রাজনীতি এখন উত্তাল কোটি কোটি টাকার গল্পে! অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সঙ্গে সোনা দানা তো আছেই।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট অর্পিতা আজ কেঁদে ভাসিয়ে দিয়েছেন। ইডির জেরায় জেরবার পার্থ-অর্পিতা। আর ঠিক এর মধ্যেই আর এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে আসতেই ছি ছি পড়ে গেছে। টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর ওই আবাসনেই অর্পিতার নামে থাকা আর এক ফ্ল্যাটে ঘটে যাচ্ছে এই কাণ্ড! কী করে পারেন এরা? উঠছে প্রশ্ন!
জানা গিয়েছে, ওই আবাসনে অর্পিতার নামে থাকা একটি ফ্ল্যাটে বন্দি হয়ে রয়েছে ন'টি উন্নত প্রজাতির সারমেয় বা কুকুর। যাদের সব মিলিয়ে দাম চার লাখ টাকার বেশি। সব কটাই দামি কুকুর! এই কুকুর গুলি অর্পিতার দায়িত্বেই ছিল। জানা যাচ্ছে ওই সবকটি কুকুর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এমনটাই জানান ওই আবাসনের বাসিন্দারা! পার্থ এবং অর্পিতা ইডি হেফাজতে যাওয়ার পর থেকেই ওই ফ্ল্যাটে বন্দি রয়েছে ন'টি সারমেয়। ওই কুকুরগুলি কী খাচ্ছে? কীভাবে বেঁচে আছে সে খবর নেওয়ার কেউ নেই। এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত আবাসনের পশু প্রেমীরা। কিন্তু তাঁরা কেউ গিয়ে দেখছেন না কী অবস্থায় রয়েছে ওই কুকুরগুলি? না খেয়ে বেঁচে আছে তো? শুধু চিন্তা করছেন, কাজের কাজ কী কিছু করলেন? এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে
১৯তলার ওই দু'টি ফ্ল্যাটের মোট আয়তন বড়জোর ১,৬০০ বর্গফুট। দু'টি ফ্ল্যাটকে এক সঙ্গে জোড়া হয়েছে। তার মধ্যেই রয়েছে অন্তত ন’টি সারমেয়। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, ওই সারমেয়গুলির মধ্যে একটি রটওয়েলার, একটি ইংলিশ বুলডগ, একটি ফ্রেঞ্চ বুলডগ। তা ছাড়াও রয়েছে একটি করে পাগ এবং বিগ্ল প্রজাতির কুকুর। রয়েছে দু’টি করে ল্যাব্রাডর এবং গোল্ডেন রিট্রিভার। কিন্তু এই টুকু জায়গায় এতগুলো কুকুর আছে কী করে? যদিও মন্ত্রীর সারমেয়-শখ নিয়ে কেউ কখনও কিছু বলেননি। তবে কুকুরের প্রশিক্ষকরা মাঝে মাঝে কুকুরগুলিকে নিচে নামাতেন। গত প্রায় দু’মাস ধরে আবাসনের ওই নয় বাসিন্দা ফ্ল্যাটের বাইরে বেরোয়নি। যবে থেকে আদালতে পার্থর কুকুর এবং সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, তখন থেকে প্রশিক্ষকদেরও দেখা যায়নি।
এখন প্রশ্ন হল কী খাচ্ছে ওরা? জল, খাবার পাচ্ছে তো? এই ভাবে থাকলে নিজেদের মধ্যে মারপিট করেই মারা যাবে ওরা। খাবার জল না পেয়ে অসুস্থ হয়ে যাবে! জানলা দরজা বন্ধ। কীভাবে আছে ওরা? চর্মরোগ হয়েও মারা যাবে! পশুপ্রেমীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খবর জানাজানি হতেই। তবে এই কুকুরদের দেখতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কখনও আসতে দেখেননি আবাসনের বাসিন্দারা! আবাসনের সিকিউরিটি জানিয়েছেন, "বাইরে থেকেই খাবার আসে ওই কুকুরদের জন্য। এখনও সেই নিয়ম চলছে। তবে ট্রেনারদের দেখা নেই!" এর বেশি জানেন না কেউ। এদিকে ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। যদিও এই খবর ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এবার কিছু একটা ব্যবস্থা করা হবে। সোশ্যাল মাধ্যমেও অনেকে সরব হয়েছেন এই অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে! আবাসনের বাসিন্দারা কেন এতদিন চুপ করে ছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে! ভয়াবহ অমানবিকতার ছবি দেখছে কলকাতা!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours