বাংলার বিদ্বজ্জনেদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিশিষ্টদের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। ছড়া কেটে রুদ্রনীলের প্রশ্ন, অন্য রাজ্যের ঘটনা নিয়ে মোমবাতি নিয়ে পথে নেমে প্রতিবাদ জানালেও, কেন এসএসসির দুর্নীতি নিয়ে সরব হচ্ছেন না বাংলার বিদ্বজ্জনেরা ? তবে এদিনই স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন পরিচালক অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। 

রুদ্রনীলের প্রশ্ন-

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির ধাক্কায় কেঁপে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! ৫০ কোটি টাকা আর বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই ফের বাংলার বিদ্বজ্জনেদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এক ভিডিও বার্তা তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, লুঠের টাকার পাহাড় দেখেও পাচ্ছে নাকি লজ্জা ? কাদের কাঁধে হাত রেখেছেন, ঘুণ ধরা কি মজ্জা ?/ ইউপি, বিহার, দিল্লি নিয়ে মোমবাতি নেন হাতে আর বাংলার লুঠে খোলেন না মুখ, নামেন না রাস্তাতে/ ও বুদ্ধিজীবী, ধর্না দেওয়া মুখগুলো সব তোমার দিকে চেয়ে/ আসছে মিছিল খালি পেটে তোমার দিকে ধেয়ে/ তোমায় প্রমাণ দিতেই হবে, বিক্রি তুমি হওনি/ হ্যাঁ ভুল বুঝছে মানুষ/ তোমায় প্রমাণ দিতেই হবে, বিক্রি তুমি হওনি/ শিক্ষা-বিবেক-শিরদাঁড়াটা নিলাম করে দাওনি।

আরও পড়ুন ; 'মিলিয়ে নেবেন কদিন পরে এরা বেচবে গঙ্গা নদী', পোস্টের পর পূর্ণাঙ্গ ছড়ায় কটাক্ষ রুদ্রনীলের


যদিও এপ্রসঙ্গে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলছেন, "সব সময় পথে নামলে তো কাজটা হবে না। বুদ্ধিজীবীদের একটা ভূমিকা আছে ঠিকই। কিন্তু, এই যে সঙ্কট তাতে রাস্তায় নামলেই তো মিটে যাবে না। এখনও পর্যন্ত স্বচ্ছ কিছু চোখের সামনে আসছে না। টাকা ধরা পড়েছে, একজন বা দুজন মানুষ ধরা পড়েছেন...এটুকু আমরা জানছি। এর মধ্যে একটা সিদ্ধান্তে আসতে দেরি হবে, সময় লাগবে। কিন্তু, এটা ঠিকই যে, আমরা একটা গভীর হতাশায় ঢুকে আছে।"

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির ৬ দিন পরে, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেন। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, এটা ভুললে চলবে না, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, যে টাকা রাজ্যের গরিবদের শোষণ করে জোগাড় হয়েছে। মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে তৃণমূল মুখরক্ষার চেষ্টা করেছে। এতে মুখরক্ষা হবে না। যাঁদের থেকে লুঠ করা হয়েছে, তাঁদের স্বার্থে ওই টাকা ব্যবহার করতে হবে। 

এই ইস্যুতে শিল্পী সমীর আইচ বলছেন, আমি বুদ্ধিজীবী না। ছবি আঁকি। তবে, কোন অজানা কারণে রাজ্যে নতুন সরকার আসার পরে দিনের পর দিন অন্যায় অবিচার হয়ে চলেছে, তাঁরা তার পরেও নিশ্চুপ।

অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এটা হতাশাজনক। সত্যিই তো নন্দীগ্রামের সময় সবাই যেমন নেমেছিলেন, তখনকার শাসকর্তাদের ভয় পাননি, সেই মেরুদণ্ডটা এখন কোথায় গেল ?

সব মিলিয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে এখন তপ্ত বঙ্গ।

 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours