এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবৈধভাবে কয়লা লেনদেনর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে। বেআইনি কয়লা কেনা-বেচা চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইসিএলের বন্ধ কোলিয়ারি থেকেও কয়লা তুলে তা পাচার করা হচ্ছে। সম্প্রতি ড্রোনের একটি ফুটেজ দেখে এই তথ্য জানতে পারেন সিআইডি আধিকারিকরা। এরপরই ধড়পাকড় শুরু হয়। তদন্তে নেমে এই আব্দুল বারিক বিশ্বাসের নাম জানতে পেরেছিলেন তাঁরা। শুক্রবার বিকেলে কলকাতা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসানসোল এসসিজিএম আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১০ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মূলত কয়লা পাচারের অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে। এয়ারপোর্ট থানা এলাকারয় নারায়ণপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ মূল কয়লা পাচারের হলেও, অতীতে গরু পাচার ও সোনা পাচারের ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়েছিল তাঁর। গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাঁকে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জামুরিয়ায় এই আব্দুল বারিক বিশ্বাসের একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা রয়েছে। সেই কারখারা মাধ্যমেই বেআইনিভাবে কয়লা কেনাবেচা চালানো হত। কিছুদিন আগেই জামুড়িয়া থেকে কয়লা মাফিয়া মীর দিলওয়ারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আব্দুল বারিক বিশ্বাসের খোঁজ পান আধিকারিকরা। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হল।

এ দিকে, মীর দিলওয়ার হকের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে ৬ দিন আগে। জামুরিয়া থানার হিজলগড়া থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। ওই অঞ্চলের আদিবাসী এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের কাছেই গ্রেফতার হন তিনি। তাঁর কাছে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পেয়েছিল সিআইডি। শুধু তাই নয়, অবৈধ ডিপো থেকে ৭০ টন কয়লাও উদ্ধার করেছিলেন আধিকারিকরা। এই কয়লা লেনদেনে আর কারা যুক্ত, তা খোঁজার চেষ্টা করছে সিআইডি।
পরিস্থিতি বুঝতে ওই এলাকায় ড্রোন ওড়ানো হয়েছিল। সেই ড্রোনের ফুটেজে দেখা যায়, ২৫ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইসিএলের একটি কোলিয়ারি থেকে অবৈধভাবে কয়লা তোলা হচ্ছে। জামুরিয়া সেন্ট্রাল কোলিয়ারির সেই ছবিও আদালতে পেশ করেছে সিআইডি। এবার ধরা পড়লেন সেই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল বারিক বিশ্বাস।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours