কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই বিশ্বভারতীকে ঘিরে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উপাচার্যের সঙ্গে আশ্রমিক-পড়ুয়াদের দ্বন্দ্ব বারবার উঠে এসেছে শিরোনামে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন র‍্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (National Institutional Ranking Framework) বা এনআইআরএফের তালিকায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে। তালিকায় মানের অবনমন নিয়ে জরুরিভিত্তিতে বৈঠক ডাকল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে বিশ্বভারতীর আধিকারিক থেকে শুরু করে সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ উপস্থিত থাকছেন।

উল্লেখ্য, এনআইআরএফের তালিকায় বিশ্বভারতীর মান ৯৮-এ নেমে এসেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেন এই হাল বিশ্বভারতীর, তার পর্যালোচনায় এদিনের বৈঠক বলে সূত্রের খবর। বিশ্বভারতীর গরিমা বিশ্বময়। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই আশ্রমে পড়াশোনা করেছেন দেশের তাবড় ব্যক্তিত্ব। সাহিত্যচর্চা থেকে অর্থনীতি, সাফল্যের বিভিন্ন ধারায় নিজেদের প্রমাণ করেছেন বিশ্বভারতীর কৃতীরা। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা।

কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই বিশ্বভারতীকে ঘিরে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উপাচার্যের সঙ্গে আশ্রমিক-পড়ুয়াদের দ্বন্দ্ব বারবার উঠে এসেছে শিরোনামে। বিক্ষোভ-আন্দোলন বিশ্বভারতীর রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাক্তনীরা আগেও বারবার বলেছেন, গুরু-শিষ্যর সম্পর্কের অবনমন আসলে বিশ্বভারতীর মানেরই অবনমন ঘটাচ্ছে। পড়াশোনাতেও তার প্রভাব পড়ছে। এনআইআরএফের তালিকা কার্যত সে তত্ত্বেই সিলমোহর দিল।এই র‍্যাঙ্কিং নিয়ে প্রাক্তনী আশ্রমিকরা দোষারোপ করছেন বর্তমান উপাচার্যকে। তাঁদের বক্তব্য, নতুন উপাচার্য আসার পর বিশ্বভারতীতে একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক সময় এই বিশ্বভারতীর ছাতিমতলায় গুরু-শিষ্যের পরম্পরার যে ছবি দেখা যেত, এখন অধ্যক্ষদের সঙ্গে ছাত্র ছাত্রীদের সম্পর্ক মোটেই আর তেমনটা নেই। তার প্রভাব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে পড়ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours