সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধূরী বলেন, "সাধারণত ঠান্ডার খোঁজে গরমের সময় সাপ লোকালয়ে বা ঘরে আশ্রয় নেয়। তবে সাপকে মেরে ফেলা উচিত নয়। সাপ দেখলেই বনবিভাগ বা পরিবেশকর্মীদের খবর দেওয়া দরকার।"
খাতায় কলমে বর্ষাকাল। কিন্তু, এখনও তীব্র গরম। আর তাপমাত্রা বাড়তেই লোকালয়ে বাড়ছে সাপের উপদ্রব। কারও বাড়িতে, কোথাও গোডাউন থেকে, আবার কারও দোকান থেকে উদ্ধার হল বিষধর গোখরো। এরকমই গত ১৫ দিনে ১২ টি গোখরো উদ্ধার হল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। বর্তমানে সাপ উদ্ধার বন্ধ রয়েছে বন বিভাগের। স্বাভাবিকভাবে এলাকায় সাপ উদ্ধারে একমাত্র ভরসা সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরী এবং পরিবেশপ্রেমীরা। রবিবার উদ্ধার হওয়া সাপগুলিকে বনকর্মীদের উপস্তিতিতে সোনাখালি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপে কাটার খবর পাওয়া গিয়েছে। কয়েকদিন আগে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী ভর্তি হতে আসেন। হাসপাতালে এসে জানতে পারেন, এখানেও সাপের উপদ্রব রয়েছে। সাপে কাটার রোগীর সংখ্যা গত কয়েকমাসে বেড়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মে মাসে মোট ১১৭ জন সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

এ বিষয়ে সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধূরী বলেন, “সাধারণত ঠান্ডার খোঁজে গরমের সময় সাপ লোকালয়ে বা ঘরে আশ্রয় নেয়। তবে সাপকে মেরে ফেলা উচিত নয়। সাপ দেখলেই বনবিভাগ বা পরিবেশকর্মীদের খবর দেওয়া দরকার।” তিনি জানান, গত ১৫ দিনে ধূপগুড়ির বিভিন্ন স্থান থেকে সাপগুলো ধরা হয়েছে। আজ সাপগুলোকে সোনাখালি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হল।
সোনাখালি বিট অফিসার উত্তম ছেত্রী বলেন, সাপগুলিকে ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরী এবং পরিবেশপ্রেমীরা উদ্ধার করেছিলেন। ও ১২টি সাপকে সুস্থ অবস্থায় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours