পরিবারের লোকজন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই শিবনারায়ণের মধ্যে একটা অস্থিরতা কাজ করছিল। এত টাকা খরচ করে বীজ কিনেছেন, অন্যান্য জিনিস কিনেছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর: বর্ষার শুরুতে বৃষ্টি হলেও পরে একেবারে খটখটা চারদিক। চরম কষ্টে কৃষকরা। এখন আমন ধান রোপনের সময়। কিন্তু বৃষ্টি কোথায়? ধান চাষ হবে কী করে? সেই উদ্বেগেই এক কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। কুমারগঞ্জের ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই কৃষকের নাম শিবনারায়ণ টিগ্গা (৪৫)। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের খরাইলের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। শিবনারায়ণের পরিবার সূত্রে খবর, এবার ধান রোপন করতে না পেরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলেন। এরপরই বাড়ি থেকে তাঁর ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয় রবিবার। সোমবার মৃতদেহ উদ্ধার করে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বালুঘাট জেলা হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।
পরিবারের লোকজন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই শিবনারায়ণের মধ্যে একটা অস্থিরতা কাজ করছিল। এত টাকা খরচ করে বীজ কিনেছেন, অন্যান্য জিনিস কিনেছেন। অথচ ধানের চারা জমিতে লাগাতেই পারছিলেন না বৃষ্টি না হওয়ায়। তাতেই ভিতরে ভিতরে কেমন একটা থমথমে হয়ে থাকতেন। এরমধ্যে রবিবার সকলের চোখের আড়ালে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটান। প্রতিবেশী দিলীপ টুডু বলেন, “বৃষ্টির অভাবে ধান চারা বুনতে পারেনি। এরপরই নিজেকে শেষ করে দিল।”
শিবনারায়ণের ভাই রমেন টিগ্গার কথা, “খুব চিন্তায় ছিল দাদা। এতদিন ধরে বৃষ্টি নেই। জমিতে ধান বুনতে পারছিল না। সবসময়ই ভাল লাগে না, ভাল লাগে না করত। একটা উচাটনভাব কাজ করছিল। বলত, মাথা ভার। ঘুম হয় না। ডাক্তারও দেখানো হয়েছিল। ওষুধ খেয়েও কোনও কাজ হয়নি। আমি বারবার বুঝিয়েছি, এত চিন্তা করিস না। বৃষ্টি হওয়ার যখন ঠিক হবে। কিন্তু বুঝত না। বলত, ধান না বুনতে পারলে হবে না। এরপরই রবিবার বাড়িতে গলায় দড়ি দেয়।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours