দুর্গাপুরে ভয়ঙ্কর নেশার কবলে যুব সমাজ। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার, বিধাননগর, বেনাচিতি, মুচিপাড়া, সি জোন, এ জোন সর্বত্রই বেড়ে গিয়েছে ফ্লেভার্ড কন্ডোমের বিক্রি। কিন্তু কেন?

 এই হঠাৎ বেড়ে যাওয়া কন্ডোম বিক্রির কারণ খুঁজতে গিয়েই মাথায় হাত প্রশাসনের। জানতে পারা গিয়েছে, অস্বাভাবিক হারে এই কন্ডোম বিক্রির কারণ নেশা। কন্ডোম দিয়ে নেশা করার উদ্দেশ্যেই বেড়ে গিয়েছে বিক্রি। আর দুর্গাপুরের তরুণ প্রজন্মের একাংশ ঝুঁকছে তাজ্জব করা এই নেশায়!

জানা গিয়েছে, যৌনতার সময় সময় নারী দেহের জরায়ু মুখে পুরুষাঙ্গের অবাধ যাতায়াতের জন্য কন্ডোমের এক ধরনের মলম লাগানো থাকে। এই মলম জরায়ু মুখকে তৈলাক্ত করে তোলে। এটি আসলে অ্যারোমেটিক কমপাউন্ড। সেই সঙ্গে ফ্লেভার্ড কন্ডোমে থাকে ফ্লেভার অনুযায়ী সুগন্ধি। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে সেক্সের মুহুর্তে উত্তেজনা বেড়েও যায়।

কিন্তু নেশা কীসের? প্রশাসন খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছে, গরম জলে এই ধরনের কন্ডোম ভিজিয়ে রাখলে অ্যারোমেটিক কমপাউন্ড থেকে বেরিয়ে আসে অ্যালকোহল। তা রেখে দিতে হয় অনেকক্ষণ। এরপর সেই জল খেলে নাকি নেশা থাকে ১০-১২ ঘণ্টা। আর সেই নেশারই হদিশ পেয়েছে তরুণ প্রজন্ম। বিশেষত, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

দুর্গাপুরের ওষুধের দোকানদাররা বলছেন, আগে দোকানপিছু দিনে ৩ থেকে ৪ প্যাকেট কন্ডোম বিক্রি হত। আর এখন একটা দোকান থেকেই প্যাকেট প্যাকেট কন্ডোম উধাও হচ্ছে! প্রসঙ্গত, স্রেফ নেশার কারণেই নাইজেরিয়ায় একসময়ে টুথপেস্ট ও জুতোর কালি বেড়ে গিয়েছিল ৬ গুণ! দুর্গাপুরে এবার সেই জায়গায় কন্ডোম। ফলে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours