বিষমদ-কাণ্ডে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়ার ঘুসুড়িতে। অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।


বর্ধমানের পর বিষমদ-কাণ্ডকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়ায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মদ খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর বুধবার থেকে ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও অন্তত ৩০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাওড়া ও কলকাতার একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘পুলিশও অন্যায় করলে ছাড় পাবে না।’

কী ভাবে থানা থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে এ ভাবে বেআইনি মদের ঠেক দিনের পর দিন চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের নাম অনিল চৌরাশিয়া, রঞ্জিত গুপ্ত, অমিত কুমার বর্মন, লক্ষণ সাউ, বিশ্বজিৎ রায়, ত্রিভুবন পণ্ডিত, সুকুমার চৌধুরী, প্রকাশ মিত্র, রাজেশ্বর রায়, ও পার্থ প্রতীম রায়। অসুস্থ অবস্থায় কেউ ভর্তি রয়েছেন টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে, কাউকে ভর্তি করা হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে।

এ দিন সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্বজনহারা পরিবারগুলি অভিযোগ করতে থাকে, দিনের পর দিন এই অঞ্চলে চলত মদের ঠেক। আর সেই মদ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মদের কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রথম থেকেই প্রতাপ কর্মকার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল। বুধবারই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতাপের সঙ্গে এই কারবারে আরও কেউ যুক্ত ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। সকাল থেকেই বাসিন্দারা দাবি করেন, মদের ঠেক দেখেও চুপ ছিল পুলিশ। এই অভিযোগ ওঠার পর রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অরূপ রায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পুলিশকেও ছাড় দেওয়া হয় না। পুলিশ যদি অন্যায় করে, তাহলে ছাড় পাবে না।’ তিনি আরএ উল্লেখ করেন, আগে এই ধরনের ঘটনায় রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে, এলাকার বিজেপি নেতা উমেশ রায়ের দাবি, মৃতের সংখ্যা ১০-এর থেকে অনেক বেশি। অনেকের দেহের কোনও ময়নাতদন্ত হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours