১ জুলাই থেকেই অসমে জাপানিজ এনসেফালাইটিসে আক্রান্তদের খোঁজ মিলতে শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে। গত একদিনেই মশাবাহিত এই রোগে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন নালবাড়ি ও একজন মরিগাঁও জেলার বাসিন্দা।
জমা জলে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার আতঙ্ক তো রয়েইছে, তবে বন্যা দুর্গত অসমে চিন্তা বাড়াচ্ছে অন্য রোগ। চলতি বছরে বন্যা হওয়ার পর থেকেই অসমে দেখা দিয়েছে জাপানিজ এনসেফালাইটিসের প্রাদুর্ভাব। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর বিগত ১৫ দিনে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে জাপানিজ এনসেফালাইটিসে।
১ জুলাই থেকেই অসমে জাপানিজ এনসেফালাইটিসে আক্রান্তদের খোঁজ মিলতে শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে। গত একদিনেই মশাবাহিত এই রোগে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন নালবাড়ি ও একজন মরিগাঁও জেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে, একদিনে জাপানিজ এনসেফলাইটিসে আক্রান্তও হয়েছেন ১৬ জন। বরপেটা, কামরূপ, কারবি ও হোজাই থেকে একজন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। নাগাঁও থেকে চারজন, শিবসাগর থেকে দুইজন এবং নালবাড়ি ও উদালগিরি জেলা থেকেও তিনজন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে এখনও অবধি ১৬০টি জাপানিজ এনসেফালাইটিসের কেস দাখিল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রিপোর্টে।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অসমের উপরিভাগ অর্থাৎ গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবসাগর, লখিমপুরে হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মধ্য অসমের নাগাঁও, হোজাই, মরিগাঁও, কারবি জেলা এবং নিম্নভাগে বরপেটা, কামরূপ মেট্রোপলিটন, নালবাড়ি ও উদালগিরিতেও আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের তরফে গোটা পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে
Post A Comment:
0 comments so far,add yours