গোল্ড কোস্টে গুরুরাজাকে দেখেই কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়ার জেদ চেপেছিল সংকেতের।
কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) দ্বিতীয় বার পদক গুরুরাজা পূজারীর (Gururaja Pujary)। গত বার গোল্ড কোস্টে রুপো পেয়েছিলেন। এবার ব্রোঞ্জ পেলেন। সাই মিডিয়ার তরফে জুমে একটি সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। হাসি মুখে ক্যামেরার ও প্রান্তে গুরুরাজা। খেলাধুলায় প্রথম পছন্দ ছিল কুস্তি। কোচের কথায় বেছে নিয়েছিলেন ভারোত্তোলন। তাতে অবশ্য ক্ষতি হয়নি। গোল্ড কোস্টে রুপো, এবার ব্রোঞ্জ। আগের বার ৫৬ কেজি বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন। এবার ওয়েট বাড়িয়ে ৬১ কেজি বিভাগে। টানা দ্বিতীয় বার কমনওয়েলথ গেমসে পদক। উচ্ছ্বসিত হওয়াই স্বাভাবিক। দিনের এবং এ বারের প্রতিযোগিতায় প্রথম পদক এসেছে সংকেত সারগরের (Sanket Sargar) সৌজন্যে। তাঁর জন্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
গোল্ড কোস্টে গুরুরাজাকে দেখেই কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়ার জেদ চেপেছিল সংকেতের। সে সময় পান দোকান চালাতেন সংকেত। ভারতীয় সময় সকাল ৬ টা নাগাদ গুরুরাজার ইভেন্ট চলছিল। কাস্টমারের জন্য পান বানাচ্ছিলেন। চোখ আটকে ছিল দোকানে রাখা ১৪ ইঞ্চির টিভিতে। গুরুরাজাকে পদক জিততে দেখেন সংকেত। তিনিই এবার দেশের জন্য পদক জিতলেন। সংকেতকে নিয়ে টিভি নাইন বাংলার প্রশ্নে গুরুরাজা পূজারী বলেন, ‘ওকে আমি বহুদিন থেকেই চিনি। সংকেত প্রচণ্ড পরিশ্রমী। আজ ওর সোনাই জেতা উচিত ছিল। চোটের জন্য জিততে পারল না। ওর দিনটা ভালো ছিল না, এটাই বলব। রুপোর পদক এসেছে এটাও কম নয়। আমি খুবই খুশি ওর জন্য।’
কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতি সম্পর্কে গুরুরাজা জানালেন, ‘ইভেন্টে নামার আগে মাথায় এটাই চলছিল, দেশের জন্য পদক জিততেই হবে। প্রস্তুতির জন্য একমাস আগেই এখানে চলে এসেছিলাম। সরকার এবং স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া সেই সুযোগ করে দিয়েছিল। এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছি।’ কমনওয়েলথ গেমসের জন্য অবশ্য অনেক ত্যাগ স্বীকারও করতে হয়েছে। বিয়ের পর স্ত্রী, পরিবারকে সময় দিতে পারেননি। জানালেন, ‘বিয়ের পর এক বছর বাড়ি যাইনি। পাতিয়ালাতে প্রস্তুতি নিয়েছি।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours