পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ লোক দেখানো সিদ্ধান্ত। এর আগে নিয়োগে এত বড় দুর্নীতি হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের 'ষড়যন্ত্রের শিকার' বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব নেই। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন এই ধরনের বক্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। ঘুষ নেওয়ার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে এটা পরিষ্কার। 'অপা' সিন্ডিকেট তৃণমূলের শীর্ষ স্তর থেকে পরিচালিত। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, পার্থ-অর্পিতা কাণ্ডে কোনও অবস্থাতেই তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারবে না (Suvendu Adhikari)।
প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ও একের পর এক ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার নিয়ে জোরকদমে আসরে নেমেছে বিজেপি। আর এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র নিশানা করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতৃত্বকে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবে না। দায় কোনওভাবেই এড়াতে পারে না তৃণমূল কংগ্রেস।
এরমধ্যে বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় আজ শুক্রবার মিছিল করে বিজেপি। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মিছিল থেকে দাবি ওঠে, শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যারা যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে (Suvendu Adhikari)।
এরইমধ্যে আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ই এস আই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee Arrest)। এদিন মেডিক্যাল টেস্ট করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালে ঢুকতে ঢুকতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার৷ পরে হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থবাবুর দাবি, 'যারা ষড়যন্ত্র করেছে জানতে পারবে৷'
প্রসঙ্গত, গতকালই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে তৃণমূলের মহাসচিব-সহ বাকি সব পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে এই সবকিছুকেই 'লোকদেখানো' মনে করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পার্থ ইস্যুতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি। গোটা অগাস্ট মাস জুড়ে রাজ্যব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া শিবির। 'চোর ধরো জেল ভরো' কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। রাজ্যের সমস্ত বুথ, মণ্ডল ও জেলাস্তরে মিছিল- প্রতিবাদ সভা করবে তারা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলায় কর্মসূচি পালনে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে নির্দেশ। স্থানীয় সাংগঠনিক নেতৃত্বের পাশাপাশি বেশ কিছু কর্মসূচিতে রাজ্যস্তরের নেতৃত্বও হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours