এদিকে চলতি মাসেই কেন্দ্রের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মুক্তার আব্বাস নকভি। এদিকে সম্প্রতি আবার মুক্তার আব্বাস নকভির ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ইস্তফার আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন নকভি। তারপরই দেন ইস্তফা। কিন্তু, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে কেন আচমকা ইস্তফা তা নিয়ে বাড়তে থাকে জল্পনা। অনেকেই বলতে শুরু করেন নকভিই হতে পারেন এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। কিন্তু, এখন ধনখড়ের নাম ঘোষণা হওয়ায় সে জল্পনায় যে ইতি পড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে কী নকভই এবার বাংলার রাজ্যপালের মসনদে? বাড়ছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নকভির সুসম্পর্ক নিয়ে বারবারই নানা জল্পনা শোনা যায় রাজনৈতিক মহলে। এদিকে ২০১৯ সালে বাংলার রাজ্যপালের শাসনভার হাতে নেওয়ার পর মমতার সঙ্গে ধনখড়ের সম্পর্কের তিক্ততা ক্রমেই বেড়েছে। এমনকী বাংলার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত প্রায়শই জাতীয় খবরের শিরোনামে উঠে আসে। এমতাবস্থায় ধনখড় যদি উপরাষ্ট্রপতি হন তাহলে মমতা বিগ্রেডে খানিক স্বস্তি ফিরবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও কেউ খেউ বলছেন কেরলের বর্তমান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের নামও উঠে আসছে বাংলার ভাবী রাজ্য়পালের তালিকায়।
এদিকে রাজ্যের পরবর্তী রাজ্যপাল নিয়ে যখন জল্পনা চলছে সেই মুহূর্তে মমতা-ধনখড়কে একযোগে খোঁজা দিতে ছাড়েননি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজন বলেন, “এটা আমার কাছে নতুন খবর নয়। কদিন আগে দার্জিলিংয়ে ধনখড়, মমতা ও অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়। সেখানে গোপনে কী শলা-পরামর্শ হয়েছে তা সকলেই বুঝতে পারছেন। তবে এতদিন ধরে বাংলায় বিজেপির হয়ে যিনি ফিল্ডে থাকলেন তাঁকে উপ কেন? আরও বড় পদ দেওয়া যেত না?”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours