বিজেপিকে অন্যদিন এই সভা করার পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তবে একইসঙ্গে রাজ্যের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে রাত ৮ টার পর বিজেপিকে সভা করতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে কোনও অসুবিধা হবে কি না।
২১ জুলাই। তৃণমূলের ‘শহিদ’ সমাবেশ। শাসক দলের কাছে দিনটি রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের দিন। আর ওই একই দিনে সভা করতে চাইছে বিজেপি শিবিরও। উলুবেড়িয়াতে সভা করতে চায় বিজেপি। আর এই নিয়েই মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে এদিন মামলার শুনানি হয়। দুই দফায় শুনানি চলে। সকালে এক দফা শুনানির পর, দুপুর সাড়ে তিনটের পর আরও একদফা শুনানি চলে। তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের পাল্টা সভা নিয়ে মামলায় আপাতত কিছুটা অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির। বিজেপিকে অন্যদিন এই সভা করার পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তবে একইসঙ্গে রাজ্যের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে রাত ৮ টার পর বিজেপিকে সভা করতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে কোনও অসুবিধা হবে কি না।

রাজ্যের কাছে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানতে চান, একুশে জুলাইয়ের জন্য পুলিশি বন্দোবস্ত কী রয়েছে? কত মানুষ ওই দিনের সমাবেশে আসতে পারেন? সেক্ষেত্রে রাত ৮ টার পর যদি বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিলে কোনও সমস্যা হবে কি না, সেই বিষয়েও রাজ্যের থেকে জানতে চান বিচারপতি। পাশাপাশি বিজেপির থেকেও ওই দিন সভায় কতজন মানুষ আসতে পারেন বা কারা কারা সেই দিন উপস্থিত থাকবেন, সেই সব বিষয়গুলিও জানতে চান তিনি। আগামিকাল (বুধবার) ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে আদালতে। তবে বিচারপতি ভট্টাচার্য বিজেপিকে পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে অন্য দিন সভার আয়োজন করা যায়। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এ দিন জানিয়েছেন, “আদালত চায় যেন মানুষের শান্তি ও স্বস্তি বজায় থাকে।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে শুনানির সময় বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বিজেপির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন ২১ জুলাইকেই এই সভার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে? ২২ জুলাই বা ২৩ জুলাই কেন নয়? বিজেপির আইনজীবীর বক্তব্য, অনেক আগে থেকেই এই কর্মসূচি নির্ধারিত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রচার করা হবে ওই সভার মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে বিচারপতি জানান, এই কর্মসূচি তো যেদিন ইচ্ছা করা যেতে পারে।বিজেপির তরফে আদালতে আরও জানানো হয়েছিল, হাওড়ার ওই নির্দিষ্ট এলাকাতেই তাঁদের সভা সীমিত থাকবে। অন্য কোনও কর্মসূচিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য কর্মসূচি রাখা হয়েছে বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। কিন্তু বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, যে নেতারা আসবেন, তাঁরা হাওড়ায় যাবেন কীভাবে? তাঁদের তো কলকাতা পেরিয়েই হাওড়ার সভাস্থলে যেতে হবে। বিচারপতি বিজেপির আইনজীবীকে আরও বলেছেন, ইতিমধ্যেই ট্র্যাফিক সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে। বিকল্প রাস্তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। নেতাদের তো আর আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দেওয়া হবে না।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours