পুলিশ নিজেরাই আসে নির্যাতিতার কাছে। তখন অত্যাচারের কথা পুলিশ ও বাবা-মাকে জানায় নাবালিকা।
নাবালিকাকে দিনের পর দিন গণ ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রে। ১১ বছরের ওই নাবালিকাজ উপর প্রায় এক মাস ধরে একাধিক বার যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে ঘটেছে নির্যাতনের ঘটনা। বুধবার গণধর্ষণের ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ১৯ জুন থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
পুলিশ জানিয়েছে ১১ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত রোশন কারগাঁওকার (২৯)। বাকি অভিযুক্তরা রোশনের বন্ধু। তাঁরা হলেন, প্রেমদাস গাঁথিবন্ধে (৩৮), গজানন মুরকার (২৪), গোবিন্দ নাতে (৪০), রাকেশ মহাকলকার (৪০), সৌরভ (২২), নিখিল ওরফে পিক্কু নারুলে (২২) এবং প্রযুম্ন কারুৎকর (২২)। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধরা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা-মা দিনমজুরের কাজ করেন। ঘটনার মূল অভিযুক্ত রোশন নির্যাতিতার এলাকাতেই থাকেন। ১৯ জুন রোশন নাবালিকাকে তাঁর সঙ্গে যেতে বলেন। এক জায়গায় নিয়ে যাবেন বলে, রোশন নির্যাতিতাকে তাঁর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানে তিনি ও গজানন গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, গণধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে কিছু টাকা।দেয় রোশন এবং নির্যাতনের কথা কাউকে না বলার জন্যে হুমকি দেয়।
এর কয়েক দিন পরই রোশনের বাড়িতে ফের গণধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। সে সময় সেখানে ছিলেন ওই রোশনের বেশ কয়েক জন বন্ধু। ১৫ জুলাই গজানন এবং তাঁর দুই বন্ধু মিলে ফের গণধর্ষণ করে নাবালিকাকে। ঘটনার কথা জানালে প্রাণে মারার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, সূত্র মারফত এই ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক খোঁজ পেয়েছিল তারা। তার পর পুলিশ নিজেরাই আসে নির্যাতিতার কাছে। তখন অত্যাচারের কথা পুলিশ ও বাবা-মাকে জানায় নাবালিকা। এই পরই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে পুলিশ এবং মামলা দায়ের করে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours