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা ধর্মতলায় আসবেন দলনেত্রীর ভাষণ শোনার জন্য। আগামী দিনে দলের গতিপ্রকৃতি কী রকম হবে, তার দিকনির্দেশ করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে কর্মী-সমর্থকরা এসে ভিড় করেছেন শহরের অস্থায়ী শিবিরগুলিতে। তৃণমূল বলছে, সবরকম কোভিড বিধি মেনেই হচ্ছে ২১ জুলাইয়ের সভা।
কিন্তু অভিযোগ উঠছে, শাসক দল কোভিড বিধি মেনে চলার যে কথা বলছে, বাস্তব চিত্র তার থেকে অনেকটাই আলাদা। হাওড়া স্টেশন চত্বরে তৃণমূল সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন প্রোগ্রোসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মেডিক্যাল ক্যাম্প রয়েছে বটে। কিন্তু সেখানে নেই কোনও কোভিড পরীক্ষার বন্দোবস্ত। অন্তত এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। প্রসঙ্গত, দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে যাঁরা ট্রেনে চেপে হাওড়ায় আসছে, তাঁদের কারও জ্বর, সর্দি, পেট খারাপ বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে, তাঁদের সাহায্য়ের জন্য এই মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। যদি কারও সঙ্গে মাস্ক না থাকে, তাঁকে মাস্কও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যদি কেউ সঙ্গে করে কোভিড নিয়ে আসেন? সে ক্ষেত্রে তা জানার জন্য কোনও বন্দোবস্ত নেই বলেই অভিযোগ উঠছে। এমনকী ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মতো ন্যূনতম কোনও ব্যবস্থা না রেখে শাসক দল কোভিড বিধি উপেক্ষা করছে বলে অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ওই মেডিক্যাল ক্যাম্পে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
উল্লেখ্য এদিন দুপুরে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ পরিদর্শনে এসে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “কোভিড চলছে। মহামারি শেষ হয়নি। আপনারা দয়া করে মাস্ক পরে থাকুন। আমরা স্বেচ্ছাসেবকদেরও অনুরোধ করেছি মাস্ক বিতরণ করার জন্য। সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, স্যানিটাইজার রাখা রয়েছে। সভাস্থলে যখন আসবেন মাস্ক পরে থাকবেন।” ঘন ঘন হাত ধোয়ার এবং একটু দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শও দেন তিনি।
তবে বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলছে, এই সভার জন্য কোভিড আরও বাড়বে, সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “যদি বিরোধীরা এমন বলে থাকেন, তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে, বিরোধীরা তাতে আরও আনন্দ পাবেন যদি কোভিড বাড়ে। আমি তাঁদের অনুরোধ করব, দল বা জাতি-ধর্ম না দেখে যদি কোথাও কোনও ভুলভ্রান্তি হয়, প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। যদি তৃণমূলের একটি কর্মীও যদি ভুল করে, আপনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখান। আমাদের নিজেদের দায়িত্বশীল হতে হবে। শুধু একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে থাকলে কোভিড কোনওদিন কমবে না।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours