শুভেন্দু অধিকারী টুইটারে লিখেছেন, "টান টান উত্তেজনা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর কে জিতবে, বেলঘরিয়া না টালিগঞ্জ? টাকা উদ্ধারে "এগিয়ে বাংলা"! পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানো চলছে।"
ডায়মন্ড সিটিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডির অভিযানে পাওয়া গিয়েছিল ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোটের পাহাড় দেখা গিয়েছিল অর্পিতার বাড়িতে। এরপর বুধবার অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। সেখানেও কোটি কোটি টাকার পাহাড় পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত ২০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার বাড়িতে। টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের তোপ দাগতে শুরু করেছেন বিরোধী নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী টুইটারে লিখেছেন, “টান টান উত্তেজনা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর কে জিতবে, বেলঘরিয়া না টালিগঞ্জ? টাকা উদ্ধারে “এগিয়ে বাংলা”! পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানো চলছে।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ ফেসবুকে লিখেছেন, “যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই। পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন। লাখ লাখ চাকরিপ্রার্থীদের চোখের জলের দাম তৃণমূলকে দিতেই হবে।” এখন অ্যাকশন চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, তাড়াতাড়ি শুনানি করে সাজা দিয়ে দিন। আগে তো জানা যাক অপরাধ কত বড়। আমি তো টিভিতে বসে দেখছি কোটি কোটি টাকা। সারা দেশের মানুষ দেখছে। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গকে বলতেন, বাংলা গরিব হয়ে গিয়েছে, তাঁদের ধারণা পাল্টে দিলেন একা পার্থ বাবু। এক এক জন নেতার থেকে যদি এমন জমানো পুঁজি পাওয়া যায়, তাহলে কত টাকা এদিক ওদিক হয়েছে।”
উল্লেখ্য, বেলঘরিয়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে এখনও উপস্থিত রয়েছেন ব্যাঙ্কের কর্মীরা। টাকা গোনার মেশিনও সেখানে পৌঁছে গিয়েছে বলে ইডি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ইডির তরফ থেকে আইনজীবী এর আগেই আদালতে আশঙ্কা করা হয়েছিল, ১২০ কোটির স্ক্যাম হয়ে থাকতে পারে। যদিও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া এই বিশাল অঙ্কের টাকা সরাসরি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কি না, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অর্পিতার একের পর এক বাড়ি থেকে কীভাবে এত বিশাল অঙ্কের টাকার পাহাড় উদ্ধার হওয়ায় এর উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours